শেষ বাঁশির আগেই পেনাল্টি৷ তাতেই ভেঙে গেল ইউভেন্টুসের স্বপ্ন৷ রোনাল্ডোর গোলে আবার চ্যাম্পি্য়ন্স লিগ সেমিফাইনালে উঠে গেল রেয়াল মাদ্রিদ৷
বিজ্ঞাপন
ইনজুরি টাইমের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোলমুখে লুকাস ভাসকেসকে ফাউল করেছিলেন বেনাতিয়া৷ ফলে পেনাল্টি এবং তা থেকে গোল করেন ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো৷ তবে পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল টানটান উত্তেজনা আর নাটকীয়তা৷
রোমার পদাঙ্ক অনুসরণ করতে না পারলেও টানটান উত্তেজনা ছড়িয়েছে ইউভেন্টুস৷ মঙ্গলবার রাতে বার্সেলোনাকে তাদেরই মাঠে ৩-০ গোলে হারিয়ে যে অসাধারণ কীর্তি রোমা গড়েছে, তার খুব কাছাকাছি গিয়েও পারেনি জুভেন্টাস৷
অতিরিক্ত সময়েরও শেষ ক্ষণে পেনাল্টি থেকে রোনাল্ডোর গোলে ভেস্তে গেছে ইউভেন্টুস সমর্থকদের স্বপ্ন৷
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বুধবার রাতে ফিরতি লেগে রিয়ালকে ৩-১ গোলে হারায় ইউভেন্টুস। কিন্তু দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩ গোলে এগিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে যায় জিনেদিন জিদানের দল৷
রোনাল্ডোর গোলটি না হলে দুই লেগ মিলিয়ে সমতায় থাকা ম্যাচটি গড়াতো অতিরিক্ত সময়ে। নাটকীয় এ ম্যাচে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার পর তিন মিনিটের ইনজুরি টাইমেই বাধে গণ্ডগোল৷
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কয়েকটি অবিশ্বাস্য ‘কামব্যাক’
২০১৮ সালে রোমাকে ছিটকে ফেলে চমক দেখিয়েছিল বার্সেলোনা৷ আর ২০১৯ সালে সেই বার্সেলোনাকে চমকে দিয়ে অবিশ্বাস্য এক কামব্যাকে মেসিবাহিনীকে শেষ চার থেকেই ঘরের পথ দেখালো লিভারপুল৷
ছবি: Reuters/Action Images/C. Recine
লিভারপুল-বার্সেলোনা, ২০১৯
নিজেদের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে ৩-০ গোলে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এগিয়ে ছিল মেসি’র বার্সেলোনা৷ দ্বিতীয় লেগে লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে দলের দুই সেরা খেলোয়াড় সালাহ ও ফিরমিনিয়োকে ছাড়াই ৪-০ গোলের এক অবিশ্বাস্য জয় তুলে নিল অলরেডরা৷ অবিশ্বাস্য এই কামব্যাকটি অমর হয়ে থাকবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে৷
ছবি: Reuters/P. Noble
রোমা-বার্সেলোনা, ২০১৮
মঙ্গলবার রাতে রোমার কাছে ৩-০ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে ছিটকে পড়েছে বার্সেলোনা৷ অথচ প্রথম রাউন্ডে নিজেদের মাঠে ৪-১ গোলে জিতেছিল মেসির দল৷ কিন্তু ইটালির দলটি নিজেদের মাঠে বার্সাকে তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ দেখিয়ে দিয়েছে৷
ছবি: Reuters/A. Bianchi
বার্সেলোনা-পিএসজি, ২০১৭
মঙ্গলবার বার্সা পরাজিতদের দিকে থাকলেও তারাই বছরখানেক আগে অবিশ্বাস্য এক লড়াই করে পিএসজিকে প্রতিযোগিতা থেকে বিদায় করে দিয়েছিল৷ শেষ ষোলোর প্রথম রাউন্ডে ৪-০ গোলে জিতেছিল পিএসজি৷ কিন্তু বার্সার মাঠে গিয়ে ৬-১ গোলে হেরে যায় তারা৷ বার্সার শেষ তিন গোলের প্রথমটি এসেছিল ৮৭ মিনিটে৷ আর শেষ গোলটি হয়েছিল অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে৷ এখন পর্যন্ত বার্সা ছাড়া আর কোনো দল চার গোলের ব্যবধান অতিক্রম করতে সক্ষম হয়নি৷
ছবি: Reuters/A. Gea
ডেপোর্টিভো লা কোরুনা-এসি মিলান, ২০০৪
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম রাউন্ডে ৪-১ গোলে হারের পর স্পেনের ক্লাব ডেপোর্টিভো লা কোরুনা দ্বিতীয় রাউন্ডে ইটালির এসি মিলানকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল৷
ছবি: Imago/PanoramiC
লিভারপুল-এসি মিলান, ২০০৫
আগের বছর কোয়ার্টার ফাইনালে ডেপোর্টিভো লা কোরুনার কাছে অবিশ্বাস্য হারের পরের বছরই আবারও কপাল পোড়ে এসি মিলানের৷ তবে এবার ফাইনালে তাদের হারায় লিভারপুল৷ ম্যাচের প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়েছিল ইটালীয় ক্লাবটি৷ পরে গোলগুলো পরিশোধ করে ফেলে লিভারপুল৷ শেষমেষ টাইব্রেকারে গিয়ে ৩-২ গোলে হেরে যায় পাওলো মালদিনির এসি মিলান৷
ছবি: Imago/Buzzi
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড-বায়ার্ন মিউনিখ, ১৯৯৯
সম্ভবত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে নাটকীয় শেষ দুই মিনিট দেখেছে এই ম্যাচ৷ খেলার পুরো সময়টা এক গোলে এগিয়ে ছিল জার্মানির বায়ার্ন৷ ৯১ মিনিটের সময় সেই গোল পরিশোধ করে অ্যালেক্স ফার্গুসনের ম্যান ইউ৷ পরের মিনিটেই আরেকটি গোল করে বায়ার্নের কাছ থেকে একরকম মুকুটটি কেড়েই নেয় ইংলিশ ক্লাবটি৷
ছবি: Getty Images/Phil Cole /Allsport
মোনাকো-রেয়াল মাদ্রিদ, ২০০৪
কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম রাউন্ডে ৪-২ গোলে হেরেছিল মোনাকো৷ ফলে দ্বিতীয় রাউন্ডের আগে অনেকে ধরেই নিয়েছিলেন হয়ত রেয়াল মাদ্রিদই যাচ্ছে সেমিফাইনালে৷ এরপর খেলা শুরু হওয়ার পর ৩৬ মিনিটে যখন রেয়ালের রাউল গোল করেন, তখন তো সেই বিশ্বাস আরও সুদৃঢ় হয়৷ কিন্তু হিসাব যদি এত সরলই হবে, তাহলে সমর্থকরা আর ফুটবল দেখবেন কেন? তাইতো পরপর তিন গোল করে রেয়ালকে প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে ফেলেছিল মোনাকো৷
ছবি: Imago/Ulmer
বার্সেলোনা-চেলসি, ২০০০
প্রথম পর্বে ৩-১ গোলের হার ছিল বার্সার৷ পরের পর্বের শুরুতে দুই গোল করে বার্সা ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিল৷ কিন্তু ৬০ মিনিটের সময় বার্সার মাঠে চেলসি একটি গোল করে বসলে বার্সা সমর্থকদের মধ্যে স্বপ্ন ভেঙে যাওয়ার আশংকা জেগেছিল৷ এরপর খেলা শেষের সাত মিনিট আগে গোল করে সমতায় ফেরে কাটালানরা৷ পরে অতিরিক্ত সময়ের খেলায় দুটো গোল করে উতরে যায় বার্সা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dalmau
8 ছবি1 | 8
তখনই পেনাল্টি সীমানায় ভাসকেসকে ফাউল করাকে কেন্দ্র করে জুভেন্সেটাসের গোলরক্ষক বুফন রেফারির সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে লাল কার্ড দেখেন৷ বুফনের মতে, ভাসদেসকে করা ঐ ট্যাকলটি পেনাল্টি দেয়ার মতো ছিল না৷
দীর্ঘদিন ইতালির জাতীয় দলের গোলবার সামলানো বুফন অবশ্য হতাশা থেকে এমনটা বলতেই পারেন, কেননা, তিনবার ফাইনাল খেলা গোলরক্ষক একে তো কখনো কাপ জেতেননি, তারপর আবার এটাই হ তে পারে তাঁর ক্যারিয়ারের শেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ!
বুধবার রাতে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে প্রথম আক্রমণেই এগিয়ে যায় ইউভেন্টুস৷ সামি খেদিরার ক্রস পেয়ে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মারিও মানজুসিচ৷
শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে গুছিয়ে ওঠা স্বাগতিকরা দশম মিনিটে প্রথম সুযোগ তৈরি করে। তবে গ্যারেথ বেলের ব্যাকহিল অল্পের জন্য লাগে পাশের জালে। তিন মিনিট পর দুরূহ কোণ থেকে জালে বল পাঠান ইসকো; কিন্তু অফসাইডের বাঁশি বাজে।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ওঠা লড়াইয়ে ৩৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মানজুসিচ। এটা যেন আগের গোলেরই পুনরাবৃত্তি। এবার সুইস ডিফেন্ডার স্টেফান লিখটস্টাইনারের ক্রসে হেডে বল জালে পাঠান ক্রোয়েশিয়ার এই ফরোয়ার্ড।
৬০তম মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলে তৃতীয় গোল হজম করে রেয়াল। ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার কস্তার ক্রসে তেমন কোনো বিপদের হুমকি ছিল না। কিন্তু হাতে আসা বল ধরতে গিয়ে তালগোল পাকান নাভাস। হাত ফসকে বেরিয়ে যাওয়া বল গোলমুখে পেয়ে জালে ঠেলে দেন ফরাসি মিডফিল্ডার মাতুইদি। দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন ৩-৩; কোণঠাসা টানা দুবারের চ্যাম্পিয়নরা।
বিশ্ব ফুটবলের সর্বকালের সেরা একাদশ
এই একাদশ বাছাই নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই৷ কয়েকবছর আগে বিশ্লেষক ও সাংবাদিকদের ভোটে নির্বাচিত এই একাদশ প্রকাশ করেছিল বিশ্বখ্যাত ফুটবল ম্যাগাজিন ওয়ার্ল্ড সকার৷ দেখুন কারা ছিলে ৪-৪-২ ফর্মেশন মাথায় রেখে গড়া সেই দলে৷
ছবি: AP
গোলরক্ষক: লেভ ইয়াসিন
ফুটবলে গোলরক্ষকের নাম নেয়া হবে আর লেভ ইয়াসিনের নাম আসবে না তা হতে পারে না৷ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের এই গোলরক্ষক খেলেছেন ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৬৬ বিশ্বকাপ৷ ১৯৫৬ সিডনি অলিম্পিকে জিতিয়েছিলেন দেশকে৷ ভোটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েই একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি৷
ছবি: picture-alliance/empics
লেফট ব্যাক: পাওলো মালদিনি
বিশ্ব ফুটবলের সেরা ডিফেন্ডার কে? অবলীলায় এই নামটি চলে আসবে৷ ভোটেও তাই হয়েছে৷ নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর দ্বিগুণ ভোট পেয়েছেন তিনি৷ ১৯৯০, ১৯৯৪ ও ১৯৯৮-র বিশ্বকাপে খেলেছেন এই ইটালিয়ান ডিফেন্ডার৷ ১৯৯৪-এর বিশ্বকাপে ব্রাজিলের বিপক্ষে ইটালির টাইব্রেকার হার একটুর জন্য তাঁকে শিরোপার নাগাল পেতে দেয়নি৷
ছবি: picture-alliance/AP-Photo/B. Luca
রাইট ব্যাক: কাফু
টানা তিন বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছেন তিনি৷ জিতেছেন ১৯৯৪ ও ২০০২ বিশ্বকাপ৷ এর মধ্যে ২০০২-এ ব্রাজিল দলের নেতৃত্বে ছিলেন৷ ভোটে ডিফেন্ডারদের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানটি ছিল কাফু’র৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার: ফ্রানৎস বেকেনবাওয়ার
ফুটবলের ইতিহাসে বেকেনবাওয়ারই একমাত্র খেলোয়াড় যিনি কোচ, খেলোয়াড় বা অধিনায়ক থাকাকালে দেশকে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন৷ এই কিংবদন্তীর নেতৃত্বে জার্মানি বিশ্বকাপ জেতে ১৯৭৪ সালে৷ আর কোচ হিসেবে ডয়েচলান্ডকে আবারো শিরোপার স্বাদ দেন ১৯৯০-এ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার: ববি মুর
ইংল্যান্ডের একমাত্র বিশ্বকাপটি (১৯৬৬) জয়ে নেতৃত্ব দেন এই কিংবদন্তী ডিফেন্ডার৷ তাঁর পায়ের দক্ষতা আর রক্ষণভাগে দেয়াল তৈরি করে প্রতিপক্ষকে কঠিন সময় উপহার দেয়ার কৌশল তাঁকে জায়গা করে দিয়েছে একাদশে৷ তবে ভোটের মাঠে এর জন্য তাঁকে ইটালির ফ্র্যাঙ্কো বারেৎসি’র সঙ্গে কঠিন লড়াই করতে হয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিডফিল্ডার: আলফ্রেডো ডি স্টেফানো
যে চারজন মিডফিল্ডার একাদশে জায়গা পেয়েছেন, তাঁদের মধ্যে আলফ্রেডো ডি স্টেফানো সবচেয়ে কম ভোট পেয়েছেন৷ এই প্রতিভাবান ফুটবলারের বিশেষ দিক হলো তিনি যে কোনো পজিশনে খেলতে পারতেন৷ অসম্ভব স্ট্যামিনার অধিকারী ছিলেন৷ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে তিনি আর্জেন্টিনা ও স্পেনের হয়ে খেলেছেন৷ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে খেললেও মূল পর্বে খেলা হয়নি তাঁর৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মিডফিল্ডার: জিনেদিন জিদান
জিদানের পায়ের জাদু’র প্রশংসা করেন না এমন ফুটবলপ্রেমী পাওয়া মুশকিল৷ স্কিলের দিক থেকে অনেকেই তাঁকে মারাদোনা আর পেলের সঙ্গেই তুলনা করেন৷ ১৯৯৮-এর বিশ্বকাপ জয়ে ফ্রান্সের নায়ক ছিলেন তিনিই৷ এমনকি ২০০৬ বিশ্বকাপেও সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিলেন৷ তবে সেবার ইটালির মাতেরাৎসিকে মাথা দিয়ে গুঁতো মেরে অনেক সমালোচনার ভাগীদারও হন৷
ছবি: picture-alliance/DPPI
মিডফিল্ডার: ইয়োহান ক্রুইফ
হল্যান্ডের এই কীর্তিমান ফুটবলার যে একাদশে থাকবেন তা জানাই ছিল৷ টোটাল ফুটবলের একরকম জনকই তিনি৷ তাঁর কৌশলের কাছে প্রতিপক্ষরা যেন দাঁড়াতেই পারতেন না৷ তাঁর নৈপূণ্যে ১৯৭৪ বিশ্বকাপে পূর্ব জার্মানি, আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছায় হল্যান্ড৷ কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে পশ্চিম জার্মানির কাছে ধরাশায়ী হয়৷
ছবি: Getty Images/Keystone
মিডফিল্ডার: ডিয়েগো মারাদোনা
ফুটবলের সবচেয়ে জনপ্রিয় বিতর্ক হলো, সর্বকালের সেরা কে? পেলে, না মারাদোনা? এই ফুটবল জাদুকরের জাদু অবশ্য ১৯৮২-তেই দেখেছিল বিশ্ব৷ কিন্তু সেবার তেমন একটা সুবিধা করতে পারেননি৷ এরপর প্রায় একক নৈপূণ্যেই আর্জেন্টিনাকে জিতিয়েছিলেন ১৯৮৬-র বিশ্বকাপ৷ ১৯৯০ সালেও ফাইনালে খেলেছে তাঁর দল৷ তাঁর ‘ঈশ্বরের হাত’-এর গল্প কার না জানা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্ট্রাইকার: পেলে
সর্বকালের সেরা বিতর্কের আরেক নায়ক পেলে৷ ‘কালোমানিক’ নামেও পরিচিত৷৷ ব্রাজিল ও ফুটবল উভয়কেই মহিমান্বিত করেছেন এই কিংবদন্তী৷ ১৯৬২ বিশ্বকাপে তিনি দ্বিতীয় ম্যাচে ইনজুরির শিকার হয়ে আর খেলতে পারেননি৷ তবে সেই বিশ্বকাপ জেতে ব্রাজিল৷ পরের বিশ্বকাপে ব্রাজিল অবশ্য আগেই বাদ পড়ে যায়৷ প্রচুর ফাউলের শিকার হন পেলে৷ তবে ১৯৭০-এর বিশ্বকাপে চরম নৈপূণ্য দেখিয়ে জিতে নেন শিরোপা৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্ট্রাইকার: লিওনেল মেসি
একাদশে এ সময়ের একমাত্র প্রতিনিধি হলেন লিওনেল মেসি৷ যদিও এখনো বিশ্বকাপে মেসির জাদুর প্রতিফলন তেমন একটা ঘটেনি, তারপরও তাঁর নৈপুণ্য তাঁকে সেরা একাদশে জায়গা করে দিয়েছে৷ শুধু তাই নয়, পেলে ও মেসির মাঝে ব্যবধান গড়েছে মাত্র ১০টি ভোট৷
ছবি: Reuters/A. Raggio
11 ছবি1 | 11
দ্বিতীয়ার্ধে গ্যারেথ বেল ও কাসেমিরোকে মাঠে না নামিয়ে বদলি হিসেবে লুকাস ভাসকেস এবং মার্কো আসেনসিওকে পাঠান জিদান৷
সেই ভাসকেসকেই ফাউল করার অপরাধে পেনাল্টি থেকে গোল খেয়ে বিদায় নিল ইউভেন্টুস৷
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে ওঠা চারটি দল হলো- বায়ার্ন মিউনিখ, রোমা, রেয়াল মাদ্রিদ আর লিভারপুল৷ সেমিফাইনালে কে কার সাথে খেলবে শুক্রবার সেটি নির্ধারিত হবে ড্র-এর মাধ্যমে৷