বিশ্বের অনেক বড় শহরের মতো ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়-ও পরিবেশ ও বায়ুদষণের শিকার হচ্ছে৷ বেশ কিছু স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপের মাধ্যমে পরিস্থিতির উন্নতির চেষ্টা চলছে৷ জার্মানিও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷
বিজ্ঞাপন
শহরের মধ্যে মরুদ্যান
সপ্তাহান্তে হ্যানয় শহর বেশ সুন্দর হয়ে ওঠে৷ অবশেষে প্রাণ খুলে নিঃশ্বাসও নেওয়া যায়৷ হান দাং সপরিবারে রবিবার শহরের মাঝে হোয়ান-কিয়েম লেকের ধারে বেড়াতে আসেন৷ এমনকি সুগার ক্যান্ডি বিক্রেতাও বেশ খোশমেজাজে রয়েছেন৷ কারণ শুধু সপ্তাহান্তেই লেকের চারিদিকের রাস্তাগুলিতে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে৷ পথচারীরা নির্বিঘ্নে সেখানে ঘোরাফেরা করতে পারেন৷ হ্যানয় শহরের বাসিন্দা হান দাং বলেন, ‘‘অন্যদিনের মতো দূষণ-মাস্ক পরতে হয় না, বাতাস উপভোগ করতে পারি৷ প্রত্যেক সপ্তাহান্তেই এখানে আসি৷ গাড়ি, মোটরসাইকেল থাকে না৷ অনেক সহজ ও আরামদায়ক৷''
কিন্তু বায়ুর মান আসলে কতটা খারাপ? এখনো পর্যন্ত পরিবেশ সংক্রান্ত কর্তৃপক্ষ ১০টি পরিমাপ কেন্দ্র গড়ে তুলেছে৷ নতুন একটি যোগ করা হচ্ছে৷ ভিয়েতনাম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা সেটি তৈরি করেছেন৷
প্রযুক্তিগত সহায়তা
বায়ুদূষণ রোধে যে দেশগুলোর রয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা
ইউরোপের বেশির ভাগ দেশই বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে বায়ুদূষণ রোধের চেষ্টা করছে৷ কিন্তু ইউরোপের বাইরের অনেক দেশেরই এ বিষয়ের উদ্যোগ সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায় না৷ চলুন জেনে নিই ছবিঘরে৷
ছবি: Imago/imagebroker
চীনে হাঁটার জন্য সহজ পথ
চীনের বড় বড় শহরগুলো বায়ুদূষণের প্রভাব হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে৷ চেংডু, চীনের পঞ্চম বৃহত্তম শহর৷ সেখানকার কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছেন, যাতে আবাসিক এলাকায় মানুষ যানবাহনের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে সহজে হাঁটাচলা করতে পারে৷ এই পরিকল্পনার আওতায় শতকরা ৫০ ভাগ রাস্তা গাড়িমুক্ত করার চিন্তা করছেন তারা৷ চীন এখন পর্যন্ত ৩০০টি ইকো-শহর নির্মাণ করেছে৷
ছবি: Imago/Photoshot/Construction Photography
কলম্বিয়ায় গাড়িবিহীন দিন
কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটায় সম্ভবত বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক বাস পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে৷ ১৯৭৪ সাল থেকে এই শহরের মেয়র নির্দেশ দিয়েছেন সপ্তাহে একদিন ১২০ কিলোমিটার রাস্তায় কোনো গাড়ি চলবে না৷ এর পাশাপাশি শহর কর্তৃপক্ষ কয়েকশ’ কিলোমিটার সাইকেল লেন নির্মাণ করছেন৷ ফলে গাড়িবিহীন দিনগুলোতে এখানে সাইকেল আরোহীদের সংখ্যা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
ছবি: Transmilenio Colombia
দক্ষিণ কোরিয়ায় কমছে গাড়ির ওপর নির্ভরশীলতা
দক্ষিণ কোরিয়ার শহর ইনচেনের আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক এলাকা সংদোতে গাড়ির তুলনায় সাইকেল চালকদের প্রাধান্য দেয়া হয়৷ গণপরিবহণের পাশাপাশি যাতে বিপুল সংখ্যক সাইকেল নির্বিঘ্নে চলতে পারে, সেজন্য এই এলাকার রাস্তাগুলোকে চওড়া করা হয়েছে৷ আবাসিক এলাকার ভবনগুলো এমন দূরত্বে নির্মাণ করা হয়েছে যাতে হেঁটে যাওয়া যায়৷ ২০২০ সাল নাগাদ এই পরিকল্পনা অনুযায়ী এই শহরের নির্মাণকাজ শেষ হবে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/Yonhap
বিশুদ্ধ বাতাসের শহর
২০২০ সাল নাগাদ স্যান ফ্রান্সিস্কো মার্কেট এলাকায় সব ধরনের গাড়ি নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করছেন কর্তৃপক্ষ৷ এই প্রস্তাবের আওতায় ঐ এলাকায় গণপরিবহণকে প্রাধান্য দেয়া হবে৷ এছাড়া এই এলাকাটি সাইকেলআরোহী এবং পথচারীবান্ধব করে গড়ে তোলা হবে৷ আগামী ২৫ বছরের মধ্যে ক্যালিফোর্নিয়া জীবাশ্ম জ্বালানি চালিত যান নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করছে৷
ছবি: Imago/imagebroker
মেক্সিকো সিটির পরিকল্পনা
বিশ্বের অন্যতম দূষিত শহরগুলোর একটি হলর মেক্সিকো সিটি৷ কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে ২০২৫ সাল নাগাদ সব্ ধরনের ডিজেলচালিত গাড়ি নিষিদ্ধের অঙ্গীকার করেছে শহরটি৷
ছবি: Imago/ZUMA Press
ভারতে বৈদ্যুতিক রিকশা
ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লিতে ক্রমাগত বাড়ছে বায়ুদূষণ৷ ইলেকট্রিক রিকশা এক্ষেত্রে বায়ুদূষণ রোধে সহায়ক হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ ২০৩০ সাল নাগাদ নতুন সব বাহন হবে বিদ্যুৎচালিত এবং রাজধানীতে গ্যাস চালিত যান নিষিদ্ধ করা হবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Kiran
6 ছবি1 | 6
নতুন ও উন্নত সেন্সর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জার্মানি থেকে দুই সহকর্মীও এসেছেন৷ তাঁরা জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জিআইজেড-এর কর্মী এবং ভিয়েতনামের সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন৷ বায়ুদূষণ সংক্রান্ত উপদেষ্টা পাট্রিক ব্যুকার বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে এমন এক যন্ত্র কাজে লাগানো হচ্ছে, যার ব্যয় কম৷ সেটি আগেই পরীক্ষা করা হয়েছে এবং চটজলদি বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে বসানো চলে৷ ফলে শহর কর্তৃপক্ষ অপেক্ষাকৃত কম খরচে বিভিন্ন জায়গায় বাতাসের মান পরীক্ষা করতে পারে৷''
পৌর কর্তৃপক্ষ চাপের মুখে রয়েছে৷ গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে৷ পাতাল রেল তৈরির কাজ দীর্ঘ সময় ধরে চলছে৷ হাতেগোনা কয়েকটি আধুনিক ও দ্রুতগতির বাস রাজপথে নামলেও তার ফলে গাড়ির সংখ্যা কমছে না৷ কিছু ব়্যাডিকাল পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে৷ যেমন পৌর কর্তৃপক্ষ ২০৩০ সালের মধ্যে হ্যানয় শহরে সব মোপেড নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ কিন্তু এই মুহূর্তে সে বিষয়ে কারো আগ্রহ নেই৷
দূষণ পরিমাপেরঅবকাঠামো
হ্যানয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন মোবাইল ডিভাইস পরীক্ষা করা হচ্ছে, যা দিয়ে সরাসরি যে কোনো যানের দূষণ মাপা সম্ভব৷ অদূর ভবিষ্যতে এক ধরনের দূষণ পুলিশ বাহিনী এমন যন্ত্রের সাহায্যে অবৈধ যান শনাক্ত করে সেগুলি রাজপথ থেকে দূর করতে পারবে৷ সেটা সম্ভব হলে হ্যানয় শহরের মানুষের জন্য বড় পরিবর্তন আসবে৷ হান দাং বলেন, ‘‘জানি না, মোটরসাইকেল বন্ধ করতে হলে তাদের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে৷ সত্যি জানি না৷ আমাদের প্রচার অভিযান, যোগাযোগ প্রস্তুত করতে হবে৷''
সেই লক্ষ্যে জিআইজেড পরিবেশ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সর্বদা যোগাযোগ রেখে চলেছে৷ তবে জার্মান সংস্থা শুধু পরিকল্পনা করতে ও উপদেশ দিতে পারে৷ কর্তৃপক্ষকেই সেই সব পদক্ষেপ কার্যকর করতে হবে৷ পরিবেশ সুরক্ষা দপ্তরের চি লু থি থান বলেন, ‘‘প্রথমত, শহর কর্তৃপক্ষকে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে প্রচার অভিযানের আয়োজনকরতে হবে, যাতে নাগরিকরা গণপরিবহণ ব্যবস্থার সুফল বুঝতে পারেন৷ তবে অবকাঠামো ও গণপরিবহণ ব্যবস্থার আরও অনেক উন্নতি করতে হবে৷''
পুরানো যান বাতিল
পরিমাপের ব্যবস্থা নিয়ে আর কোনো সমস্যা নেই৷ কিন্তু এখনো কীসের অভাব রয়েছে? প্রকল্পের সমন্বয়ক টাংমার মারমন বলেন, ‘‘দ্রুত পদক্ষেপ হিসেবে বর্তমান পরিবহণ কাঠামোয় কিছু পরিবর্তন বা গাড়ির ইঞ্জিন ওভারহল বাধ্যতামূলক করা যেতে পারে৷ ফলে মানুষকে কিছু ব্যয় করতে হবে৷ জার্মানির মতো ভিয়েতনামেও মানদণ্ড নির্ধারণকারী কর্তৃপক্ষ ও পেট্রল-ডিজেলের নির্দিষ্ট মান স্থির করা যেতে পারে৷''
পরিবেশ বাঁচাতে ডিজেলের গাড়ি কমাতে চায় যেসব শহর
বিশ্বের বড় শহরগুলি যে সমস্যার সঙ্গে যুঝছে, সেটি হলো স্মগ বা কুয়াশা৷ শহরের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ডিজেলে চলা গাড়ি নিষিদ্ধ করা হবে কিনা, তাই নিয়ে বিতর্ক চলছে জার্মানিতে৷ ‘ড্রাইভিং ব্যান’ হবে মুশকিল আসান?
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Dedert
গাড়ির শেষ নেই
জার্মানির স্টুটগার্ট শহরের একটি সরণি৷ এভাবে চললে বায়ুদূষণ প্রায় অবধারিত বলা চলে; গাড়ির ধোঁয়ার সঙ্গে কুয়াশা যোগ হয়ে যদি ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়, তবে তো কথাই নেই৷ কিন্তু গাড়ি চলাচল আধুনিক সভ্যতা ও জীবনযাত্রার অঙ্গ৷ তাহলে কি শহরের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় বা রাস্তায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্দিষ্ট কয়েক ধরনের গাড়ি চলা নিষিদ্ধ করেই পার পাওয়া যাবে?
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Murat
অসলোয় বায়ুদূষণ বাড়লে ডিজেল গাড়ি চলা বারণ
নরওয়ের রাজধানীতে ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধের ব্যবস্থা করা হয়েছে ২০১৭ সালের ১৭ই জানুয়ারি থেকে৷ অবশ্য অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য সরকারি পরিষেবার যানবাহন ডিজেল হলেও চলতে পারে৷ এছাড়া ২০১৯ সাল থেকে সিটি সেন্টারে সরকারি পার্কিং লট ও গ্যারেজ কমিয়ে দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে৷
ছবি: Fotolia/nanisimova
প্যারিসও ডিজেল গাড়ি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে
২০২৪ সাল থেকে ফ্রান্সের রাজধানীতে ডিজেল গাড়ি চালানো নিষিদ্ধ হবে; ২০৩০ সাল থেকে প্যারিসে ডিজেল বা পেট্রোল, কোনো ধরনের খনিজ তেলে চলা গাড়ি নিষিদ্ধ করা হবে – অর্থাৎ প্যারিসে শুধু ইলেকট্রিক গাড়ি চলবে৷ বর্তমানে প্যারিসে বায়ুদূষণ একটা বিশেষ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে, ‘রোটেশন সিস্টেম’ অনুযায়ী শুধুমাত্র জোড় বা বেজোড় নাম্বারপ্লেটের গাড়ি চলতে পারে৷
ছবি: Reuters/C. Platiau
লন্ডনে গাড়ির ভিড়ের মাশুল
লন্ডনের কেন্দ্রে গাড়ি চালাতে গেলে দিনে ১০ পাউন্ড বা প্রায় ১৪ ডলার কিংবা ১১ ইউরো মাশুল গুণতে হয়৷ উদ্দেশ্য – মানুষ যেন গাড়ি নিয়ে শহরের কেন্দ্রে না আসেন৷ ২০০৩ সাল থেকে এই ‘কনজেশ্চান চার্জ’ বসানো হয়েছে৷ রাস্তায় লাগানো যন্ত্র স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির নাম্বারপ্লেট চিনে নিতে পারে – অর্থাৎ ধরতে পারে, ‘ভিড়ের মাশুল’ দেওয়া হয়েছে কিনা৷ নয়তো ২৪০ পাউন্ড অবধি জরিমানা!
ছবি: picture-alliance/dpa
বিশ্বের সবচেয়ে সাইকেল বান্ধব শহর
কোপেনহেগেনে ২০১৯ সাল থেকে ডিজেল গাড়ি ঢোকা বন্ধ করার কথা ভাবা হচ্ছে৷ বর্তমানে ডেনমার্কের রাজধানীতে ৩০০ কিলোমিটারের বেশি রাস্তা শুধুমাত্র সাইকেল আরোহীদের জন্য রাখা; শহরের অর্ধেক বাসিন্দা সাইকেলে চড়ে অফিস যান৷ উদ্দেশ্য – সাইকেল চালানো যেন গাড়ি চালানোর চেয়ে শুধু সস্তাই নয়, নির্ঝঞ্ঝাটও হয়৷
ছবি: picture-alliance/Hans Ringhofe
মাদ্রিদের বিভিন্ন এলাকা শুধু পথচারীদের
মাদ্রিদের রয়্যাল থিয়েটারের সামনের চত্বরটিতে ইতিমধ্যেই গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ, অন্যান্য এলাকাও ‘পেডেস্ট্রিয়ান জোন’ ঘোষণা করার প্রচেষ্টা চলেছে৷ লক্ষ্য হলো আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে স্পেনের রাজধানীর গোটা কেন্দ্রীয় অংশটি শুধুমাত্র পথচারীদের জন্য খোলা রাখা৷ এর কারণ হলো, মাদ্রিদের চারপাশে পাহাড় থাকার ফলে দূষিত বায়ু শহরেই আটকা পড়ে ও ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়৷
হেলসিংকির ট্রাফিক অ্যাপ
ভবিষ্যতে হেলসিংকিতে সরকারি পরিবহণ আরো ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে, কেননা, আগামী দশ বছরের মধ্যে সব ধরনের সরকারি পরিবহণকে একটি অ্যাপ-এ অন্তর্ভুক্ত করা হবে; বাস, স্বয়ংক্রিয় গাড়ি ও (ছবিতে) মিনিবাসগুলির কোনো নির্দিষ্ট রুট থাকবে না ৷ তারা অ্যাপ অনুযায়ী যাত্রী তুলে নিতে পারবে৷ এরপরে ফিনল্যান্ডের রাজধানীতে সবাই যদি গাড়ি কেনাই ছেড়ে দেয়, তো আশ্চর্য হবার কিছু থাকবে না৷
ছবি: picture-alliance/Photoshot/Li Jizhi
দিল্লিতে ইলেকট্রিক রিকশা
ভারতের রাজধানী নতুন দিল্লি কুয়াশা বা ধোঁয়ার জন্য আজ বিশ্বসেরা৷ কাজেই সেখানে এই ইলেকট্রিক রিকশাগুলি একটি আশার আলো বৈকি৷ ২০৩০ সালের মধ্যে দিল্লিতে যাবতীয় নতুন গাড়ি বিদ্যুৎচালিত হবে, এই হলো পরিকল্পনা; অর্থাৎ ডিজেল বা পেট্রোলে চলা গাড়ি কুয়াশার মতোই কালে বিলীন হবে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Kiran
8 ছবি1 | 8
হাতে আর বেশি সময় নেই৷ শহর বেড়েই চলেছে৷ জনসংখ্যা বাড়ছে, বাড়ছে মোপেডের সংখ্যাও৷ ভবিষ্যতের হ্যানয় শহর কেমন দেখতে হবে, তার আভাস প্রতি সপ্তাহান্তেই হোয়ান-কিয়েম লেকের ধারে দেখা যায়৷ সেখানে সবকিছু শান্ত, চারিদিকে সবুজের সমারোহ, বাতাসও নির্মল৷