1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিলারি আর ট্রাম্প সম্পর্কে জার্মানরা যা ভাবছেন

২৭ অক্টোবর ২০১৬

স্থান-কাল-পাত্র নির্বিচারে জার্মানরা দৃশ্যত হিলারি ক্লিন্টনকে বিশেষ পছন্দ করেন না৷ অন্যদিকে তারা ডোনাল্ড ট্রাম্পকেও সহ্য করতে পারেন না৷ ডয়চে ভেলেকে এমনটিই জানিয়েছেন পাঁচজন জার্মান৷

Bildkombo Trump Clinton Thema Deutschland
ছবি: picture-alliance/dpa/Arco Images/ W. Wirth

রয়েটলিঙ্গেনের টেরেজিয়া শল্জ
বয়স ৮৫ , অবসরপ্রাপ্ত, গত ৫০ বছর ধরে রক্ষণশীল সিডিইউ দলের সদস্যা

ব্যক্তিগতভাবে আমি ওবামাকে আবার পেলেই খুশি হতাম৷ দেখতে-শুনতে ভালো, দেখলে সচ্চরিত্র বলেই মনে হয়৷ মার্কিনিরা যদি তাদের প্রেসিডেন্টকে একটি তৃতীয় কর্মকালের সুযোগ দিতে চায়, তাহলে আমি তা সমর্থন করব৷ কিন্তু ট্রাম্প জিতলে আমরা অর্ধেক মেয়াদও চাই না৷ দেখতে যেমন বিচ্ছিরি, তেমনই ওর আচরণ আর কথাবার্তা৷ উত্তর ফ্রাঙ্কোনিয়ার ভাষায় আমরা বলব ‘চাষাড়ে’৷

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাছবি: picture-alliance/dpa/M.B.Ceneta

ক্লিন্টনকে দেখে মনে হয় উনি সৎ আর মানুষজনকে সাহায্য করতে চান৷ অবশ্যই তিনি জার্মানির সামাজিক গণতন্ত্রীদের মতো... উনি যা বলছেন, তা করতে চান বলেই আমার ধারণা৷ আমার মতে মার্কিনিদের স্বাস্থ্যবীমা থাকা প্রয়োজন - ট্রাম্প তো সেটা তুলে দিতে চান, তাই না?

অ্যামেরিকা একটি খ্রিষ্টান দেশ, আর খ্রিষ্টান দেশ হিসেবে আমি অন্যদের আসা বন্ধ করে দিতে পারি না৷ ট্রাম্প কোন গির্জার সঙ্গে যুক্ত, তা আমি জানি না... লোকের কোনোমতেই ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া উচিৎ নয়৷ ওর সমর্থকদের মধ্যে বুদ্ধিমান লোকও আছে, তারা যে ওকে কী করে এখানে তুলল!

আমি মার্কিন ভোটারদের বলব, দু’টো খারাপের মধ্যে কম খারাপটা বেছে নাও৷ দুনিয়ায় নিখুঁত বলে তো কিছু নেই৷ ওরকম বিতৃষ্ণাকর কাউকে ভোট দেওয়া যায় না, যে সব সময় হুমকি দিচ্ছে, পরস্পরবিরোধী কথাবার্তা বলছে৷ শেষে তা থেকে যে কী বেরোবে, তা তো কারো জানা নেই৷

হেলমুট কপ 
বয়স ৪৬, ফ্রাংকফুর্টের কাছে র এক বিজনেস কনসালটেনসির সিনিয়ার পার্টনার

যুক্তরাষ্টের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনছবি: AFP/Getty Images/Mario Tama

আমি মার্কিন নির্বাচন খুব মনোযোগ দিয়ে ফলো করছি, রাত তিনটের সময় প্রথম ডিবেটটাও দেখেছি৷ আগ্রহ তো ছিলই, আবার কিছুটা বিদ্রুপও ছিল৷ যেন স্ট্যান্ড-আপ কমেডি দেখছি৷

পরিষ্কার বোঝা গেল যে ট্রাম্পের কোনো প্রস্তুতি ছিল না, একই কথা বার বার আউড়ে যাচ্ছিলেন... ওনার কাছে অনেক ব্যাখ্যা আছে, কিন্তু কীভাবে কী করবেন তার কোনো উত্তর নেই৷ আমি হিলারি ক্লিনটনের সাপোর্টার নই৷ ৩২ কোটি মানুষের একটা দেশকে যে এক ৭০ বছরের ভীমরতিগ্রস্ত বৃদ্ধ ও এক ৬৯ বছরের মহিলার মধ্যে বেছে নিতে হচ্ছে, সেটা আমার কাছে হাস্যকর বলে মনে হয়৷ 

লোকজনকে ভোট দিতে যেতে হবে আর নিজের ধ্যানধারণার সঙ্গে তার সবটা যদি না’ও মেলে তবু যে প্রার্থী কম খারাপ, তাকে ভোট দিতে হবে৷

স্টেফান হাউজার 
বয়স ৪৬, ড্রেসডেনের একটি অনলাইন শপে কাজ করেন

ছবি: Getty Images/AFP/E. Munoz Alvarez/S. Platt

আমি অনলাইন পত্রিকাগুলোয় রোজ মার্কিন নির্বাচনের খবর দেখি৷ আমার খেলো জিনিস পছন্দ৷ ট্রাম্প সে হিসেবে মজার প্রার্থী৷ ট্রাম্পকে নিয়ে হাসা যায়, যদিও ধীরে ধীরে আমার হাসি শুকিয়ে আসতে শুরু করেছে৷ সে (ট্রাম্প) এক বদমেজাজি ঠাকুরদা, বুদ্ধিও কিছু আহামরি নয়৷ এক সময় তাঁর হম্বিতম্বির পুনরাবৃত্তি হতে শুরু করে, বাড়াবাড়ি হয়ে দাঁড়ায়৷ তখন আর সেটা মনোরঞ্জন থাকে না৷ হিলারি ক্লিনটন নিঃসন্দেহে একাধিক রেকর্ড সৃষ্টি করতে চান: প্রথম মহিলা প্রেসিডেন্ট, প্রথম প্রেসিডেন্ট দম্পতি...৷ ট্রাম্প তাঁর দেশকে আরো বিভক্ত করে তুলবেন৷ কাজেই তিনি বাকি বিশ্বের চেয়ে অ্যামেরিকার পক্ষেই বড় বিপর্যয় হয়ে দাঁড়াবেন৷

পাউলি হাইঞ্জ 
বয়স ১৯, তিন বছর ইংল্যান্ডে ছিলেন, সেখানেই স্কুলের পড়া শেষ করেছেন 

অধিকাংশ সময় আমি ফেসবুকে৷ বন্ধুরা সব ভিডিও পোস্ট করে সেগুলো আমাকে পাঠিয়ে দেয়৷ ট্রাম্প কিংবা হিলারির ভাষণ বা ওদের ডিবেটের ছোট ছোট অংশ৷ তার অধিকাংশই ট্রাম্পের প্রতি বিরূপ, কিন্তু সেটাই আমি ও আমার বন্ধুবান্ধবদের মনোভাব বলে আমার ধারণা৷ (অথচ) ট্রাম্প অনেক বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন৷ ফেসবুকে ট্রাম্প হিলারির চেয়ে অনেক বড় ঘটনা৷হিলারি ঠিক পছন্দ করার মতো নন৷ আমার বয়ফ্রেন্ড রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ে; সে বলে যে, ক্লিন্টনকে জার্মানিতে দক্ষিণপন্থি বলে গণ্য করা হতো৷

বেয়াটে ব্রিঙ্কমায়ার 
বয়স ৪০, বার্লিনে একটি দৈনিকের আলোকচিত্র বিভাগে কাজ করেন

ট্রাম্প এত বোকা যে, উনি পুরোপুরি খারাপ হতে পারেন বলে আমার মনে হয় না৷ আমার মনে হয়, উনি ঠিক জানেন না, উনি কী করছেন৷হিলারি ক্লিনটন ভেড়ার সাজে নেকড়ে৷ উনি পুরোপুরি অসৎ, একজন কুচক্রী৷ আমার ধারণা উনি একটা যুদ্ধ শুরু করবেন - অন্তত শান্তির জন্য কিছু করবেন না৷ আমি অ্যামেরিকান হলে হয়তো ভোটই দিতাম না৷ ইউরোপীয় হিসেবে আমি ভাবি, দু’জন প্রার্থীই যে এতটা খারাপ, সেটা কী করে সম্ভব হলো৷ ভয় পেয়ে যাওয়ার মতো!

সাক্ষাৎকার: চেজ জেফারসন/এসি
সম্পাদনা: আশীষ চক্রবর্ত্তী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ