জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেবী’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘দেবী'৷ ট্রেইলার প্রকাশের পর মাত্র কয়েকদিনেই ভাইরাল হয়েছে এটি৷ এবারই প্রথম আহমেদ-সৃষ্ট চরিত্র মিসির আলিকে বড় পর্দায় দেখা যাবে৷
বিজ্ঞাপন
অনম বিশ্বাস পরিচালিত সরকারি অনুদানে নির্মিত এই ছবিতে রানুর ভূমিকায় অভিনয় করছেন দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান৷ যিনি এই চলচ্চিত্রের প্রযোজকও বটে৷ এটি তাঁর প্রথম প্রযোজনা৷ মিসির আলির চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল চৌধুরী৷ এছাড়া আছেন অনিমেষ আইচ, শবনম ফারিয়াসহ অনেকে৷
১৫ই এপ্রিল ইউটিউব এবং ফেসবুকে একই সাথে পোস্ট করা হয় এই চলচ্চিত্রের ট্রেইলার এবং ব্যাপক সাড়া মিলেছে এতে৷ ফেসবুকে এ পর্যন্ত ৭ লাখ ৭৫ হাজার বার দেখা হয়েছে এটি৷ আর ইউটিউবে দেখা হয়েছে ২ লাখেরও বেশি বার৷ অসংখ্য মন্তব্যে বেশিরভাগ দর্শকই লিখেছেন, তাদের আশা অসাধারণ একটি চলচ্চিত্র দেখার সৌভাগ্য হবে এবং জয়া আহসানের জন্য শুভকামনা জানিয়েছেন অনেকে৷
এ বছরের শীতে ছবিটি মুক্তি পাবে বলে আশা করছেন জয়া আহসান৷
এপিবি/ডিজি
হুমায়ূন আহমেদের কিছু দুর্লভ ছবি
বাংলাদেশের প্রথিতযশা লেখক ও কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের জীবনের কিছু দুর্লভ ছবি পাবেন এই ছবিঘরে৷ ছবিগুলো আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের ভাগনি শবনম হায়দার শর্মি৷
ছবি: privat
গুলতেকিন যখন সঙ্গী
প্রথম স্ত্রী গুলতেকিনের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ৷ উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক ও সমাজ সংস্কারক প্রিন্সিপাল ইবরাহীম খাঁর নাতনি ছিলেন গুলতেকিন৷ প্রেম করার কয়েক বছর পর ১৯৭৩ সালে দুজন বিয়ে করেছিলেন৷ এরপর ২০০৩ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়৷
ছবি: privat
বাবা-মার সঙ্গে
বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ ও মা আয়েশা ফয়েজের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ৷ হুমায়ূনের বয়স যখন ২৩ বছর তখন ১৯৭১ সালের ৫মে পিরোজপুরের তৎকালীন এসডিপিও ফয়জুর রহমান আহমেদ পাক সেনাদের গুলিতে শহীদ হন৷
ছবি: privat
মায়ের সঙ্গে সব ভাইবোন
মা আয়েশা ফয়েজের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ ও তাঁর পাঁচ ভাইবোন৷
ছবি: privat
সম্প্রসারিত পরিবার
হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে মা, বোন ও দুলাভাই সহ অন্যরা
ছবি: privat
ভাইবোনের সঙ্গে
বোন সুফিয়া হায়দার, যাঁকে হুমায়ূন আহমেদ অনেক বইতে শেফু নামে উল্লেখ করেছেন, এবং ছোট ভাই আহসান হাবীবের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ৷
হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যুর পর শর্মি ডয়চে ভেলেকে বলেছিলেন, ‘‘ঈদের সময় বড় মামা যার বয়স যত তার দ্বিগুন সেলামি দিত, মানে আমার বয়স যদি ছয় হতো তাহলে আমি পেতাম ১২ টাকা সেলামি!’’
ছবি: privat
বিয়েতে পালকি
শর্মির বিয়ের সময় নুহাশ পল্লিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন হুমায়ূন আহমেদ৷ সেসময় পালকির ব্যবস্থাও করেছিলেন তিনি৷
ছবি: privat
নুহাশ পল্লী
নুহাশ পল্লীর অনুষ্ঠানে শর্মির স্বামী আদনান সাদেকের সঙ্গে হুমায়ূন আহমেদ৷
ছবি: privat
শুভেচ্ছাপত্র
বিয়ে উপলক্ষ্যে ভাগনি শর্মিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে হুমায়ূন আহমেদের লেখা চিঠি৷
ছবি: privat
এখন জার্মানিতে
ছোট্ট সেই শর্মি এখন অনেক বড় হয়ে গেছেন৷ শর্মির নিজেরই এখন তিনটি মেয়ে রয়েছে৷ স্বামী, সন্তান নিয়ে থাকেন জার্মানির স্টুটগার্টে শহরে৷