জার্মানির সদ্যপ্রয়াত সাবেক চ্যান্সেলর হেলমুট কোলকে স্পায়ার শহরে সমাহিত করা হয়েছে৷ এর আগে স্পায়ার ক্যাথিড্রালে কোলের সম্মানে ‘রিকুইয়েম মাস’ অনুষ্ঠিত হয়৷
বিজ্ঞাপন
জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের চ্যান্সেলর হিসেবে পরিচিত হেলমুট কোলকে শনিবার সকালে স্ট্রাসবুর্গের ইউরোপীয় সংসদে সম্মান জানানো হয়৷ সেইসময় সেখানে জার্মানির প্রেসিডেন্ট ও চ্যান্সেলর সহ জার্মান মন্ত্রিসভা ও সংসদের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন৷ এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ইইউ-র ১৪ জন বর্তমান সরকার প্রধান সহ ইইউ-র শীর্ষ নেতৃবৃন্দ ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন৷ রাশিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ৷
স্ট্রাসবুর্গে অনুষ্ঠান শেষে হেলিকপ্টারে করে কোলের কফিন প্রথমে জার্মানিতে তাঁর জন্মস্থান ল্যুডভিগসহাফেনে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেই সময় কোলের কফিন জার্মান পতাকা দিয়ে মোড়ানো ছিল৷ স্ট্রাসবুর্গের অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা হয়েছিল ইইউ-র পতাকা৷
হেলমুট কোলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া
শনিবার জার্মানির সাবেক চ্যান্সেলর হেলমুট কোলকে শেষ বিদায় জানান জার্মানি ও ইউরোপ সহ বিশ্বের নেতারা৷ গতমাসের ১৬ তারিখ ৮৭ বছর বয়সে মারা যান তিনি৷
ছবি: REUTERS
স্ট্রাসবুর্গে বিশ্বনেতারা
ইউরোপের বিশটি দেশের রাজনীতিবিদরা এবং সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন স্ট্রাসবুর্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আয়োজিত হেলমুট কোলের শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন৷ গত ১৬ জুন ৮৭ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন দুই জার্মানির পুনরেকত্রীকরণের এই নায়ক৷
ছবি: Reuters/A. Wiegmann
‘তিনি একজন সত্যিকারের ইউরোপিয়ান’
‘‘হেলমুট কোল ছিলেন একজন সত্যিকারের ইউরোপীয় এবং একজন বন্ধু৷ ইউরোপ তাঁর কাছে অনেক ঋণী,’’ বলেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জঁ ক্লোদ ইয়ুঙ্কার৷
ছবি: picture alliance/dpa/S. Hoppe
‘কোল ছাড়া আমার জীবন সম্পূর্ণ ভিন্ন হতো’
দুই জার্মানিকে একত্রীকরণের মাধ্যমে কোটি কোটি মানুষের ভাগ্য বদলে দিয়েছিলেন কোল, স্ট্রাসবুর্গে সেকথা উল্লেখ করার পাশাপাশি নিজের জীবনে কোলের অবদানের কথাও অকপটে স্বীকার করেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল৷ তিনি বলেন, ‘‘হেলমুট কোলের অবদান না থাকলে আমার জীবনও সম্পূর্ণ ভিন্ন হতো৷’’ জার্মান রাজনীতিতে ম্যার্কেল শক্ত অবস্থান গড়েছিলেন কোলের হাত ধরেই৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/M. Euler
‘আমি এই মানুষটাকে ভালোবেসেছিলাম’
স্ট্রাসবুর্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পতাকায় ঢাকা হেলমুট কোলের কফিনের সামনে দাঁড়িয়ে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন বলেন, ‘‘আমি এই মানুষটাকে (কোল) ভালোবেসেছিলাম কেননা তিনি এমন একটি বিশ্ব গড়তে চেয়েছিলেন যেখানে কেউই অধীনস্থ নয়৷ এমন একটি বিশ্ব যেখানে সংঘাতের চেয়ে সহযোগিতা ভালো৷ যেখানে বিভিন্ন গ্রুপ স্বতন্ত্র একনায়কদের চেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নেবে৷’’
ছবি: picture alliance / Sven Hoppe/dpa
‘কোল শুধু জোট সঙ্গী নন, বন্ধু ছিলেন’
স্ট্রাসবুর্গে কোলের শেষকৃত্যে অংশ নেয়া ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বলেন, ‘‘ফ্রান্সের জন্য কোল ছিলেন একজন মুখ্য সংলাপে অংশগ্রহণকারী, একজন গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী, একজন নিরন্তর সেতুবন্ধনকারী - আর ফ্রান্সের কাছে এসবের চেয়েও বেশি হচ্ছে তিনি একজন বন্ধু ছিলেন৷’’
ছবি: picture alliance/dpa/S. Hoppe
জাহাজে করে স্পায়ারে
স্ট্রাসবুর্গে অনুষ্ঠান শেষে কোলের কফিন প্রথমে তাঁর জন্মস্থল ল্যুডভিগসহাফেনে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর কফিনটি এই জাহাজে করে রাইন নদী দিয়ে স্পায়ারে নিয়ে যাওয়া হয়৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/U. Anspach
স্পায়ারে পৌঁছার পর
স্পায়ারে পৌঁছার পর কোলের কফিন এই গাড়িতে করে স্পায়ার ক্যাথিড্রালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখানে ‘রিকুইয়েম মাস’ (মৃত ব্যক্তির আত্মার সদগতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত প্রার্থনা সংগীত) অনুষ্ঠিত হয়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/F. Kästle
স্পায়ার ক্যাথিড্রাল
এই ক্যাথিড্রালেই ‘রিকুইয়েম মাস’ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ কোল এই ক্যাথিড্রাল বেশ পছন্দ করতেন৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বোমার হাত থেকে বাঁচতে তিনি প্রায়ই এই ক্যাথিড্রালে আশ্রয় নিতেন বলে জানিয়েছেন৷ চ্যান্সেলর থাকাকালীন জার্মানি সফর করা উচ্চ পর্যায়ের রাষ্ট্রপ্রধানদের অনেককে তিনি এই ক্যাথিড্রাল দেখাতে নিয়ে গিয়েছিলেন৷
ছবি: Klaus Landry
সমাধিস্থল
ছবিতে স্পায়ার ক্যাথিড্রাল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আডেনাওয়ার পার্ক দেখতে পাচ্ছেন৷ সেখানকার কবরস্থানেই সমাহিত করা হয়েছে জার্মানিতে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সময়, ১৬ বছর, চ্যান্সেলর পদে থাকা রাজনীতিবিদ কোলকে৷
ছবি: Klaus Landry
9 ছবি1 | 9
ল্যুডভিগসহাফেনে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর কোলের কফিন জাহাজে করে রাইন নদী দিয়ে স্পায়ার ক্যাথিড্রালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেই সময় রাস্তা ও রাইনের ধারে দাঁড়িয়ে অনেক মানুষ কোলকে শেষ বিদায় জানান৷
স্পায়ার ক্যাথিড্রালে ‘রিকুইয়েম মাস’ (মৃত ব্যক্তির আত্মার সদগতির উদ্দেশ্যে নিবেদিত প্রার্থনা সংগীত) অনুষ্ঠিত হয়৷ সেই সময় বিশপ কার্ল-হাইনৎস ভিজেমান বলেন, কোল ছিলেন একজন ‘সত্যিকারের মহান স্টেটসম্যান’৷ এই অনুষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ের অনেক ব্যক্তির উপস্থিতি জার্মানি ও ইউরোপে কোলের গুরুত্বপূর্ণ অর্জনেরই স্বীকৃতি বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ স্পায়ার ক্যাথিড্রালের অনুষ্ঠানেও সাবেক ও বর্তমান অনেক বিশ্ব নেতা অংশ নেন৷ জার্মান প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক ভাল্টার স্টাইনমায়ার ও চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল ছাড়াও ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিন্টন ও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জ্যঁ-ক্লোদ ইয়ুংকার৷ কোলের দ্বিতীয় স্ত্রী মাইকে কোল-রিশটার ক্লিন্টন ও ইয়ুংকারের মাঝে বসেছিলেন৷
কোলকে ইতিহাস কিভাবে স্মরণ করবে?
01:58
মাস-এর শেষ পর্যায়ে ক্যাথিড্রালের ‘এম্পেরর বেল’ থেকে ঘণ্টাধ্বনি বাজানো হয়৷ ঐ ক্যাথিড্রালে সমাহিত থাকা আট রোমান সম্রাটের নামে ঐ বেলটির নামকরণ করা হয়েছে৷ ঘণ্টাধ্বনি শেষে ক্যাথিড্রাল থেকে কফিন বের করে বাইরে সামরিক মর্যাদায় কোলকে সম্মান জানানো হয়৷
এরপর ক্যাথিড্রাল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আডেনাওয়ার পার্কের কবরস্থানে কোলকে সমাহিত করা হয়৷ সেই সময় শুধু পরিবারের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সদস্য উপস্থিত ছিলেন৷
পুলিশ বলছে, ল্যুডভিগসহাফেন থেকে স্পায়ারে নিয়ে কোলের কফিন নিয়ে যাওয়ার সময় নিরাপত্তা দিতে প্রায় তিন হাজার পুলিশ মোতায়েন ছিল৷ স্পায়ারে ক্যাথিড্রালের ভেতরের অনুষ্ঠান দেখাতে বাইরে একটি বিশাল টিভি স্ক্রিন বসানো হয়েছিল৷
জেডএইচ/ডিজি (ডিপিএ, ইপিডি)
জার্মানির ‘পুনর্মিলনের চ্যান্সেলর’ হেলমুট কোল (১৯৩০-২০১৭)
‘বিংশ শতাব্দীর বিসমার্ক’ হিসেবে গণ্য হতেন যুদ্ধোত্তর জার্মানির প্রবাদপ্রতিম রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হেলমুট কোল৷প্রাক্তন চ্যান্সেলর হেলমুট কোল পরলোক ৮৭ বছর বয়সে পরলোক গমন করেছেন৷
ছবি: dapd
আর কেউ এতদিন চ্যান্সেলর থাকেননি
১৯৮২ সালের ১লা অক্টোবর হেলমুট কোল প্রথমবার চ্যান্সেলর হন৷ ১৬ বছর ধরে এই পদে অধিষ্টিত ছিলেন, অন্য যে কোনো চ্যান্সেলরের চেয়ে বেশি৷ তাঁর রাজনৈতিক জীবনের পরম মুহূর্ত ছিল বার্লিন প্রাকারের পতন এবং জার্মানির পুনর্মিলনে৷ ১৯৯৮ সালের নির্বাচনে তাঁর দল ব্যাপকভাবে হারার পর কোল সিডিইউ সভাপতি হিসেবে পদত্যাগ করেন - যে পদ তিনি ২৫ বছর ধরে অলঙ্কৃত করেছেন৷
ছবি: dapd
আডেনাউয়ার-এর আমলে রাজনৈতিক উত্থান
১৯৪৭ সালে হেলমুট কোল সিডিইউ-তে যোগদান করেন৷ তিনি তাঁর জন্মের শহর লুডভিগসহাফেনে ‘যুব ইউনিয়ন’ প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছিলেন৷ ১৯৫০ সালে আইন পড়তে শুরু করেন, পরে তার সঙ্গে যোগ হয় ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান৷ দলে খুব তাড়াতাড়ি পদোন্নতি ঘটে কোল-এর৷ ১৯৬৬ সাল থেকেই তিনি সিডিইউ দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য৷
ছবি: picture alliance / dpa
তরুণ মুখ্যমন্ত্রী
১৯৬৬ সালে হেলমুট কোল রাইনল্যান্ড-প্যালেটিনেট রাজ্যে সিডিইউ দলের সভাপতি হন, এবং তার তিন বছর পরে, ১৯৬৯ সালের মে মাসে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী পেটার আল্টমায়ার-এর স্থলাভিষিক্ত হন৷ দু’বছর পরে আরেক সাফল্য: হেলমুট কোল-এর নেতৃত্বে সিডিইউ দল ১৯৭১ সালের রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়৷
ছবি: AP
সুখি পরিবার
বিশেষ করে ছুটি কাটানোর ফটোগুলিতে হেলমুট কোল একটি সুখি পরিবারের ছবি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন কিন্তু বাস্তবে তাঁর স্ত্রী হানেলোরে এবং দুই পুত্র ভাল্টার ও পেটার বাবা বাড়িতে না থেকে কাজে থাকায় কষ্ট পেয়েছেন৷ ভাল্টার কোল পরে সেই স্মৃতিচারণ করেন৷
ছবি: imago/Sven Simon
পঁচিশ বছর ধরে সিডিইউ প্রধান
১৯৭৩ সালের জুন মাসে হেলমুট কোল খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রী দলের সভাপতি নির্বাচিত হন৷ ২৫ বছর ধরে তিনি এই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন৷ প্রথমবারের সেই নির্বাচন ছিল বন শহরে, একটি বিশেষ দলীয় সম্মেলনে৷ কোল-এর অভিব্যক্তিতে বিজয়োল্লাস৷
ছবি: picture-alliance/dpa
জীবন যেরকম
১৯৮২ সালে এসপিডি-এফডিপি সরকারি জোটে ভাঙণ ধরার পর মুক্ত গণতন্ত্রীরা ঝোঁকেন খ্রিষ্টীয় গণতন্ত্রীদের দিকে৷ তৎকালীন চ্যান্সেলর হেলমুট স্মিট-কে আস্থাভোটে পরাজিত করে উভয় দল হেলমুট কোল-কে নতুন সরকারপ্রধান নির্বাচিত করে৷ স্মিট স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে কোল-কে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
অন্য এক পুনর্মিলন
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া মিতেরঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর হেলমুট কোল পরমসখার মতো হাতে হাত ধরে? ছবিটি বিশ্বের সর্বত্র ছাপা হয়েছিল৷ সময়: ১৯৮৪ সাল৷ স্থান: ভ্যার্দঁ-তে জার্মান-ফরাসি মৈত্রী অনুষ্ঠান, যে অনুষ্ঠানে দুই নেতা পরস্পরের দিকে হাত বাড়িয়ে দেন৷
ছবি: MARCEL MOCHET/AFP/Getty Images
জার্মান পুনর্মিলন
১৯৮৯ সালে বার্লিন প্রাচীরের পতনের পর কোল বিভক্ত জার্মানির পুনর্মিলনের ব্যাপারে আন্তর্জাতিক আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যান৷ ১৯৯০ সালের ৩রা অক্টোবর সাবেক পূর্ব জার্মানি ফেডারাল জার্মান প্রজাতন্ত্রে যোগদান করে – কোল তাঁর রাজনৈতিক জীবনের তুঙ্গে পৌঁছন৷ বার্লিনে রাইশটাগ-এর সোপান থেকে হাত নাড়ছেন কোল ও তাঁর তৎকালীন স্ত্রী হানেলোরে৷
ছবি: picture alliance/dpa
ম্যার্কেলের গুরুপ্রতিম
হেলমুট কোল ছাড়া বর্তমান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল জার্মান রাজনীতিতে এতোবড় ভূমিকা নিতে পারতেন কিনা, বলা শক্ত৷ নব্বইয়ের দশকে কোল সাবেক পূর্ব জার্মানির রাজনীতিকটিকে প্রথমে ফেডারাল পরিবার মন্ত্রক, পরে পরিবেশ মন্ত্রকের দায়িত্ব দেন৷
ছবি: picture alliance / dpa
১৬ বছর চ্যান্সেলর থাকার পর বিদায়
১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের সংসদীয় নির্বাচনে সিডিইউ দলের পরাজয় ঘটে, আসে চ্যান্সেলর গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার-এর লাল-সবুজ সরকার৷ প্রথা অনুযায়ী সামরিক প্যারেড সহ বিদায় দেওয়া হয় হেলমুট কোল-কে৷
ছবি: picture-alliance/dpa
স্ত্রীবিয়োগ
২০০১ সালে আত্মহত্যা করেন হেলমুট কোল-এর ৪১ বছরের সহধর্মিনী হানেলোরে কোল৷ একটি দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে তিনি সূর্যালোক সহ্য করতে পারতেন না৷
ছবি: AP
নবজীবন
হানেলোরোর মৃত্যুর চার বছর পরে হেলমুট কোল তাঁর চেয়ে ৩৪ বছর কম বয়সের মাইকে রিশটার-কে বিবাহ করেন৷