হুইটনি হিউস্টন
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২![File- In this Oct. 28, 2006, file photo, musician Whitney Houston arrives at the 17th Carousel of Hope Ball benefiting the Barbara Davis Center for Childhood Diabetes in Beverly Hills, Calif. Houston died Saturday, Feb. 11, 2012, she was 48. (Foto:Matt Sayles/AP/dapd)](https://static.dw.com/image/15737775_800.webp)
এই গির্জাতেই শিশু হুইটনি প্রথমবার জনতার সামনে গান গান৷ এছাড়া হুইটনি ছিলেন ধর্মপ্রাণ, বাইবেল ছাড়া কোথাও যাত্রা করতেন না৷ হুইটনি'র কণ্ঠের বিশেষত্বই ছিল তাই৷ গির্জায় গসপেল গাওয়ার মধ্যে দিয়ে তৈরী হয়, জোর পায় ও'ধরণের কণ্ঠ৷
হুইটনি হিউস্টনকে বিশ্বের মানুষ মনে রাখবে ১৯৯২ সালের ‘‘বডিগার্ড'' ছবিতে তার অভিনয়ের জন্য, আর ‘আই উইল অলওয়েজ লাভ ইউ' গানটির জন্য৷ ছবিটিতে কেভিন কস্টনার ছিলেন তার জুটি৷ কস্টনার আজ নিজেও গিটার হাতে গান গান, তার একটি নিজস্ব ব্যান্ডও আছে৷
কিন্তু কস্টনার যখন হুইটনি'কে ‘‘বডিগার্ড''-এর অডিশনে দেখেন, তখন তার এই আনকোরা নতুন অভিনেত্রী সম্বন্ধে দ্বিধা ছিল - কস্টনার নিজেই বলেছেন হুইটনির সমাধি অনুষ্ঠানে৷ তবে কস্টনার আরও বলেন: ‘‘তুমি শুধু ভালো দেখতে ছিলে না, একজন মহিলা যতোটা সুন্দর হতে পারে, তুমি ত'তোটাই সুন্দর ছিলে৷ হুইটনি, তুমি যদি এখনও আমাকে শুনতে পাও, তাহলে আমি বলব: তুমি শুধু কাজ চালানোর মতো ভালো ছিলে না, তুমি ছিলে ‘গ্রেট'৷ তুমি ঐ পুরো গানটা কোনো ব্যান্ড ছাড়াই গেয়েছো৷''
সেরকম গাওয়ার মতো গলা ছিল বৈকি হুইটনির৷ ‘আই উইল অলওয়েজ লাভ ইউ' হল বিশ্বের কোনো একক গায়িকার গাওয়া সর্বাধিক বিক্রীত গানের রেকর্ড৷ তাই চার ঘণ্টার সমাধি অনুষ্ঠান শেষও হয়েছে ঐ গানের সুরে৷ বলতে কি, গান দিয়েই যেন হুইটনিকে শেষ বিদায় জানানো হয়েছে৷ অন্যান্য অনেকের মধ্যে অ্যালিসিয়া কীস গেয়েছেন ‘‘সেন্ড মি অ্যান এঞ্জেল''৷ আর. কেলি গেয়েছেন হুইটনির শেষ স্টুডিও অ্যালবাম থেকে নেওয়া ‘‘আই লুক টু ইউ''৷
উপস্থিত ৩০০ শোকার্থীদের মধ্যে ছিলেন ডায়ান ওয়ারউইক, স্টিভ ওয়ান্ডার, বিয়ন্সে, এলটন জন, অপ্রা উইনফ্রে৷ হুইটনিকে সমাধিস্থ করা হবে কাছের ওয়েস্টফিল্ডে, যেখানে তার বাবা জন হিউস্টন শায়িত আছেন৷ কিন্তু হুইটনির কোটি কোটি ফ্যান ও গুণমুগ্ধেরা জানেন, হুইটনি আসলে তার গানের মধ্য দিয়ে তার ভক্তদের হৃদয়ে বেঁচে থাকবেন: ‘আই উইল অলওয়েজ লাভ ইউ'৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম