সরাসরি হার স্বীকার এখনো করেননি তিনি। তবে হোয়াইট হাউস ছাড়ার ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প।
বিজ্ঞাপন
আরো এক পা পিছনে গেলেন ডনাল্ড ট্রাম্প। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানালেন, ইলেকটোরাল কলেজ যদি আনুষ্ঠানিক ভাবে জো বাইডেনকে জয়ী ঘোষণা করে, তা হলে হোয়াইট হাউস ছেড়ে চলে যাবেন তিনি। তবে একই সঙ্গে ট্রাম্প আরো একবার জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, নির্বাচনে রিগিং হয়েছে। কারচুপি হয়েছে। যদিও সে বিষয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রমাণ দাখিল করতে পারেননি তিনি।
৩ নভেম্বর নির্বাচনের পর থেকেই ট্রাম্প দাবি করছেন, নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি হয়েছে। আইনের সাহায্য নেওয়ার হুমকিও তিনি বার বার দিয়েছেন। জো বাইডেন তাঁর থেকে অনেক বেশি ভোটে এগিয়ে যাওয়ার পরেও হার স্বীকার করতে রাজি হননি ট্রাম্প। বস্তুত, এখনো তিনি হার স্বীকার করেননি। তবে এক পা এক পা করে পিছিয়ে যাচ্ছেন।
এর আগে টুইটে একবার হার মানার আভাস দিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিছু দিন আগে জেনারেল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (জিএসএ) বাইডেনকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট বলে মান্যতা দিয়েছে। যে সংস্থার প্রধান ট্রাম্পের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। কিন্তু প্রকাশ্যে ট্রাম্প হার মানতে চাননি।
থ্যাংকসগিভিং ডে ও ট্রাম্পের টার্কি
যুক্তরাষ্ট্রে করোনার মধ্যে থ্যাংকসগিভিং ডে পালিত হচ্ছে৷ কিন্তু করোনা উপেক্ষা করে অনেক মানুষ সড়ক ও আকাশ পথে বাড়ি ফিরেছেন৷ হোয়াইট হাউজেও ছিল ভিন্ন আমেজ৷ বিস্তারিত ছবিঘরে৷
ছবি: Hannah McKay/REUTERS
থ্যাংকসগিভিং প্রথা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প থ্যাংকসগিভিং পালন করেছেন৷ মঙ্গলবার এই দিবস উপলক্ষ্যে ঐতিহ্যবাহী প্রথা ‘টার্কি পার্ডনিং’ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে৷
ছবি: Kevin Dietsch/Zumawire/imago images
টার্কি নির্বাচন
টুইটারে একটি পোলের মাধ্যমে জানতে চাওয়া হয়েছিল কর্ন আর তাই ভাই কব এই দুইজনের মধ্যে কাকে জীবনভিক্ষা দেয়া হবে৷ এই পোলে জয়ী হয় কর্ন৷ তার মানে এই নয় যে কব থ্যাংকসগিভিং এর খাবারে পরিণত হয়েছে৷ আগামী মাস থেকে কর্ন এবং কব যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন ভেটেরেনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদর্শিত হবে৷
ছবি: Hannah McKay/REUTERS
কর্ন আর কবের ওজন
আইওয়া থেকে এই দুটি টার্কিকে থ্যাংকস গিভিং এর জন্য আনা হয়েছিল৷ ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশনের চেয়ারম্যান রন কার্ডেলের খামারে বড় হয়েছে তারা৷ আইওয়া স্টেট ইউনিভার্সিটিতে বাকি জীবনটা কাটাবে এই দুই টার্কি৷ কর্নের ওজন ১৯ কেজি আর কবের ওজন সাড়ে ১৮ কেজি৷
ছবি: Hannah McKay/REUTERS
পাঁচতারা হোটেলের আরাম আয়েশ
কর্ন আর কব রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির বিলাসবহুল হোটেল উইলার্ড ইন্টারন্যাশনাল হোটেলে বিছানায় বসে আছে৷ এই হোটেলে অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও তারকারা আতিথ্য গ্রহণ করে থাকেন৷ ১৯৪৭ সাল থেকে ক্ষমার জন্য নির্বাচিত টার্কিরা এই হোটেলে থাকে৷ ক্ষমা প্রদান অনুষ্ঠানের আগের দিন এই হোটেলে সাধারণ মানুষের দেখার জন্য তাদের আনা হয়৷ তারকা বনে যাওয়া এই টার্কিদের নিজের কক্ষ থাকে হোটেলে৷
ছবি: Hannah McKay/REUTERS
ঐতিহ্যবাহী প্রথা
১৮৭০ সাল থেকে থ্যাংকস গিভিং দিবসে টার্কি খামারিদের প্রেসিডেন্টকে টার্কি উপহার দেয়ার প্রথা চলে আসছে৷ ১৯২৩ সাল থেকে ১৯৪০ পর্যন্ত বন্ধ থাকার পর ৪৭ এ তা আবার শুরু হয় এবং এর সাথে যোগ হয় জীবনভিক্ষা অনুষ্ঠান৷ ১৯৮৯ সালে সিনিয়র বুশ জীবনভিক্ষার এই প্রথা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম শুরু করেন৷
ছবি: Kevin Dietsch/UPI Photo/imago images
ক্ষমা প্রদান অনুষ্ঠান
হোয়াইট হাউজে ক্ষমা প্রদান অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন৷ সপরিবারে ইভাঙ্কা ট্রাম্প উপস্থিত ছিলেন সেখানে৷
ছবি: Susan Walsh/AP/dpa/picture alliance
নির্বাচনের পর দ্বিতীয়বার
নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় নিশ্চিতের পর দ্বিতীয়বারের মত জনসমক্ষে এলেন ট্রাম্প৷ হোয়াইট হাউজের রোজ গার্ডেনে এই অনুষ্ঠানে কর্ন এবং কবের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করে জীবন দানের ঘোষণা দেন তিনি৷ আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাংবাদিকরা তাকে অনেক প্রশ্ন করলেও তার জবাব দেননি তিনি৷
ছবি: Hannah McKay/REUTERS
থ্যাংকসগিভিঙের ছুটি কাটাতে বাড়ির পথে
করোনাকালে বিমানপথে যাত্রায় অনেক ঝুঁকি৷ আর এই ঝুঁকি নিয়েই যুক্তরাষ্ট্রে থ্যাংকসগিভিং এ বাড়ি গিয়েছিলেন অনেকে৷ তবে বিমানবন্দরে সবার মুখেই ছিলো মাস্ক বা ফেস শিল্ড৷
ছবি: Kevin Mohatt/REUTERS
কলোরাডো, ক্যালিফোর্নিয়া বিমানবন্দরে নেই সামাজিক দূরত্ব
ছুটি উপলক্ষে বিমানবন্দরে ছিলো ভিড়৷ ফলে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হয়নি৷
ছবি: Kevin Mohatt/REUTERS
বিমান ক্রুদের প্রস্তুতি
ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরে বিমান ক্রুদের দেখা যাচ্ছে পিপিই পরে বিমানে ওঠার প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷
ছবি: Lucy Nicholson/REUTERS
শিকাগোতে যানজট
ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের রাস্তা এটি৷ ছুটিতে বাড়ি ফেরারএই ছবি যেনো বাংলাদেশে ঈদের ছুটির কথা মনে করিয়ে দেয়৷
ছবি: Kamil Krzaczynski/REUTERS
বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা
কয়েকটি দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক৷ তাই বিমানবন্দরে রাখা হয়েছে এমন ব্যবস্থা৷
ছবি: Lucy Nicholson/REUTERS
বোর্ডিংয়ে বিপত্তি
কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের ডেনভারে বিমানবন্দরের চিত্র এটি৷ বোর্ডিংয়ের আগে সবাই অপেক্ষা করছে৷ কিন্তু নেই সামাজিক দূরত্ব৷
ছবি: Kevin Mohatt/REUTERS
13 ছবি1 | 13
এ দিনও ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, ডিসেম্বর থেকে ২০ জানুয়ারির মধ্যে অনেক কিছু ঘটবে। কী ঘটবে? স্পষ্ট করেননি বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। জানিয়েছেন, বাইডেনের বিরুদ্ধে আইনি লড়াই তিনি থামাবেন না। যদিও রিপাবলিকানদের করা অধিকাংশ মামলাই আদালত খারিজ করে দিয়েছে। এ দিন ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইলেকটোরাল কলেজ যদি বাইডেনকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জয়ী ঘোষণা করে, তা হলে তিনি হোয়াইট হাউস ছেড়ে দেবেন। আগামী ১৪ ডিসেম্বর ইলেকটোরাল কলেজের চূড়ান্ত নির্বাচনী বৈঠক করার কথা। সেখানেই জয়ী প্রার্থীর নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা হওয়ার কথা।
এখনো পর্যন্ত ট্রাম্প ২৩২ টি ভোট পেয়েছেন। বাইডেন পেয়েছেন ৩০৬টি ভোট। ম্যাজিক ফিগার ২৭০। ফলে বহু ভোটে ট্রাম্পের থেকে এগিয়ে আছেন বাইডেন। ১৪ ডিসেম্বর ইলেকটোরাল কলেজের ঘোষণা কেবলই সময়ের অপেক্ষা।
ট্রাম্প দাবি করেছেন, এ বারের ভোট তৃতীয় বিশ্বের দেশের চেয়েও খারাপ হয়েছে। তাঁর বক্তব্য, এত কারচুপি এর আগে কখনো হয়নি। ভোটিং মেশিনেও কারচুপি হয়েছে বলে তাঁর দাবি। যদিও সে বিষয়েও কোনো প্রমাণ সামনে আনতে পারেননি তিনি। নির্বাচনী কর্মকর্তারা অবশ্য জানিয়েছেন, এ বারের নির্বাচন সব চেয়ে নিরাপদ ব্যবস্থায় হয়েছে। কারচুপির কোনো সুযোগই ছিল না।
প্রশ্ন হলো, ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প কি যাবেন বাইডেনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। মার্কিন ঐতিহ্য অনুযায়ী বিদায়ী প্রেসিডেন্ট নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ অনুষ্ঠানে থাকেন। ট্রাম্প কী করেন, সেটাই এখন দেখার।