1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিরেছে হুম্মাম, বাকিরা কোথায়?

৩ মার্চ ২০১৭

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী সাত মাস অজ্ঞাতস্থানে কাটানোর পর বাড়ি ফিরেছেন৷ দু’টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আরো দু’জনকে ছেড়ে দিতে বলেছে৷

Hummam Quader Chowdhury Sohn des zur Todesstrafe verurteilten Salauddin Quader Chowdhury wird nicht zum Präsidenten vorgelassen
ফাইল ফটোছবি: picture-alliance/Chowdhury

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন হুম্মাম কাদের চৌধুরী, যাকে গত ৪ আগস্ট পুরান ঢাকার আদালত পাড়া থেকে সাদা পোশাক পরা একটি দল তুলে নিয়ে গেছে বলে তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়৷ পরিবারের দাবি ছিল, হুম্মামকে ডিবি পরিচয়ে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে করা এক মামলায় হাজিরা দিতে সেদিন আদালতে গিয়েছিলেন হুম্মাম৷ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্য তাঁকে আটক বা গ্রেপ্তারের কোনো খবর নিশ্চিত করেনি৷

তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই নিয়ে শোরগোল সৃষ্টি হয়েছিল৷ একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হুম্মামসহ নিখোঁজ হয়ে যাওয়া আরো কয়েকজনকে  ছেড়ে দেয়ার দাবি জানায়৷

হুম্মাম ফিরে আসার পর শুক্রবার এক যৌথ বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মীর আহমেদ বিন কাশেম এবং আব্দুল্লাহিল আমিন আযমীর খবর জানানোর আহ্বান জানিয়েছে৷ এই তিন জনকেই গত আগস্ট মাসে নিরাপত্তা বাহিনী আলাদা আলাদা স্থান থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে দাবি করেছিল তাদের পরিবার৷ একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মীর আহমেদ বিন কাশেমের বাবা মীর কাশেম আলী মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং আব্দুল্লাহিল আমিন আজমীর বাবা গোলাম আযম কারাভোগের সময় মৃত্যুবরণ করেন৷ ঢাকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তাদের বিচার করা হয়েছিল, যার বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল একাধিক মানবাধিকার সংস্থা৷ সেই সময় তাদের রাজনৈতিক পরিচয় সামনে এনে দাবি করা হয়েছিল, বিরোধী দল দমনের উদ্দেশ্যে তাদের বিচার করা হচ্ছে৷

‘‘হুম্মাম কাদের চৌধুরীর মুক্তি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ, তবে তাঁকে কোনোভাবেই ‘সিক্রেট ডিটেনশনে' রাখা উচিত হয়নি,'' বলেন হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস৷

তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের এখন মীর আহমেদ বিন কাশেম এবং আব্দুল্লাহিল আমিন আযমীর কী হয়েছে তা তাদের পরিবারকে জানানো উচিত৷ তাদের পরিবার এবং আরো অনেক প্রত্যক্ষদর্শীর সামনে থেকে তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ ফলে এটা অস্বীকারের তেমন কোনো উপায় নেই যে তাদের বলপূর্বক অন্তর্ধানের পেছনে নিরাপত্তা বাহিনীর হাত রয়েছে৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ