1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মাঠে স্ক্যানার

১ ফেব্রুয়ারি ২০১২

জার্মানিতে ফুটবল মাঠে হিংসাত্মক হুলিগ্যানদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে ‘ফেস স্ক্যানার’ বসানোর বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা চলছে৷ পরীক্ষা সফল হলে তা কার্যকর করতে চায় প্রশাসন৷

ফাইল ফটোছবি: football.ir

ফুটবল মাঠে উচ্ছৃঙ্খল দর্শকদের নিয়ন্ত্রণ করতে প্রায়ই হিমশিম খেতে হয় পুলিশ ও প্রশাসনকে৷ এত মানুষের ভিড়ের সুযোগ নিয়ে যারা গোলমাল শুরু করে, তাদের চিহ্নিত করে আটক করা বা দাগী অপরাধীদের স্টেডিয়ামে প্রবেশ বন্ধ করা মোটেই সহজ নয়৷ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তাদের কাছে নির্বিঘ্নে ম্যাচ শেষ করাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ৷ তাই পদে পদে দর্শকদের নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও তাদের কাম্য নয়৷ তাহলে উপায়?

জার্মানির ফুটবল লিগ বুন্ডেসলিগার সময় ঘন-ঘন না হলেও মাঠে গোলযোগ ও হাঙ্গামার ঘটনা একেবারে বিরল নয়৷ ‘ডেয়ার স্পিগেল' পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ বুধবার জানিয়েছে, যে ভবিষ্যতে স্টেডিয়ামের প্রবেশপথে বিশেষ স্ক্যানার বসানো হবে, যা প্রত্যেক দর্শকের মুখচ্ছবি স্ক্যান করে দাগী অপরাধীদের চিহ্নিত করতে পারবে৷ স্টেডিয়ামে তাদের প্রবেশ বন্ধ করতে পারলেই বড় ধরণের অশান্তি আগেভাগেই প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে৷ এই পত্রিকা জানিয়েছে, তারা জার্মানির রাজ্যগুলির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা এমন পরিকল্পনার আগাম আভাস পেয়েছে৷ এমন পদক্ষেপ বাস্তবে কতটা সফল হতে পারে, তা জানতে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও নাকি শুরু হয়ে গেছে৷

চলতি কাঠামো অনুযায়ী পরিচিত ফুটবল হুলিগ্যান'দের মাঠে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়৷ কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত কার্যকর করা মোটেই সহজ নয়৷ তাদের সনাক্ত করা প্রায়ই কঠিন হয়ে পড়ে৷ যন্ত্রের সাহায্যে সেই উদ্যোগকে আরও কার্যকর করতে চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরা৷

বলাই বাহুল্য, এমন পরিকল্পনার ফলে চরম বিতর্ক শুরু হয়ে যেতে পারে৷ তথ্য সংরক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এবং ফুটবল ফ্যানরা বিষয়টিকে যে হাল্কাভাবে নেবেন না, তার প্রমাণ আগেও পাওয়া গেছে৷ পুলিশ বাহিনীর সংগঠন অবশ্য এমন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছে৷ তারা চায়, সব রকম প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে হুলিগ্যানদের মাঠছাড়া করা হোক৷ উল্লেখ্য, জার্মানিতে প্রায় ১৩,০০০ ব্যক্তিকে ফুটবল হুলিগ্যান হিসেবে সনাক্ত করা হয়েছে৷ এক বিশেষ তথ্যভাণ্ডারে তাদের সম্পর্কে তথ্য জমা রয়েছে৷ ‘ফেস স্ক্যানার' সেই তথ্যভাণ্ডারের ভিত্তিতেই কাজ করবে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ