1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিলারি ক্লিন্টন

কনর ডিলন/এসি৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

একটানা ৩৪ বছর জনজীবন ও রাজনীতির প্রথম সারিতে থাকার পর হিলারি ক্লিন্টন তাঁর ‘ব্যক্তিগত’ জীবন শুরু করতে চলেছেন৷ কিন্তু পরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাঁকে ডেমক্র্যাট দলের প্রার্থী হিসেবে দেখা যাবে না তো?

ছবি: Reuters

১৯৭৯ সাল থেকে ২০০১ সাল অবধি তিনি ছিলেন আর্কানসাস এবং পরে অ্যামেরিকার ফার্স্ট লেডি৷ স্বামী বিল ক্লিন্টনের দ্বিতীয় কর্মকাল শেষ হবার আগেই তিনি সেনেট নির্বাচনে নেমে পড়েন৷ ২০০১ থেকে ২০০৯ সাল অবধি তিনি ছিলেন মার্কিন সেনেটে নিউ ইয়র্কের প্রতিনিধি৷ সে কর্মকাল শেষ হবার আগেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন ডেমক্র্যাট দলের প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবার অভিযানে৷ ২০০৮ সালেই তাঁকে সেক্রেটারি অফ স্টেট বা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবার আমন্ত্রণ জানান বারাক ওবামা৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও একটা নতুন রেকর্ড করে গেলেন হিলারি ক্লিন্টন, একটিমাত্র কর্মকালে মোট ১১২টি দেশ সফর করেছেন এই সেক্রেটারি অফ স্টেট৷ তার দামও তাঁকে দিতে হয়েছে, মাথায় রক্ত চাপ বেঁধে অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন৷ কিন্তু এবার তাঁকে একটি সম্পূর্ণ অপরিচিত অভিজ্ঞতার মোকাবিলা করতে হবে৷ তাহচ্ছে শান্তি, নিরিবিলি, অবসর৷

স্বয়ং স্বামী বিল ক্লিন্টন প্রকাশ্যে বলেছেন, হিলারির প্রতি তাঁর পরামর্শ হবে, ভালো করে বিশ্রাম নিয়ে তারপর ভেবে দেখা, তিনি তাঁর বাকি জীবনটা নিয়ে কি করতে চান৷ হিলারির আবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়াটা তাঁর নিজের পক্ষে, অ্যামেরিকার পক্ষে এবং বাকি বিশ্বের পক্ষে ভালো হবে না খারাপ হবে, সেটা হিলারি নিজেই বলতে পারবেন৷ তিনি যদি মনে করেন হ্যাঁ, তাহলে তাঁর সেটা করা উচিত৷ আর যদি তাঁর মনে হয় না, তাহলে তা করার দরকার নেই৷

সে দুঃখ হিলারি আজও ভোলেননিছবি: AP

হিলারি ক্লিন্টনের জীবনীকার নিকোল ক্রাসাস'এর মতে হিলারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট হতে চান এবং চেয়েছিলেন৷ কিন্তু হিলারি খুব বাস্তববাদি প্রকৃতির মানুষ৷ তিনি যদি দেখেন কিংবা বোঝেন তাঁর ডেমক্র্যাট মনোনয়ন না পাবার কিংবা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, তাহলে তিনি আর ও'পথে এগোবেন না৷ ২০০৮ সালের ডেমক্র্যাটিক প্রাইমারিতে বারাক ওবামার কাছে হারের দুঃখটা হিলারি আজও ভোলেননি৷ এছাড়া ২০১৬ সালে হিলারির বয়স হবে ৬৯৷ জন ম্যাককেইন কিংবা বব ডোল'এর মতো সেটাও তাঁর মনোনয়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে৷

ক্রাসাস ডয়চে ভেলে'কে বলেন, আগামী কয়েক সপ্তাহে হিলারি কি করেন, তা দেখলে খানিকটা আন্দাজ পাওয়া যাবে৷ হিলারি যদি ক্রমেই আরো সামাজিক বিষয়, আন্দোলন, অভিযান ইত্যাদিতে জড়িয়ে পড়েন, তাহলে বুঝতে হবে, তিনি প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হবেন না৷

আসলে হিলারি অতো ঠাণ্ডা মাথায় কোনো সিদ্ধান্ত নেন কিনা, তা নিয়েও ঐতিহাসিকরা প্রশ্ন তুলবেন৷ তাঁর আত্মজীবনীতে হিলারি নিজেই বলেছেন, তিনি তাঁর তৎকালীন পুরুষ বন্ধু বিল ক্লিন্টনের সঙ্গে আর্কানসাস যাবার সিদ্ধান্ত নেন কেননা তিনি তাঁর মস্তিষ্কের বদলে হৃদয়বৃত্তিকেই অনুসরণ করেছিলেন৷

প্রতিদ্বন্দ্বী রিপাবলিকানদের একাংশ হিলারি প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিযোগী হতে পারেন ভেবে আতঙ্কিত৷ তাদের আরেক অংশ স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে, ২০০৮ সালে বারাক ওবামার কাছে হেরেছিলেন হিলারি, যদিও তা কেউ ভাবতে পারেননি৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

বাংলাদেশ