হোপ সোলো’র দিকেই নজর সবার
১৫ জুলাই ২০১১![Hope Solo, Torfrau der US-amerikanischen Frauenfußball-Nationalmannschaft, am Donnerstag (23.06.2011) beim Training der Fußball-Nationalmannschaft im Ostragehege in Dresden. Vom 26.06. bis zum 17.07.2011 findet die FIFA Frauen-Weltmeisterschaft in Deutschland statt. Foto: Thomas Eisenhuth dpa/lsn](https://static.dw.com/image/6557154_800.webp)
কিন্তু পুরো বিশ্ব, বিশেষ করে মার্কিনিরা কিন্তু এবার নড়েচড়ে বসেছে৷ তাদের দল খেলছে ফাইনাল৷ প্রতিপক্ষ জাপান৷ মার্কিন প্রমীলারা জয়ের আশা করতেই পারে৷ বিশেষ করে তাদের গোলে যখন আছেন, হোপ সোলো৷ তিনি এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের সকার নয়, পুরো প্রমীলা ফুটবলকেই জনপ্রিয় করে তুলছেন সাধারণ মানুষের কাছে৷ রাতারাতি বাড়ছে তাঁর খ্যাতি৷ এক সপ্তাহে টুইটারে হোপের ভক্ত বেড়েছে নব্বই হাজার৷
২৯ বছর বয়সি হোপ সোলো এখনো বিশ্বকাপ ছুঁতে পারেননি৷ এবার ফাইনালে পৌঁছানোয় তাই সেই সুযোগ ছাড়তে চাইবেন না কিছুতেই৷ মার্কিন কোচি পিয়া জুন্ডহাগেও হোপ-এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ৷ তাঁর কথায়, সে খুব দক্ষ গোলরক্ষক৷ বিশ্বকাপের চলতি আসরে ভালো সাফল্য দিখেয়েছে৷ হোপ শুধু গোলরক্ষকই নয়, সে আমাদের কাছে রক্ষণভাগের পঞ্চম খেলোয়াড় এর মত৷
নিজের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হোপ সোলো'র বক্তব্য, আমি অনুভব করি পুরো দেশই আমাদের সাফল্যের পেছনে রয়েছে৷ সারা বিশ্বের মানুষ আমাদের দেখছে, কেননা আমরা সত্যিই ভালো ফুটবল খেলছি৷
যাহোক, এই তারকা খ্যাতির কারণে হোপ সোলো'র পাণিপ্রার্থীর সংখ্যাও কিন্তু বাড়ছে৷ ফেসবুকে পাতা রয়েছে, ‘‘হোপ সোলো ম্যারি মি''৷ জার্মানির খেলার মাঠেও হোপ ভক্তরা এমন প্লাকার্ড নিয়ে গ্যালারিতে ভিড় জমাচ্ছে৷ গুগল-এর খোঁজ সেবায় রীতিমত বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে বিবাহ সংক্রান্ত বাক্যটি৷ এই নিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমে আলোচনার শেষ নেই৷ এই মার্কিন তন্বীকে, পুরুষরা মনে করছে এমন এক মেয়ে, যাকে নিয়ে মায়ের কাছে যাওয়া যায়, যার সঙ্গে রান্নাঘরে সময় কাটানো যায়, মোদ্দা কথা যার সঙ্গে সংসার গড়া যায়৷ এই জনপ্রিয়তা তাই গতানুগতিক যৌনসর্বস্ব তারকা খ্যাতি নয়৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রবিবার প্রমীলা বিশ্বকাপের চূড়ান্ত খেলায় শুধু হোপ সোলোকে দেখতে হলেও মাঠে থাকবে অনেক ভক্ত৷
হোপ সোলে সম্পর্কে আরো কিছু তথ্য
জন্ম: জুলাই ৩০, ১৯৮১৷ উচ্চতা ১.৭৫ মিটার৷ অবস্থান: গোল রক্ষক৷ আন্তর্জাতিক আসর: ১০০ (১৪ জুলাই, ২০১১ পর্যন্ত)৷ ক্লাব: বোকা রেটন ম্যাজিকজ্যাক (মার্কিন)৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক