ফেসবুকে তিনি লিখে জানিয়েছিলেন, কেউ যদি হিলারি ক্লিন্টনের মাথা থেকে একটি চুল তুলে আনতে পারেন, তাহলে তাকে ৫০০০ ডলার পুরস্কার দেবেন৷ এ কারণে জেলে যেতে হচ্ছে মার্টিন স্ক্রেলিকে৷
বিজ্ঞাপন
মার্টিন স্ক্রেলি নামটি যুক্তরাষ্ট্রে আগে থেকেই বিতর্কিত৷ ২০১৫ সাল থেকেই তিনি ‘অ্যামেরিকার সবচেয়ে ঘৃণিত মানুষ' হিসেবে পরিচিত৷ তখন একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির নির্বাহি ছিলেন স্ক্রেলি৷ ড্যারাপ্রিম নামের একটি ওষুধের দাম সাড়ে ১৩ ডলার থেকে বাড়িয়ে রাতারাতি ৭৫০ ডলার করে দেয়ায় নিন্দার ঝড় উঠেছিল তার বিরুদ্ধে৷ এইচআইভি-তে সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ওষুধটির দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দেয়ায় অনেকেই তখন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে এত ঘৃণ্য কাজ করার মতো মানুষ সম্ভবত আর একটিও নেই৷
সম্প্রতি একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসের জন্য আবার সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে মার্টিন স্ক্রেলির নাম৷ স্ট্যাটাসে স্ক্রেলি জানান,
কয়েকজন বিখ্যাত ফার্স্ট লেডির কথা
স্বামীর কারণে ফার্স্ট লেডি হলেও অনেকে নিজেদের কাজের গুনেই বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত ছিলেন৷ ছবিঘরে থাকছে এমন কয়েকজনের কথা৷
ছবি: Reuters/K. Lamarque
মেলানিয়া ট্রাম্প: নতুন ফার্স্ট লেডি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ায় তার স্ত্রী এখন মেলানিয়া ট্রাম্প এখন ফার্স্ট লেডি৷ স্লোভেনিয়ায় জন্ম নেয়া মেলানিয়া, ট্রাম্প প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দেয়ার আগ পর্যন্ত ইন্সটাগ্রামে বেশ সক্রিয় ছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/Zuma Press/R. Fitchett
হিলারি ক্লিন্টন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টনের স্ত্রী হিলারি এবার জিতলে দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হতেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
কার্লা ব্রুনি সার্কোজি
নিজে ইটালির মেয়ে৷ ছিলেন গায়িকা, মডেল৷ পরে ২০০৮ সালে ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজিকে বিয়ে করে হয়ে যান ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি৷ স্টাইল আইকন হিসাবে এখনও তিনি সক্রিয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জর্ডানের রানি
চার সন্তানের জননী রানিয়া ১৯৯৯ সাল থেকে জর্ডানের রানি৷ নিজ দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু নিয়ে তিনি কাজ করছেন৷ তথাকথিত ইসলামিক স্টেট-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভেও তাঁকে সোচ্চার হতে দেখা গেছে৷ তাঁর অবদানের জন্য গত সেপ্টেম্বরে তিনি জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের কাছ থেকে একটি পুরস্কার গ্রহণ করেন৷
ছবি: imago/Xinhua
ইনখোসিকাতি লামবিকিজা
তিনি সোয়াজিল্যান্ডের রাজার ১৩ স্ত্রীর একজন৷ তবে বেশিরভাগ রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে রাজার পাশে তাঁকেই দেখা যায়৷ এইডসের বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচিতে তিনি যুক্ত আছেন৷
ছবি: Getty Images/C. Jackson
জ্যাকুলিন কেনেডি
বলা হয়, হোয়াইট হাউসে বাস করা সবচেয়ে আবেদনময়ী দম্পতি ছিলেন জ্যাকুলিন ও তাঁর স্বামী প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি৷ ১৯২৯ সালে নিউ ইয়র্কের এক অভিজাত পরিবারে জন্ম নেয়া জ্যাকুলিন ১৯৫৩ সালে কেনেডিকে বিয়ে করেন৷ ১৯৯৪ সালে মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত ফ্যাশন সচেতনতার জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি৷
ছবি: Getty Images
গ্রেস কেলি
ছিলেন হলিউডের সফল অভিনেত্রী৷ পরে ১৯৫৬ সালে হয়ে যান মোনাকোর প্রিন্সেস৷ তবে তাঁর দাম্পত্য জীবন কখনও সুখের ছিল না বলে শোনা যায়৷ সে এমনও বলেছিলেন, বিয়ের দিনটি ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে বাজে দিন৷ ১৯৮২ সালে ৫২ বছর বয়সে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান কেলি৷
ছবি: AP
সোরাইয়া এসফানডিয়ারি-বখতিয়ারি
ইরানের শেষ শাহ মোহাম্মদ রেজা পাহলভির দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন সোরাইয়া৷ ১৯৫১ সালে ১৯ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়৷ তবে সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা না থাকায় মাত্র সাত বছর পর তাঁদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছিল৷ জার্মান ও ফরাসি ভাষায় পারদর্শী সোরাইয়া ঘোড়ায় চড়া ও স্কিয়িং করতে পছন্দ করতেন৷ ১৯৪১ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত ইরানের ক্ষমতায় ছিলেন পাহলভি৷
ছবি: picture alliance/Bildarchiv
ইমেলদা মার্কোস
সাবেক সুন্দরী ইমেলদা তাঁর ভোগ বিলাসী জীবনযাপনের জন্য পরিচিত ছিলেন৷ ফিলিপাইনের দশম প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোসের স্ত্রী ছিলেন তিনি৷ রেকর্ড পরিমাণ জুতার সংগ্রহের কারণে ইমেলদা মার্কোস বিশ্বে পরিচিত ছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/Everett Collection
মিশেল ওবামা
যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ফার্স্ট লেডি মিশেল ওবামা প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট৷ হার্ভার্ড ল স্কুলেও তিনি পড়াশোনা করেছেন৷ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সরকারি অনেক সফরে তিনি গেছেন৷ পোশাক নির্বাচন ও ভদ্র ব্যবহারের কারণে তাঁকে অনেকেই পছন্দ করেন৷
ছবি: Reuters/K. Lamarque
10 ছবি1 | 10
হিলারি ক্লিন্টনতাঁর ‘হোয়াট হ্যাপেনড' বইয়ের প্রকাশনা উপলক্ষ্যে সফর করার সময় কেউ যদি তাঁর মাথা থেকে একটি চুল ছিড়ে এনে দিতে পারেন, তাহলে তাকে তিনি ৫০০০ ডলার পুরস্কার দেবেন৷ স্ট্যাটাসটি প্রকাশের পরই মামলা হয়৷ মামলায় মানুষের জীবনের জন্য হুমকি সৃষ্টির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বুধবার তাকে কারাদণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত৷ স্ক্রেলি অবশ্য দাবি করেছিলেন, ফেসবুক স্ট্যাটাসটি নিছক রাজনৈতিক রঙ্গরস, কারো জন্য হুমকি সৃষ্টির ইচ্ছা একেবারেই তার ছিল না৷ স্ট্যাটাসটির জন্য লিখিতভাবে দুঃখ প্রকাশও করেছিলেন তিনি৷ তারপরও শাস্তি এড়ানো সম্ভব হয়নি৷ জামিনের আবেদনও ইতিমধ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে আদালত৷ সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সাবেক ফার্স্টলেডি এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মাথা থেকে একটি চুল তুলে আনার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করার শাস্তি পেতেই হচ্ছে তাকে৷