1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

হ্যালো ভিসি সাহেব, প্লিজ সরে যান

শহীদুল ইসলাম
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের অপসারণ চেয়ে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা৷

ছবি: bdnews24.com

তার আগে সন্ত্রাসীদের হাতে বেধড়ক মার খেয়েছেন তারা৷ শিক্ষকদেরও একটি বড় অংশ এই আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন৷ অর্থাৎ, শুধু ছাত্রছাত্রীরাই নয়, সহকর্মীরাও উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার পাশাপাশি দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণ চাইছেন৷

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা-তুজ-জিনিয়াকে বহিষ্কার করেন উপাচার্য নাসিরউদ্দিন৷ সমালোচনার মুখে ওই বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে৷ তবে তার আগে সারা দেশের মানুষ শুনেছে সন্তানতুল্য ওই শিক্ষার্থীকে শাসিয়ে কোন ভাষায় কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সর্বোচ্চ অভিভবাক৷

মাননীয় উপাচার্য, আপনার পরিকল্পনাতেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে বলে আপনার সহকারী প্রক্টর ড. হুমায়ুন কবির অভিযোগ করেছেন৷ শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বিবেকের তাড়নায় পদত্যাগও করেছেন তিনি৷ এখন কী বলবেন আপনি? পদ আকড়ে থাকতে আপনি শিক্ষার্থীদের ওপর যত জুলুম চালানো যায় তার সবই চালিয়েছেন৷ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে কী মগের মুল্লুক বানাতে চাইছেন?

উপাচার্য মহোদয়, মনে রাখুন গায়ের জোরে, পেটোয়া বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে কেউ কখনো পদে টিকে থাকতে পারেনি৷ ছাত্র আন্দোলনের মুখে পদত্যাগে বাধ্য হওয়া বাঘা বাঘা উপাচার্যদের মুখগুলো স্মরণ করুন৷ এখনো সময় আছে, প্লিজ সিদ্ধান্তে আসুন৷

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে নিজের বুক পেতে দিয়ে ছাত্রদের রক্ষা করেছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা৷ পাকিস্তানি জোয়ানদের হাত থেকে নিজের ছাত্রদের বাঁচাতে তিনি বলেছিলেন, ''ডোন্ট ফায়ার, আই সেইড, ডোন্ট ফায়ার! কোনো ছাত্রের গায়ে গুলি লাগার আগে যেন আমার গায়ে গুলি লাগে৷’’ কথা রেখেছিলেন ড. জোহা৷ গুলিতে ঝাঁজড়া হয়ে শহীদ হয়েছিলেন তিনি৷ মাননীয় উপাচার্য, দেরি করবেন না, প্লিজ, এখনই সরে পড়ুন৷ যাদের জন্য আপনি উপাচার্য হতে পেরেছেন, সেই শিক্ষার্থীদের প্রতিপক্ষ বানিয়ে কখনো ওই পদে থাকা যায় না৷

শহীদুল ইসলাম, ডয়চে ভেলেছবি: Privat

দলীয় লোক না হলে ভিসি হওয়া যায় না, এটা আজ প্রতিষ্ঠিত সত্য৷ কিন্তু সব শিক্ষক এক রকমের না, সব ভিসির চরিত্রও এক না৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকের মানসম্মান নষ্ট করবেন না, প্লিজ৷ শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আর জল ঘোলা না করে পদ ছেড়ে দিন৷

শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, দীর্ঘ দিন ধরে অস্থিরতা চলছে জাহাঙ্গীরনগর এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়েও৷ রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চার বছরের জন্য উপাচার্য নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে প্রজ্ঞাপন জারি করে, সেখানে বলা থাকে, রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন মনে করলে যে-কোনো সময় এই নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন৷ মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য দয়া করে এই প্রয়োজনটুকু মনে করুন৷ কারণ, ওই চেয়ারের লোভ ছেড়ে স্বেচ্ছায়-সসম্মানে তিনি বিদায় নেবেন বলে মনে হচ্ছে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ