1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ঘুসের অভিযোগ

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩

ভারত-ইটালি হেলিকপ্টার বেচাকেনায় ঘুস কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে৷ দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক তদন্তের আদেশ দিয়েছে৷ ইটালির তদন্ত রিপোর্টে ভারতের বিমান বাহিনীর প্রাক্তন প্রধানের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে৷

A UH-60 Black Hawk helicopter piloted by a crew from the Idaho Army National Guard Citizen Soldiers of Company A, 1-168 General Support Aviation Battalion lifts off from Gowen Field in Boise, Idaho on Saturday, April 7, 2012 as part of a one-year deployment to Afghanistan. (Foto:Idaho Press-Tribune, Charlie Litchfield/AP/dapd)
ফাইল ফটোছবি: dapd

ভারত-ইটালি হেলিকপ্টার বেচাকেনায় ঘুস কেলেঙ্কারির অভিযোগে ইটালির আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা নির্মাণ সংস্থা ফিনমেকানিকা-র প্রধানকে ইটালির পুলিশ গ্রেপ্তার করার পর ভারতে তার রাজনৈতিক অভিঘাতে আবার কেঁপে উঠেছে মনমোহন সিং-এর জোট সরকার৷ প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি তড়িঘড়ি কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো সিবিআই তদন্তের আদেশ দিয়ে বলেন, তদন্ত রিপোর্ট হাতে আসার পর কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে চুক্তির স্বচ্ছতার ভিত্তিতে৷ যেমন চুক্তি বাতিল করা, কোম্পানিকে ব্ল্যাকলিস্ট করা এবং মামলা দায়ের করা ইত্যাদি৷

২০১০ সালে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর মত ভিভিআইপিদের জন্য তিন ইঞ্জিন বিশিষ্ট ১২টি আধুনিক হেলিকপ্টার কেনার চুক্তি হয়, ইটালির প্রতিরক্ষা নির্মাণ সংস্থা ফিনমেকানিকার সহায়ক কোম্পানি আগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডের সঙ্গে৷ চুক্তির অর্থমূল্য ৩,৭০০ কোটি ভারতীয় টাকা৷ ১২টির মধ্যে তিনটি কপ্টার ইতিমধ্যেই ভারতে এসে গেছে৷ বাকিগুলি আসবে ২০১৪ সালে৷

অভিযোগ উঠেছে, এই চুক্তি পাকা করার জন্য একটি ভারতীয় কোম্পানিকে চুক্তি মূল্যের ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৩৭০ কোটি টাকা ঘুস দেয়া হয়৷ এই ব্যাপারে ঐ কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে যাঁরা কাজ করেছিলেন, তাঁরা ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রাক্তন প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এস পি ত্যাগীর নিকট আত্মীয়৷

ত্যাগী এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘‘এই খবরে আমি স্তম্ভিত৷ তাঁরা আমার আত্মীয় কিন্তু ঐ পর্যন্ত৷ কি করে ইটালির তদন্ত রিপোর্টে আমার নাম উঠলো জানি না৷''

আগামী বছর দেশে সাধারণ নির্বাচনের মুখে আরো একটি প্রতিরক্ষা কেলেঙ্কারির অভিযোগ সম্ভবত কেন্দ্রের কংগ্রেস-জোট সরকারের কফিনে শেষ পেরেক বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা৷

বলা বাহুল্য, প্রধান বিরোধী দল বিজেপি এই সুযোগ কাজে লাগাবে৷ আঙুল তোলা হয়েছে সোনিয়া গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রীর দিকে৷ প্রশ্ন উঠছে, কোম্পানিটা ইটালির বলেই কি তদন্ত শুরু করতে এত দেরি?

কপ্টার চুক্তিতে ইটালি উপকৃত, ইটালির কোম্পানি লাভবান৷ তবু ইটালি সরকার অনেক আগেই তদন্ত শুরু করেছে এবং গ্রেপ্তার করেছে ঐ কোম্পানির কর্ণধারকে৷ ঘটনাটি রাজীব গান্ধীর আমলে বোফর্স কেলেঙ্কারির সঙ্গে তুলনীয়৷

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশিদের বক্তব্য, ‘‘আইন অনুসারে যা করার তা করা হবে৷ বিরোধীদের সন্তুষ্ট করতে নয়৷ যাঁরা বোফর্সের কথা তুলছেন, তাঁদের বলতে চাই বোফর্স সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি৷ শীর্ষ আদালতের চূড়ান্ত রায় বের হয়নি৷''

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ