1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

জার্মান ফুটবলের উপর কালো ছায়া

২৩ জানুয়ারি ২০১৩

জার্মান ফুটবল জগত খেলোয়াড়দের পারদর্শিতা ও ক্লাব বা জাতীয় পর্যায়ে তাদের সাফল্য নিয়ে ব্যস্ত থাকে৷ কিন্তু হিংসাত্মক ফ্যানদের দৌরাত্ম্য সেই সাফল্যকে ম্লান করে দিচ্ছে৷ গত সপ্তাহান্তের ঘটনাই এটা প্রমাণ করে৷

Hooligans are seen after the Polish Soccer Cup final between Legia Warszawa and Lech Poznan in Bydgoszcz, Poland, Tuesday, May 3, 2011. The incident which brought 40,000 zlotys (US$13,000) in damages prompted officials to call for tighter regulations to assure security during Euro 2012 that Poland is to co-host with Ukraine. (ddp images/AP Photo/Katarzyna Plewczynska) POLAND OUT
ছবি: AP

জার্মান ফুটবল লিগ বুন্ডেসলিগার একটি ম্যাচ চলছিল আইনত্রাখট ফ্রাংকফুর্ট ও বায়ার লেভারকুজেন-এর মধ্যে৷ বায়ার ৩-১ গোলে ম্যাচটি জিতে যায় বটে, কিন্তু হুলিগান বা হিংসাত্মক ফ্যানদের কাণ্ডকারখানার ফলে খেলা প্রায় ৬ মিনিট বন্ধ রাখতে হয়েছিল৷ রেফারি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁদের মাঠ থেকে সরিয়ে দেন৷ গোলমাল শুরু করে ফ্রাংকফুর্ট-এর কিছু হিংসাত্মক দর্শক৷ তারা মুখোশ পরা অবস্থায় অন্য দর্শকদের দিকে লক্ষ্য করে মিসাইল ছুঁড়তে থাকে৷ তার মধ্যে কয়েকটি আবার মাঠে গিয়ে পড়েছিল৷ কোনো খেলোয়াড়ের শরীরে এমন রকেট আঘাত করলে তিনি আহত হতে পারতেন, এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না৷

হুলিগানদের তাণ্ডবে জার্মান ফুটবলের উপর কালো ছায়াছবি: picture-alliance/dpa

এমন ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া শোনা যাচ্ছে৷ জার্মানির জাতীয় ফুটবল দলের কোচ ইওয়াখিম ল্যোভ বলেছেন, কোনো ম্যাচে এ ভাবে বিঘ্ন ঘটানোর মতো ঘটনা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়৷ যে সব দর্শক মিসাইল ছোঁড়ে, সর্বশক্তি প্রয়োগ করে তাদের বিরুদ্ধে সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া উচিত বলে মনে করেন ল্যোভ৷ বোরুসিয়া ডর্টমুন্ড ক্লাবের কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপ স্টেডিয়ামে প্রবেশের আগে সব দর্শকদের তল্লাশি নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন৷

এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়৷ সাম্প্রতিক অতীতে এমন সব ঘটনার জের ধরে জার্মান ফুটবল ফেডারেশন মাঠে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে নতুন কিছু বিতর্কিত নিয়ম চালু করেছে৷ দেশের দুই ফুটবল লিগই গত ১২ই ডিসেম্বর সেই সব নিয়ম মেনে নিয়েছে৷ তবে কিছু ক্লাব আরও এক ধাপ এগিয়ে সন্দেহের বশে যে কোনো দর্শকের শরীরে তল্লাশি চালানোর অধিকার চাইছে৷

জার্মান ফুটবল ফেডারেশন আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে৷ মাঠে আতশবাজি জাতীয় বিস্ফোরক নিয়ে কোনো ক্লাবের ফ্যানরা ধরা পড়লে ক্লাবের উপর জরিমানার অঙ্ক আরও বাড়াতে চায় তারা৷ আইনত্রাখট ফ্রাংকফুর্টকেই এমন জরিমানা দিতে হতে পারে৷ তবে আইনত্রাখট যদি সে দিনের অপরাধীদের সনাক্ত করতে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সহযোগিতা করে, সে ক্ষেত্রে হয়তো জরিমানা নাও দিতে হতে পারে৷ তাছাড়া ফ্যানদের ছাড়াই তাদের একটি ম্যাচ খেলতে হতে পারে৷ কারণ অতীতেও তাদের দর্শকরা এমন তাণ্ডব চালিয়েছে৷ ২০০২ সাল থেকে তারা ফ্যানদের আচরণের কারণে ৪ লক্ষ ৭৩ হাজার ইউরো দিতে বাধ্য হয়েছে বলে একটি ফুটবল বিষয়ক পত্রিকায় দাবি করা হয়েছে৷

হাতে গোনা কিছু হিংসাত্মক দর্শকের কারণে সব ফ্যানদের শাস্তি দেওয়া উচিত নয় বলেও মনে করছে কিছু মহল৷ অন্যদিকে হিংসা বন্ধ করতে সবরকম পদক্ষেপের জন্য চাপও কম নয়৷

এসবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ