1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হেলিগোল্যান্ড দ্বীপের অজানা আকর্ষণ

২ নভেম্বর ২০১৭

উত্তর সাগরে জার্মানির হেলিগোল্যান্ড দ্বীপ ছোট হলেও পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়৷ বাংকার ছাড়াও নানা দ্রষ্টব্য ছড়িয়ে রয়েছে সেখানে৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের বোমাবর্ষণের চিহ্নেরও অভাব নেই৷

Zehn Gründe für die Nordsee Helgoland
ছবি: picture alliance/dpa/M.Brandt

জার্মানির একটি দ্বীপের আকর্ষণ

04:24

This browser does not support the video element.

বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে হেলিগোল্যান্ডে আসা সার্থক হতে পারে৷ যেমন, জুন মাসে ‘কমন মার' প্রজাতির পাখির ছানারা ৪০ মিটার উচ্চতা থেকে উত্তর সাগরে ঝাঁপ দেয়৷ অথবা জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর সময় পর্যন্ত উত্তর সাগরের সৈকত বড়ই মনোরম থাকে৷

এই মরসুমে দিনে প্রায় ১০,০০০ পর্যটক এখানে আসেন৷ ব্যুসুম ও কুক্সহাফেন থেকে জাহাজ-বোঝাই মানুষ দুপুরের দিকে সেখানে পৌঁছান৷ তারপর নৌকা-চালকদের ব্যস্ততা শুরু হয়৷ কয়েক দশক ধরে তাঁরা তাঁদের কাঠের নৌকায় যাত্রীদের দ্বীপে পৌঁছে দেন৷ একমাত্র হেলিগোল্যান্ড দ্বীপেই বিরল এই নৌকা দেখা যায়৷ নৌকাচালক গেরল্ড ল্যোসেকান বলেন, ‘‘এখানে যেমন ‘ফেয়ার লেডি' জাহাজটি রয়েছে, যা হোকসিল থেকে মাঝে মধ্যে এখানে আসে৷ কখনো তিনটি জাহাজই একসঙ্গে এসে পৌঁছায়৷ তখন অবশ্যই আমাদের উপর একটু চাপ বাড়ে৷ তবে সাধারণত সবকিছু ঠিকমতো চলে৷ জাহাজগুলি পরপর আসে৷ এখন ‘ফানিগে' জাহাজটি প্রায় খালি, এবার ‘লেডি ফন ব্যুসুম' জাহাজ আসছে৷ সেটি খালি হলে ‘ফেয়ার লেডি' আসবে৷'' 

অনেকেই শুধু বাজার করতে আসেন৷ কারণ, এখানে ভ্যাট বা পণ্যের মূল্যের উপর কর দিতে হয় না৷ তবে জার্মানিতে এটাই একমাত্র ডিউটি-ফ্রি এলাকা নয়৷ হাতে একটু সময় থাকলে দ্বীপের ইতিহাস সম্পর্কেও কিছু জানা যায়৷ যেমন গির্জার পাশে ওবারলান্ড এলাকায় হেলিগোল্যান্ডের পাতালপুরির প্রবেশপথ৷ প্রায় সাড়ে তের কিলোমিটার দীর্ঘ বাংকারের অবশিষ্ট অংশ সেখানে রয়েছে৷ লাল পাহাড়ের প্রায় ২০ মিটার গভীরে কয়েকশ' মিটার অংশ দর্শকদের জন্য আজও খোলা রয়েছে৷ বাংকার গাইড ক্লাউস কোলাচ বলেন, ‘‘শিয়ালের বাসায় স্বাগতম৷ আগে এটা স্কুল-পড়ুয়াদের প্রবেশপথ ছিল৷ বাংকারের পাশে পরে এই সুড়ঙ্গটি তৈরি করা হয়েছে, যাতে স্কুলের বাচ্চারা অ্যালার্ম বাজলে দ্রুত নীচে নেমে আসতে পারতো৷ আমাদের ঠিক উপরে স্কুলটি ছিল৷ এখন এর এক চতুর্থাংশ সিঁড়ি থাকলেই চলতো৷ বর্তমানে হেলিগোল্যান্ডে মোট ৬৮ জন স্কুল-পড়ুয়া অবশিষ্ট রয়েছে৷ এবার নীচে যাওয়া যাক৷''

৯২টি পিচ্ছিল সিঁড়ি ভেঙে সেখানে পৌঁছানো যায়৷ বোমা হামলা থেকে বাঁচতে হেলিগোল্যান্ডের প্রায় ৩,৩০০ বাসিন্দা সেখানে আশ্রয় নিতেন৷ ক্লাউস কোলাচ বলেন, ‘‘রঙিন বেলেপাথরের মধ্যে গুহা তৈরি করা হয়েছিল৷ তার চারিদিকে ১০ সেন্টিমিটার পুরু রিইনফোর্সড কংক্রিটের আবরণ৷ সামরিক স্থাপনাগুলি উন্মুক্ত রয়েছে৷ এই অংশের উপর যুদ্ধের সময় ও তার পরে একাধিক বোমা বর্ষণ করা হয়েছে৷ শেষ বোমাটি পড়েছিল ১৯৫২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে৷ কিন্তু কোনো ক্ষতি হয়নি৷ তাই এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷ বিশেষ করে এখানকার বয়স্ক মানুষদের জীবনের সঙ্গে এই বাংকার যুক্ত রয়েছে৷''

আগামী বছরগুলিতে বাংকারের আরও অংশ সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে৷ শহরের ব্যস্ত বাজার এলাকা থেকে সুড়ঙ্গে প্রবেশের জন্য সিঁড়ি ও লিফট তৈরি করা হবে৷ তাছাড়া বাংকারের ইতিহাস নিয়ে একটি প্রদর্শনীরও পরিকল্পনা রয়েছে৷ শহরের মেয়র ইয়র্গ সিঙার বলেন, ‘‘নাৎসি বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও দ্বীপের মুক্তির সময়ের মধ্যে এই টাইম মেশিনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে৷ হেলিগোল্যান্ড ও এখানকার মানুষের জন্য সেই মুক্তির স্বাদ ছিল অত্যন্ত ইতিবাচক ও গুরুত্বপূর্ণ৷ বাংকার নিয়ে প্রদর্শনীর মাধ্যমে সব ইন্দ্রিয় দিয়ে সেই অভিজ্ঞতা অনুভব করাই আমাদের লক্ষ্য৷''

মুক্ত সাগরের বুকে হেলিগোল্যান্ডই জার্মানির একমাত্র দ্বীপ৷ মাত্র ২ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে কত বৈচিত্র্য রয়েছে, একটু সময় থাকলেই তা পরখ করা যায়৷ একই দিনে যাতায়াত করলে হাতে যে প্রায় ৩ ঘণ্টা থাকে, তা সেই অভিজ্ঞতার জন্য যথেষ্ট নয়৷ এক বা দুই দিন থাকতে পারলে দ্বীপের প্রকৃত স্বাদ পাওয়া যেতে পারে৷

প্রতিবেদন: টোবিয়াস গেলার্ট/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ