1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

চট্টগ্রাম বিস্ফোরণ

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৮ অক্টোবর ২০১৩

চট্টগ্রামে জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসায় বিস্ফোরণের ঘটনা নাশকতামূলক বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ তাদের দাবি, গ্রেনেড-বোমা তৈরির সময় এটা ঘটে৷ ঘটনার সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী জড়িত বলে সন্দেহ৷

epa03597824 Bangladeshi security forces RAB stand guard in front of Nurani Qawmi Madrasa during the country wide down-to-dusk strike in the Kamrangir Char, Dhaka on 24 February 2013. Reports state that the eight Islamist parties enforced the strike on 24 February 2013, protesting against attacks on their Friday_s demonstrations, and demanding punishment to _atheist_ bloggers. EPA/MONIRUL ALAM 0016
ছবি: picture-alliance/dpa

সোমবারের ঐ বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের মধ্যে একজন মাদ্রাসা ছাত্র মো. হাবিব হাসপাতালে চিকিত্‍সাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার মারা গেছে৷ তার হাতের কব্জি উড়ে গিয়েছিল৷ পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় মুফতি ইজাহারুলসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা হয়েছে চট্টগ্রামের খুলসী থানায়৷ তাদের মধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরী এবং তার ছেলে পালাতক আছেন৷ তাদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে৷

পুলিশ কমিশনার জানান, সোমবার রাতে মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে বিস্ফোরণস্থল থেকে গ্রেনেড ও বোমা তৈরির বিস্ফোরক পাওয়া গেছে৷ পাওয়া গেছে বোমার স্প্লিন্টারও৷ এছাড়া মুফতি ইজাহারুলের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৮টি বোতল অ্যাসিড উদ্ধার করা হয়েছে৷ ইজাহারুলের বাসা মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে৷ তিনি জানান, বিস্ফোরণের পরপরই মাদ্রসার লোকজন পানি ঢেলে বিস্ফোরকের আলামত নষ্টের চেষ্টা করে৷ এছাড়া আগেই আগুনের কথা বলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়ায়, তারা পানি দিয়ে আগুন নেভানোয় বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷

বাংলাদেশের একটি মাদ্রাসার চিত্রছবি: moviemento

তবে পুলিশ কমিশনার জানান, প্রাথমিক তদন্তে তারা জানতে পেরেছেন যে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা মাদ্রাসার ভেতরে গ্রেনেড এবং বোমা তৈরি করছিল৷ তাদের উদ্দেশ্য ছিল পুলিশের ওপরই হামলা করা৷ বিশেষ করে, সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় এগুলো তারা ব্যবহার করতো৷ আগামী ১২ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফরের সঙ্গে এই তত্‍পরতার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা জানতে চাইলে পুলিশ কমিশনার বলেন, এখনও কোনো যোগসূত্র তারা পাননি৷ তবে তদন্ত চলছে৷

এদিকে চট্টগ্রামের সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার ডয়চে ভেলেকে জানান, মুফতি ইজাহারুলের এই মাদ্রাসায় জঙ্গি তত্‍পরতার অভিযোগ ছিল অনেক আগে থেকেই৷ গত বিএনপি সরকারের সময় চট্টগ্রামের বাশখালী এলাকায় অস্ত্র এবং বিস্ফোরকসহ তাঁর বেশ কয়েকজন লোকজন ধরা পড়েছিল৷ তিনি জানান, মুফতি ইজাহার হেফাজতের নায়েবে আমির ছাড়াও নেজামে ইসলামের একাংশের চেয়ারম্যান৷ চট্টগ্রামে গণজাগরণ মঞ্চ প্রতিহত করতে মাদ্রাসা ছাত্রদের তিনিই নেতৃত্ব দিয়েছিলেন৷

চট্টগ্রামের লালখান বাজারের জমিয়াতুল উলুম আল মাদ্রাসাটি পাঁচ একর জায়গা জুড়ে৷ প্রাচীন এই কওমি মাদ্রাসাটিতে মোট ৮টি ভবন রয়েছে৷ তবে সোমবার রাতে পুলিশি অভিযানের পর মাদ্রাসাটি ফাঁকা হয়ে যায়৷ মুফতি ইজাহার ও তাঁর ছেলে হারুন পালিয়ে যাওয়ায়, ছাত্রদের একটা বড় অংশও পালিয়েছে৷ মাদ্রাসার চারপাশে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ৷ অবশ্য এ নিয়ে হেফাজতে ইসলামের বক্তব্য জানতে তাদের একাধিক শীর্ষ নেতার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও, তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া য়ায়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ