1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পরিবেশবান্ধব চুলা

২৭ আগস্ট ২০১২

মাটির চুলায় রান্না করছেন মা-বোন৷ গ্রামাঞ্চলের খুবই সাধারণ দৃশ্য এটি৷ কিন্তু আমরা কী জানি, কত ভয়ংকর কাজ এটা? প্রতি বছর অগণিত মানুষের মৃত্যু হচ্ছে এভাবে৷

ছবি: Fotolia

বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় তিনশো কোটি মানুষের রান্না হয় মাটির চুলায়৷

প্রতি বছর গড়ে সারা বিশ্বের প্রায় বিশ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ নিশ্বাসের সঙ্গে ধোঁয়া গ্রহণ৷ এদের বেশিরভাগই পাঁচ বছরের কম বয়েসি শিশু৷ মাটির চুলা থেকে যে ধোঁয়া বের হয় তা থেকে শিশুরা নিউমোনিয়ার মতো রোগে ভোগে৷ এছাড়া চোখে ও গলায় দেখা দেয় নানান সমস্যা৷ আরও রয়েছে অসাবধানতাবশত চুলার উপর পড়ে যাওয়া বা পরনের কাপড়ে আগুন ধরে যাওয়া, ইত্যাদি নানা সমস্যা৷

মাটির চুলায় জ্বালানি হিসেবে সাধারণত কাঠ, কয়লা, গবাদি পশুর বিষ্ঠা বা ফসলের উচ্ছিষ্ট ব্যবহার করা হয়৷ এসব জোগাড় করাও একটা কষ্টকর ব্যাপার৷ তাছাড়া এতে সময়ও লাগে অনেক৷ কখনো কখনো তা বিপজ্জনকও৷ যেমন ডিআর কঙ্গোতে জ্বালানি সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রতি ঘন্টায় গড়ে একজন করে নারী ধর্ষণের শিকার হয় বলে জানা গেছে৷

এসব ছাড়াও রয়েছে পরিবেশের উপর প্রভাব৷ কাঠ সংগ্রহের জন্য গাছ কাটায় অনেক জায়গায় বন ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে৷ এছাড়া চুলা থেকে যে কালো ধোঁয়া বের হয় সেটা বায়ু দূষণ করছে৷ আরও  রয়েছে ধোঁয়ার কারণে ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়া৷

পরিবেশবান্ধব চুলার ব্যবহারে সবচেয়ে সোচ্চার হিলারি ক্লিন্টনছবি: Reuters

এই সব সমস্যা দূর করতে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে একটি সংস্থা গড়ে ওঠে৷ যার নাম ‘গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ক্লিন কুকস্টোভস'৷ জাতিসংঘ ও মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগ এটি৷ মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন এ ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার৷ তাঁর মতে, বিশ্বের যে সমস্যাগুলো সমাধানযোগ্য তার মধ্যে এটি একটি৷

অ্যালায়েন্সের লক্ষ্য, ২০২০ সালের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন পরিবেশবান্ধব চুলা বিতরণ৷ অনেক বিশেষজ্ঞ এই অ্যালায়েন্সের সঙ্গে যুক্ত৷ যেমন একদল রয়েছেন গবেষক, যাঁরা চুলার মান বজায় রাখতে কাজ করছেন৷ আরেকদল চুলা তৈরি করবেন৷ রয়েছে বিভিন্ন দেশের সরকার, যাদের কাজ ব্যবহারকারীদের কাছে এই চুলা জনপ্রিয় করে তোলা৷ আর এনজিও'দের কাজ চুলা বিতরণ৷ রয়েছেন অর্থবিনিয়োগকারী, যারা গরিব মানুষকে এই চুলা কিনতে সহায়তা করবেন৷

অ্যালায়েন্সের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জ্যাকব মোস বলেন, এমন চুলা তৈরির চেষ্টা চলছে যেটা কম জ্বালানি খরচ করবে এবং কম ধোঁয়া ছড়াবে৷

বিভিন্ন ধরণের চুলা তৈরির কথা জানান মোস৷ এর মধ্যে যেমন কাঠ পোড়ানো চুলা থাকবে৷ তেমনি থাকবে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস চুলা ও চারকোল ব্যবহৃত চুলা৷ এর কারণ, একেক দেশের মানুষ একেক ধরণের চুলা ব্যবহার করে অভ্যস্ত৷ ফলে মানুষ যেন পছন্দমতো চুলা ব্যবহার করতে পারে সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷

কিন্তু এসব চুলার দাম কেমন হবে সেটা একটা বিবেচ্য বিষয়৷ কেননা এর ব্যবহারকারীরা বেশিরভাগই দরিদ্র৷ তাই দামটা হতে হবে খুবই কম৷ অ্যালায়েন্স সে চেষ্টাই করে যাচ্ছে৷ তবে তাদের আশা, ক্ষুদ্র ঋণ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এই চুলা ব্যবহারের ক্ষেত্রে গরিব মানুষকে সহায়তা করবে৷

জেডএইচ / আরআই (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ