1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজরুয়ান্ডা

হুইলচেয়ারে বসেও নাচের আনন্দে মাতছেন রুয়ান্ডার নারী

৮ নভেম্বর ২০২৩

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা অনেক মানুষকেই দমিয়ে রাখতে পারে না৷ রুয়ান্ডার যুদ্ধ এড়িয়ে বেলজিয়ামে আসা এক নারী নাচের মাধ্যমে বৃহত্তর সমাজের কল্যাণের লক্ষ্যে কাজ করছেন৷ তাঁর সঙ্গীও সেই কাজে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন৷

Chantal-Iris Mukeshimana l cyclodancer, Tänzerin
ছবি: Rosie Birchard/DW

ডান্স ফ্লোরে সুন্দর নাচের ছন্দ৷ তবে এই যুগল নাচের চরিত্র কিন্তু ভিন্ন৷ এর নাম ‘সাইক্লোডান্স'৷ এক পার্টনার পা দিয়ে নাচেন, আরেক জন চাকার উপর নির্ভরশীল৷ যেমন ইরিস মুকেশিমানা নামের অভিজ্ঞ নাচের শিক্ষক৷ তিনি বলেন, ‘‘এই কারণেই আমি সাইক্লোডান্স ভালবাসি৷ এটি মানুষের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটায়৷ হুইলচেয়ারে বসা মানুষের সঙ্গে অন্যদের মাঝে কোনো প্রাচীর থাকে না৷ সাইক্লোডান্সের সময় কয়েক মুহূর্তের জন্য ‘প্রতিবন্ধকতা' ভুলে থাকতে পেরে আমি খুব ভালো বোধ করি৷''

বেলজিয়ামের লুভ্যাঁ-লা-ন্যোভ অঞ্চলে ইরিস তাঁর ছাত্রদের এক পারফরমেন্সের জন্য প্রস্তুত করছেন৷ নিখুঁত কোরিওগ্রাফি ও সঠিক গতি নিশ্চিত করতে চান তাঁরা৷ তবে এই নৃত্যশিল্পীদের জন্য শুধু ক্লাসে মুভমেন্ট শেখাই আসল বিষয় নয়৷

ইরিস মুকেশিমানা ব্যস্ত ও পেশাদার মানুষ৷ তিনি মা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন৷ শিশু বয়সে রুয়ান্ডায় পোলিওয় আক্রান্ত হয়ে তিনি হাঁটার শক্তি হারান৷ তারপর যুদ্ধ শুরু হলো, যা গণহত্যার রূপ নিলো৷ তাঁর পরিবারের অনেক সদস্যের মৃত্যু হলেও ইরিস বেঁচে গেলেন৷

বেলজিয়ামের শান্তিরক্ষা বাহিনী শিশু হাসপাতালের মানুষদের উদ্ধার করার সময় তিনিও পালিয়ে যেতে সক্ষম হন৷ সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা করে মুকেশিমানা বলেন, ‘‘আমাদের চাদরের নীচে লুকিয়ে নড়াচড়া না করতে বলা হয়েছিল৷ আমাদের মনে প্রচণ্ড ভয় হচ্ছিলো৷ শুনতে পাচ্ছিলাম লোকেরা বলছে, ওরা পালাচ্ছে, ওরা পালাচ্ছে! তারা আমাদের মেরে ফেলতে চেয়েছিল৷''

বেলজিয়ামে এক পরিবার তাঁর দায়িত্ব নিয়েছিল৷ নিজের প্রাথমিক সমস্যার বর্ণনা করে ইরিস বলেন, ‘‘বেলজিয়ামে এসে আমি উদভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম৷ কীভাবে হ্যালো বলতে হয়, তাও জানতাম না, এক বর্ণ ফরাসি নয়৷''

ইরিস তাঁর অতীতের ঘটনা ভুলতে চান না৷ সামনের দিকে এগিয়ে যেতে তিনি বদ্ধপরিকর৷ সে কারণে তিনি ১২ বছর আগে নিজের নাচের স্কুল খোলেন৷ আশেপাশের মানুষের জীবনে পরিবর্তন আনাই ছিল তাঁর লক্ষ্য৷ তাঁর কথায়, ‘দ্য শো মাস্ট গো অন'৷ 

স্থানীয় কমিউনিটি হলে দর্শকরা একে একে প্রবেশ করছেন৷ টিকিটের অর্থ স্থানীয় এক চ্যারিটিকে দেওয়া হবে৷ ইরিসের সঙ্গী বঁজ্যামা বেনকো মঞ্চ সাজানোর কাজে সাহায্য করছেন৷ তিনি ইরিসের কাজে গর্ব অনুভব করেন৷

হুইলচেয়ারেও নাচের আনন্দে রুয়ান্ডার নারী

03:32

This browser does not support the video element.

মঞ্চের পেছনে গ্রিনরুমে নর্তকীরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ কস্টিউমে শেষ ছোঁয়ার পরই অনুষ্ঠান শুরু হতে পারে৷ মুকেশিমানা বলেন, ‘‘আমি বাধা অতিক্রম করে দেখাতে চাই, যে প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও মানুষ নিজেকে উজাড় করে দিতে পারে এবং নাচের আনন্দ নিতে পারে৷''

ইরিস হাতেনাতে সেই কাজ করে দেখিয়ে আদর্শ হতে চান৷ অন্যরাও যাতে নিজেদের ডানা মেলে ধরতে পারেন, সেটাই তাঁর ইচ্ছা৷

রোসি বিয়র্শার্ড/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ