1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হিসাব-বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় জয়ললিতা আদালতে

২০ অক্টোবর ২০১১

আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি মামলায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা আজ ব্যাঙ্গালোর আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে উপস্থিত থাকেন৷ এই মামলা করেন জনতা পার্টির সভাপতি সুব্রামনিয়াম স্বামী ও করুণানিধির ডিএমকে দলের এক নেতা৷

তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতাছবি: AP

হিসেব-বহির্ভূত সম্পত্তি মামলায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতা আজ ব্যাঙ্গালোর আদালতে হাজির হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন এই সব অভিযোগ রাজনৈতিক বদলা নেবার উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল৷ আদালতে ৪০০টির মত প্রশ্নের উত্তর দেবার কথা ছিল তাঁর৷ আজ মাত্র চারটি প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি৷

১৯৯১ সালে এআইএডিএমকে নেত্রী জয়ললিতা যখন প্রথমবার তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী হন, সে সময় তিনি আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন প্রায় ৬৭ কোটি টাকার সম্পত্তি করেছিলেন এই অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন জনতা পার্টির সভাপতি সুব্রামনিয়াম স্বামী এবং করুণানিধির ডিএমকে দলের এক নেতা৷ ১৯৯৬-এ জয়ললিতার দল ভোটে হেরে গেলে তখন ক্ষমতায় আসে ডিএমকে দল৷ হিসাব-বহির্ভূত যেসব সম্পত্তি মামলায় উল্লেখ করা হয়,তারমধ্যে আছে, একাধিক ফার্মহাউস, বিভিন্ন জায়গায় কৃষিজমি, চা-বাগান, জুয়েলারি, বিনিয়োগ, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি৷

৪০০টি প্রশ্নের মধ্যে আজ মাত্র চারটি প্রশ্নের উত্তর দেন জয়ললিতাছবি: picture alliance/dpa

২০০১ সালে জয়ললিতা ফের ক্ষমতায় এলে ডিএমকে দল এই মামলা রাজ্যের বাইরে স্থানান্তরিত করার আর্জি জানায় আদালতে৷ কারণ জয়ললিতা ক্ষমতায় আসায় সাক্ষীরা তাঁর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে ভয় পাচ্ছে৷ জয়ললিতা এর বিরোধিতা করে পাল্টা আর্জি জানায় আদালতে৷ আদালত জয়ললিতার আর্জি খারিজ করে মামলা কর্নাটক রাজ্যের ব্যাঙ্গালোর আদালতে স্থানান্তরিত করার আদেশ দেন৷ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে জয়ললিতা এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন৷ প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা করার শর্তে শীর্ষ আদালতও তাঁর আবেদন নাকচ করে তাঁকে ব্যাঙ্গালোর আদালতে হাজির থাকার নির্দেশ দেন৷

সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী কর্নাটক সরকার বিমানবন্দর থেকে আদালত পর্যন্ত রাস্তাএবং আদালতের দেড় কিলোমিটার এলাকা সীল করে রাখে৷ মোতায়েন করা হয় দেড় হাজার পুলিশ ও কমান্ডো বাহিনী৷ আদালতে মামলার আইনজীবী ছাড়া অন্য কাউকে ঢুকতে দেয়া হয়নি৷

প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ