1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১০৫ বছর বয়সেও ব্লগার!

৪ জুলাই ২০১৮

১০০-য় পা দেবার পর আত্মীয়স্বজনদের কাছে থেকে একটি পার্সোনাল কম্পিউটার উপহার পেয়েছিলেন সুইডেনের ডাগনি কার্লসন৷ সেই থেকে তাঁর কম্পিউটারের হাতেখড়ি – আজ তিনি সুইডেনের একজন নামকরা ব্লগার৷

শতবর্ষী ব্লগার

04:27

This browser does not support the video element.

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কফি আর খবরের কাগজ ছাড়া ডাগনি কার্লসনের চলে না৷ ওটা হল তাঁর রোজকার রুটিন৷ ডাগনির বয়স? একশ পাঁচ বছর৷ তবু তাঁর জীবনীশক্তি বা জানবার ইচ্ছায় কিছুমাত্র ভাটা পড়েনি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার জীবনটা আজ, এখানে৷ আমি আগামীকালের কথা, কাল যে আমার মরণ হতে পারে, সেকথা ভাবি না৷ মৃত্যু তো আসবেই৷''

ডাগনি কার্লসনের জীবন শেষ হতে অবশ্য এখনও অনেক বাকি – কেননা ডাগনির কৌতূহল অসীম: স্টকহোমে তাঁর ছোট্ট ফ্ল্যাটটির জানলার বাইরে কী ঘটছে না ঘটছে থেকে শুরু করে ডাগনি বেশ অনেকটা সময় কাটান ইন্টারনেটে৷

কম্পিউটার হল তাঁর বন্ধু, যার মাধ্যমে বিস্তৃত বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলেন ডাগনি৷ আত্মীয়স্বজনেরা ডাগনিকে একটি পিসি উপহার দিয়েছিলেন – ডাগনির বয়স তখন সবে ১০০ ছুঁয়েছে৷ ডাগনি তখন সেই বিদঘুটে যন্ত্রটির রহস্য ভেদ করতে শুরু করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘৯৯ নাকি ১০০ বছর বয়স থেকে আমার কম্পিউটারটা আছে... লোকে বলে, ৯০ পার হলে নাকি আর কম্পিউটার কেনার কোনো অর্থ হয় না৷''

ইতিমধ্যে পিসি ছাড়া তাঁর দিন কাটে না৷ কম্পিউটার ছাড়া বেঁচে থাকা ডাগনির পক্ষে সম্ভব বটে, তবে নিরর্থক৷ ডাগনি বলেন, ‘‘কম্পিউটার আমার অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কম্পিউটার থাকায় আমার বান্ধবীদের সঙ্গে আলাপ করতে পারি – ডাকটিকিটের দরকার পর্যন্ত পড়ে না৷ খবর পড়তে পারি৷ কম্পিউটার আমার খুব ভালো লাগে৷''

শুধু পড়ে মজা নেই, তাই ডাগনি কার্লসন লিখেও থাকেন৷ ১০৫ বছর বয়সের মহিলা একজন নিয়মিত ব্লগার৷ তাঁর নিজের ডিজিটাল ডাইরি লেখেন ডাগনি৷ নাম দিয়েছেন: ‘ব্লগা মেট মে', আমার সঙ্গে ব্লগ করো৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার চিরকালই লেখক হবার ইচ্ছে ছিল, বিশেষ করে যখন ছোট ছিলাম৷ কিন্তু দুনিয়ায় এতো ভালো বই আছে যে, তার সঙ্গে আমার একটা খারাপ লেখা যোগ করা আমার কাছে অর্থহীন বলে মনে হয়৷ ব্লগ লেখার সময় কোনো নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর দরকার নেই – যা প্রাণ চায়, তাই লিখতে পারি৷ কিন্তু আমার ১০৫ বছর বয়স না হলে সেদিকে কেউ তাকাতো না৷''

কিন্তু ডাগনির বয়স সত্যিই ১০৫, আর তাঁর ফ্যানদের সংখ্যাও অগুনতি৷ তিনি বলেন, ‘‘ন'বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা কমেন্ট লেখে, ‘তুমি সত্যিই ‘কুল'৷ আমার খুব গর্ব হয়৷''

তবে ডাগনির সব ফ্যানই যে ন'বছরের, এমন নয়৷ রাজধানী স্টকহোম থেকে দক্ষিণমুখে পাঁচ ঘণ্টা দূরে লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ধক্যবিদ্যা সমিতির একটি পুরস্কারে ভূষিত হতে চলেছেন ডাগনি৷ কেননা তিনি ও তাঁর ব্লগ সারা দেশের প্রবীণ-প্রবীণাদের পক্ষে একটি আদর্শ৷ প্রশংসাপত্রে তাই বলা হয়েছে৷ দৃশ্যত ডাগনিরও পুরস্কার নিতে, অভিনন্দিত হতে বা তাঁর ব্লগিং সম্পর্কে কথাবার্তা বলতে ভালোই লাগে৷ তিনি বলেন, ‘‘একদিন যদি আমার ব্লগ না লিখি, তো সকলে সঙ্গে সঙ্গে ভাবে – আমি মারা গেছি৷''

প্রায় ২,০০০ ইউরো পরিমাণ পুরস্কারের অর্থ ডাগনি তাঁর জন্মদিনের পার্টির জন্য খরচ করবেন বলে স্থির করেছেন৷ তবে তাঁর সেরা সময় কাটানোর উপায় হল বাড়িতে, কম্পিউটারের সামনে বসে৷

তাঁর ব্লগ সম্বন্ধে যে সব মন্তব্য আসে, তার সবই খুব ভদ্র-সভ্য৷ তাঁকে আর আজকাল কেউ গালাগালি দেয় না – জানালেন ডাগনি৷ তবে যে সব প্রবীণ-প্রবীণা ইন্টারনেটে সক্রিয়, তাদের সম্পর্কে যে বিরূপ মনোভাবও রয়েছে, সেটা তাঁর অজ্ঞাত নয়৷ ডাগনি বলেন, ‘‘বুদ্ধিমান বুড়োমানুষও যে থাকতে পারে, সেটা অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে না৷''

কম্পিউটার বুড়ো হতে দেয় না, বলেন ডাগনি কার্লসন৷ তিনি যেমন ১০৫ বছরেও তরতাজা৷

ক্লাস অলিভার রিশটার/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ