তিন বছর বয়সী জার্মান শেফার্ড কুকুর মেজর। বাইডেন দম্পতির খুব প্রিয়। কিন্তু তাকে আপাতত হোয়াইট হাউস ছাড়তে হচ্ছে।
হোয়াইট হাউসে মানিয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছে মেজরের। ছবি: Adam Schultz/White House/ZUMA Wire/picture alliance
বিজ্ঞাপন
হোয়াইট হাউসে আসার পর দুইজনকে কামড়ে দিয়েছে মেজর। প্রথম কামড়ের পর তাকে বাইডেনের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়েছিল। তাতেও লাভ হয়নি। মেজর আবার কামড়েছে একজনকে। ফলে তাকে হোয়াইট হাউস ছেড়ে যেতে হচ্ছে বাড়তি প্রশিক্ষণের জন্য। আপাতত আগামী কয়েক সপ্তাহ ধরে তার প্রশিক্ষণ চলবে। জিল বাইডেনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রশিক্ষণ হবে মেজরের স্বভাব বদলের জন্য।
আসলে হোয়াইট হাউসে প্রচুর মানুষ সবসময় থাকেন। সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা ভিড় করে আছেন। তারা প্রেসিডেন্ট ও ফার্স্ট লেডির সঙ্গে থাকেন। তার উপর প্রচুর কর্মী। ফলে নতুন পরিবেশে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছে মেজরের। বাইডেনের আরো একটি জার্মান শেফার্ড কুকুর আছে, তার নাম চ্যাম্প। ১২ বছর বয়সী চ্যাম্প অবশ্য হোয়াইট হাউসের পরিবেশের সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে নিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের যত পোষা প্রাণী
কুকুর, বিড়াল, ঘোড়া, এমনকি রেকুনও পোষা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ভবন হোয়াইট হাউসে৷ তাদের কারো কারো ছবি শোভা পেয়েছে বিশ্ববিখ্যাত ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে, কারো ভিডিও দেখেছেন হাজার হাজার মানুষ৷ দেখুন ছবিঘরে...
ছবি: Marcy Nighswander/dpa/picture alliance
মিল তাদের কুকুর এবং বিড়ালে
প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার আগেই পোষা কুকুরের কারণে খবরে এসেছেন জো বাইডেন৷ জার্মান শেফার্ড কুকুর মেজরকে নিয়ে খেলতে গিয়ে গোড়ালিতে চোট পেয়েছেন তিনি৷ চোট পেলেও বাইডেন থামছেন না৷ হোয়াইট হাউসে মেজর তো থাকছেই, সঙ্গে একটা বিড়াল পোষার কথাও ভাবছেন তিনি৷ হোয়াইট হাউসে বিড়াল বহুবার পোষা হয়েছে৷ প্রথম পুষেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট রাদারফোর্ড হায়েস৷
ছবি: Stephanie Carter/dpa/picture alliance
বইপাগল’ বো
হোয়াইট হাউসের একশ বছরেরও বেশি সময়ের নিয়ম ভেঙে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প তার আমলে কোনো প্রাণী পোষেননি৷ তার আগে হোয়াইট হাউসে সর্বশেষ পোষাপ্রাণী ছিল বারাক ওবামার আমলে৷ বো আর সানি নামের দুটি কুকুর পুষতেন ওবামা৷ বো ছোটদের বইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে- এমন ছবি পত্রিকাতেও ছাপা হয়েছে৷ বো-র ছোট বোন সানিও খুব প্রিয় হয়ে উঠেছিল ওবামা ভক্তদের কাছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/P. Souza
তারকা বিড়াল
বিল ক্লিন্টনের ছিল একটা বিড়াল আর একটা কুকুর৷ বিড়ালের নাম ছিল সক্স আর ল্যাবরাডোর টেরিয়ার কুকুরটির নাম ছিল বাডি৷ সক্স নাকি ওভাল অফিসে কাজ করার সময়ও ক্লিন্টনের কাঁধে বসে থাকতো৷ সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক একবার একটা ডাকটিকিট ছেপেছিল ক্লিন্টনকে নিয়ে৷ সেই ডাকটিকিটে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার প্রিয় বিড়ালটিও ছিল!
ছবি: Everett Collection/picture alliance
ভিডিও তারকা কুকুর
জর্জ ডাব্লিুউ বুশের ছিল তিনটি কুকুর আর একটি বিড়াল৷ বার্নি আর বিজলে নামের স্কটিশ টেরিয়ার কুকুর দুটো এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে তাদের নিয়ে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশ করতো হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ৷
ছবি: Jim Watson/AFP /Getty Images
কুকুর নিয়ে গুজব
১৯৪৪ সালে খবর ছড়িয়ে পড়ল তখনকার প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি রুজভেল্ট নাকি আলেউটিয়ান দ্বীপ থেকে ফেরার সময় ভুল করে প্রিয় কুকুর ফালা-কে ফেলে চলে এসেছেন৷ পরে নাকি নৌ বাহিনীর বিশেষ জাহাজ পাঠিয়ে কুকুর আনিয়ে জনগণের টাকা অপচয় করেছেন৷ ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের রুজভেল্ট বলেছিলেন, ‘‘আমার কুকুরটিকে অন্তত রেহাই দিন!’’
ছবি: Richard Maschmeyer/picture alliance
সুপারস্টার ঘোড়া
জন এফ কেনেডির আমলে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিল ঘোড়া মার্কোনি৷ খুব ফটোজেনিক ছিল মার্কোনি৷ কেনেডির মেয়ে ক্যারোলিন আর মার্কোনির ছবি ছাপা হতো বিভিন্ন পত্রিকায়৷ লাইফ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদও হয়েছিল ক্যারোলিন আর মার্কোনির ছবি নিয়ে৷ সেই ছবি দেখেই নাকি ‘সুইট ক্যারোলিন’ গানটি গেয়েছিলেন নিল ডায়মন্ড৷
ছবি: akg-images/picture alliance
হোয়াইট হাউসে রেকুন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজকে এক সমর্থক একটা রেকুন উপহার দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘ এটা দিয়ে থ্যাঙ্কসগিভিং ডে-র আহার সেরে নিতে পারেন৷ দারুণ হবে!’’ পশুপ্রেমী প্রেসিডেন্ট তা করেননি৷ রেকুনটি তিনি হোয়াইট হাউসে পুষেছিলেন৷ তার নাম দিয়েছিলেন রেবেকা৷
ছবি: gemeinfrei
7 ছবি1 | 7
গত মাসে মেজর হাঁটতে যাওয়ার সময় একজনকে আঁচড়ে-কামড়ে দিয়েছিল। তার আগে সিক্রেট সার্ভিসের একজন এজেন্টকে সে কামড়ে দিয়েছিল। ন্যাশনাল পেটস ডে-তে জিল বাইডেন দুই কুকুরের ছবি দিয়ে লিখেছিলেন, 'দুইজনকে খুব ভালোবাসি'।
হোয়াইট হাউসে নিজের পোষ্যদের নিয়ে যাওয়ার একটা রীতি আছে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্টদের মধ্যে। ওবামার দুইটি কুকুর ছিল। জর্জ বুশের তিনটি কুকুর ছিল।