1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাংলাদেশে সন্ত্রাস

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৭ অক্টোবর ২০১৩

চট্টগ্রামে জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসায় এক বিস্ফোরণে ৫ জন ছাত্র আহত হয়েছেন৷ মাদ্রাসাটির পরিচালক হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী৷ পুলিশ দু'জনকে আটক করলেও, তাত্‍ক্ষণিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ জানা যায়নি৷

(ফাইল চিত্র)ছবি: Reuters

চট্টগ্রামের লালখান বাজার এলাকার বিশাল মাদ্রাসা কমপ্লেক্সের একটি চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় সকাল ১১টার দিকে রহস্যজনক ঐ বিস্কোরণটি ঘটে৷ ভবনটি দারুল ইফতা বিভাগের৷ বিস্ফোরণের পর পরই সেখানে আগুন লেগে যায়৷ চট্টগ্রামের সাংবাদিক নাসিরউদ্দিন তোতা ডয়চে ভেলেকে জানান, বিস্ফোরণের আওয়াজে পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়৷

এই ঘটনায় মোট পাঁচজন মাদ্রাসা ছাত্র আহত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে একজনের হাতের কব্জি উড়ে গেছে৷ কিন্তু ঘটনার পর, কোথায় তাঁদের চিকিত্‍সার জন্য ভর্তি করা হয়েছে, তা জানা যায়নি৷ নাসিরউদ্দিন তোতা জানান, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কথা বললেও, তাঁদের সেখানে গিয়ে পাওয়া যায়নি৷ তবে বিস্ফোরণের পর একজন ছাত্র দাবি করেন যে, কম্পিউটারের ইউপিএস থেকে বিস্ফোরণের পর আগুন লেগে যায়৷

ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিস এবং পুলিশের লোকজন ছুটে যান৷ সহকারী পুলিশ কমিশনার আব্দুর রউফ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর জানান, বিস্ফেরণে ছাত্ররা আহত হওয়া ছাড়াও কয়েকটি কম্পিউটার ও আসবাব-পত্র পুড়ে গেছে৷ জানালার গ্রিল উড়ে গেছে এবং সিলিং ফ্যান বেঁকে গেছে৷ যেহেতু তাঁরা যাওয়ার আগেই বিস্ফোরণ স্থলে পানি দেয়া হয়েছে, তাই তাঁরা নিশ্চিত নন কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে৷ তবে মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি ইজহারুল ইসলাম পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন যে, কম্পিউটারের ইউপিএস বিস্ফোরণের কারণেই আগুন লেগেছে৷ আর আহত ছাত্ররা কোথায় আছেন, তা তাঁর নিজেরও জানা নেই বলে দাবি করেছেন তিনি৷

চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানান, তাঁরাও ঠিক নিশ্চিত নন যে কী কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে৷ ঘটনাস্থলে বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ দল কাজ করছে৷ তাঁরা এখন আলামত সংগ্রহ করছেন৷ তাঁদের রিপোর্টেই আসল কারণ জানা যাবে৷ জানা যাবে এটি নাশকতা না দুর্ঘটনা৷ পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে দু'জন মাদ্রাসা ছাত্রকে আটক করে জিজ্ঞাসবাদ করছে বলে জানান তিনি৷ এদিকে বর্তমানে, মাদ্রাসার বিস্ফোরণস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷

লালখান বাজারের জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসাটি পাঁচ একর জায়গা জুড়ে৷ প্রাচীন এই কওমি মাদ্রাসাটিতে মোট ৮টি ভবন রয়েছে৷ মাদ্রাসার পরিচালক মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির এবং নেজামে ইসলামের একাংশের চেয়ারম্যান৷

ওদিকে বিস্ফোরণের পর মাদ্রাসার চারদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ এবং যুবলীগ বিক্ষোভ মিছিল করে মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে বলে প্রকাশ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ