1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

এভারেস্ট জয়

স্টেফান নেসলার / এসি২৯ মে ২০১৩

১৯৫৩ সালের ২৯শে মে এগারোটা বেজে ত্রিশ মিনিটে নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী এডমান্ড হিলারি আর শেরপা তেনজিং নোরগে প্রথম মানুষ হিসেবে এভারেস্টের শৃঙ্গে পা রাখেন৷ অনুভূতিটা ছিল উত্তেজনার নয়, বরং সন্তুষ্টির, পরে বলেছেন হিলারি৷

Sardar Tenzing Norgay, right, of Nepal and Edmund P. Hillary of New Zealand, left, show the kit they wore when conquering the world's highest peak, the Mount Everest, on May 29, at the British Embassy in Katmandu, capital of Nepal, on June 26, 1953. Edmund Hillary, with Sherpa Tenzing Norgay, reached the 29,035-foot summit of Everest on May 29, 1953, becoming the first person to stand atop the world's highest mountain. Hillary died Jan. 11, 2008 of a heart attack at age 88. (AP Photo)
ছবি: picture-alliance/AP Photo

মাথার উপর সুউচ্চ আকাশ৷ নয়তো পৃথিবীটা নীচে পড়ে৷ এভারেস্ট শৃঙ্গের উচ্চতা তখন ছিল ৮,৮৫০ মিটার৷ হিলারি আর তেনজিং-এর আগেও বহু পর্বতারোহী এভারেস্টে ওঠার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু সফল হতে পারেননি৷ তেনজিং মারা যান ১৯৮৬ সালে৷ হিলারি ২০০৮ সাল অবধি বেঁচে ছিলেন৷

হিলারি ও তেনজিং-এর সেই ঐতিহাসিক অভিযানের পরের তিন দশকে বহু পর্বতারোহী বিভিন্ন পথ ধরে এভারেস্টে উঠেছেন৷ তার পরের ২৫ বছরে এভারেস্ট যাত্রা যেন পর্যটকদের বাঁধা রুটে পর্যবসিত হয়েছে৷ আজকাল তো ক্যাটালগ থেকেই এভারেস্ট যাত্রা বুক করা যায়৷ শৃঙ্গের চূড়া অবধি খুঁটি আর দড়ি বাঁধা আছে৷

শেরপাদের সাহায্য নিয়ে এ বছরের বসন্তে পাঁচশোর বেশি মানুষ এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন৷ তাদের মধ্যে ছিলেন এক ৮০ বছরের জাপানি বৃদ্ধ৷ আজকাল প্রায় সব এভারেস্ট আরোহী অক্সিজেনের মুখোশ পরে থাকেন, কেউ কেউ তো ৫,৩০০ মিটার উচ্চতায় আরোহণ শুরু হওয়ার সময় থেকেই৷

এমনকি নিজেদের অক্সিজেনের সিলিন্ডারগুলো নিজেরা বহন করতেও কষ্ট হয় এদের৷ তাই কিছু কিছু হবু ‘এভারেস্ট বিজয়ী' অক্সিজেনের সিলিন্ডারগুলি সামনের শেরপার কাঁধে রুকস্যাকে ঝুলিয়ে নিজেরা টিউব দিয়ে অক্সিজেন শুঁকতে শুঁকতে চলেন৷ রাইনহোল্ড মেসনার কিংবা রাল্ফ ডুইমোভিটস-এর মতো ধ্রুপদী পর্বতারোহীদের কাছে এটা ‘ডোপিং' ছাড়া আর কিছু নয়৷

যে ক'টা দিন এভারেস্টে চড়া যায়, সে ক'দিন পিঁপড়ের মতো সারি দিয়ে পর্বতারোহীদের বাঁধা পথ ধরে উপরে উঠতে দেখা যায়৷ এভারেস্টে ওঠার মানে এককালে ছিল, বিশ্বের গম্ভীরতম গিরিশৃঙ্গগুলির উদাসীন নির্জনতায় সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে মুখোমুখি হওয়া৷ আজ অনেক নামী-দামী পর্বতারোহীরা তাদের নির্ঘণ্ট থেকে এভারেস্টকে বাদ দেওয়ার কথাই ভাবছেন, অন্তত সেখানে প্রত্যাবর্তন করার তাদের কোনো ইচ্ছা নেই৷

১৯৫৩ সালের ২৯শে মে এগারোটা বেজে ত্রিশ মিনিটে নিউজিল্যান্ডের পর্বতারোহী এডমান্ড হিলারি আর শেরপা তেনজিং নোরগে প্রথম মানুষ হিসেবে এভারেস্টের শৃঙ্গে পা রাখেনছবি: Reuters

এভারেস্টের উচ্চতা একই আছে৷ পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ শুধু তার আভিজাত্য, তার একাকীত্ব, তার রোমাঞ্চ হারিয়েছে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ