১০০-য় পা দেবার পর আত্মীয়স্বজনদের কাছে থেকে একটি পার্সোনাল কম্পিউটার উপহার পেয়েছিলেন সুইডেনের ডাগনি কার্লসন৷ সেই থেকে তাঁর কম্পিউটারের হাতেখড়ি – আজ তিনি সুইডেনের একজন নামকরা ব্লগার৷
বিজ্ঞাপন
শতবর্ষী ব্লগার
04:27
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কফি আর খবরের কাগজ ছাড়া ডাগনি কার্লসনের চলে না৷ ওটা হল তাঁর রোজকার রুটিন৷ ডাগনির বয়স? একশ পাঁচ বছর৷ তবু তাঁর জীবনীশক্তি বা জানবার ইচ্ছায় কিছুমাত্র ভাটা পড়েনি৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার জীবনটা আজ, এখানে৷ আমি আগামীকালের কথা, কাল যে আমার মরণ হতে পারে, সেকথা ভাবি না৷ মৃত্যু তো আসবেই৷''
ডাগনি কার্লসনের জীবন শেষ হতে অবশ্য এখনও অনেক বাকি – কেননা ডাগনির কৌতূহল অসীম: স্টকহোমে তাঁর ছোট্ট ফ্ল্যাটটির জানলার বাইরে কী ঘটছে না ঘটছে থেকে শুরু করে ডাগনি বেশ অনেকটা সময় কাটান ইন্টারনেটে৷
কম্পিউটার হল তাঁর বন্ধু, যার মাধ্যমে বিস্তৃত বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখে চলেন ডাগনি৷ আত্মীয়স্বজনেরা ডাগনিকে একটি পিসি উপহার দিয়েছিলেন – ডাগনির বয়স তখন সবে ১০০ ছুঁয়েছে৷ ডাগনি তখন সেই বিদঘুটে যন্ত্রটির রহস্য ভেদ করতে শুরু করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘৯৯ নাকি ১০০ বছর বয়স থেকে আমার কম্পিউটারটা আছে... লোকে বলে, ৯০ পার হলে নাকি আর কম্পিউটার কেনার কোনো অর্থ হয় না৷''
ইতিমধ্যে পিসি ছাড়া তাঁর দিন কাটে না৷ কম্পিউটার ছাড়া বেঁচে থাকা ডাগনির পক্ষে সম্ভব বটে, তবে নিরর্থক৷ ডাগনি বলেন, ‘‘কম্পিউটার আমার অভ্যেস হয়ে দাঁড়িয়েছে৷ কম্পিউটার থাকায় আমার বান্ধবীদের সঙ্গে আলাপ করতে পারি – ডাকটিকিটের দরকার পর্যন্ত পড়ে না৷ খবর পড়তে পারি৷ কম্পিউটার আমার খুব ভালো লাগে৷''
জীবনে সফল হতে চাইলে যা করবেন না
জীবনে সফল হতে চাইলে করা উচিত নয় – এমন কয়েকটি কাজের কথা জানিয়েছে লাইফস্টাইল ব্লগ লাইফ হ্যাক ডটঅর্গ৷ চলুন দেখে নেই সেগুলো...৷
ছবি: Fotolia/Andres Rodriguez
‘পারফেকশন’ আশা করা বন্ধ করুন
আমরা প্রায়ই কোনো কিছু যেভাবে চাই, ঠিক সেভাবে করতে না পারলে অথবা যেভাবে চেয়েছিলাম, ঠিক সেভাবে না পেলে হতাশ হয়ে পড়ি৷ এটা ঠিক নয়৷ জীবনে সব কিছু একেবারে পারফেক্টভাবে করা বা পাওয়ার আশা এক ধরনের বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে৷ এই চাপ থেকে মুক্ত থেকে, কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য বরং শান্তভাবে এগিয়ে যাওয়াই মঙ্গল৷ জীবনে ভুল হতে পারে৷ আর সেটাই তো স্বাভাবিক, তাই না?
ছবি: Fotolia/Robert Kneschke
না বলতে চাইলে কখনোই হ্যাঁ বলবেন না
নিজের ‘লিমিট’ সম্পর্কে সচেতন থাকুন৷ না বলতে শিখুন৷ অনেকে চেষ্টা করবে আপনার ‘লিমিট’ নিয়ে খেলতে৷ কেউ হয়ত এমন সময় সহায়তা চাইবে, যখন আপনার তাকে সহায়তা দেয়ার সময় নেই৷ কিংবা কেউ হয়ত আপনার কাছে টাকা ধার চাইলো, যা দেয়া আপনার জন্য কঠিন৷ এ সবক্ষেত্রে নিজের অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নিন, প্রয়োজনে স্পষ্টভাবে ‘না’ বলুন৷
ছবি: Fotolia/Peter Atkins
নিজের সঙ্গে নেতিবাচক আলাপ বন্ধ করুন
অতীতে ঘটে যাওয়া কোনো নেতিবাচক ঘটনা, যা আপনাকে আঘাত দিয়েছে কিংবা আপনি কাউকে আঘাত দিয়েছেন, তা হয়ত আপনার মনের মধ্যে আজও জমে আছে৷ আর আপনি হয়ত এখনও নিজের অজান্তেই নিজের মনে কথা বলে চলেছেন, কী করলে সেই নেতিবাচক ঘটনাটি ঘটতো না৷ এই আলাপ বন্ধ করুন৷ বরং অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যান, আত্মবিশ্বাস ফিরে পেতে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের ভালো দিকগুলি নিজের সামনে তুলে ধরুন, নিজেকে বলুন৷
ছবি: Ani Avakyan
শুধুমাত্র ‘আজকে’গুরুত্ব দেয়া বাদ দিন
বুদ্ধিমান মানুষেরা যেমন তাদের বর্তমানটা উপভোগ করেন, তেমনই ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনাও করেন৷ তাই পরিকল্পনা অনুযায়ী আপনার পদক্ষেপ ঠিক করুন৷ এখন থেকে পাঁচ, দশ বা পনের বছর পর আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান, সেটা ঠিক করে নিন৷ তারপর এগিয়ে যান৷ অর্থাৎ বর্তমানকে উপভোগের পাশাপাশি ভবিষ্যতে নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য যা দরকার, সেটাও করুন৷
ছবি: Fotolia/mars
নিজের লক্ষ্যকে অবহেলা করবেন না
ভাববেন না, আপনি ভালো মানুষ বলে অনেককিছু এমনিতেই ভালো হয়ে যাবে৷ ভালো কিছু তাদের ক্ষেত্রেই ঘটে, যারা তার জন্য চেষ্টা করে৷ তাই জীবনে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করে এগোনোই ভালো৷ এর জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ‘টাইম ম্যানেজমেন্ট’৷ সময় নষ্ট না করে কবে, কখন, কী করবেন – সেটা আগে থেকেই পরিকল্পনা করুন৷ সময়ের থেকে দামি যে আর কিছুই হয় না!
ছবি: Phovoir/Colourbox
নিঃসঙ্গতা থেকে দূরে থাকুন
সফল মানুষরা জানে কাজই সব নয়৷ বরং যারা সফল, তারা কাজের বাইরে পরিবার, শখ এবং বন্ধ-বান্ধবদের জন্যও সময় বের করে নেন৷ সমাজ থেকে দূরে, নিঃসঙ্গ থাকলে সেটা বরং ক্ষতিকরই৷ তাই যারা সফল হতে গিয়ে কাজের বাইরে অন্যদিকে মন দিচ্ছেন না, তারা অভ্যাসটা বদলান৷ নিয়মিত কাজের পাশাপাশি নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং ‘হবি’ বা শখের জন্যও সময় দিন৷
ছবি: Martin Knorr
অন্যদের সঙ্গে নিজের তুলনা করা থেকে বিরত থাকুন
সফল যিনি, একমাত্র তিনিই জানেন যে, আজ তিনি যাকে টপকে এসেছেন, কাল হয়ত তিনি বা অন্য কেউ তার জায়গায় আসবেন৷ সফলরা কখনোই অন্যদের সঙ্গে নিজের তুলনা করেন না৷ এতে যে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি৷ তবে এটা ঠিক যে, তারা নিজেদের দুর্বলতাগুলো পর্যালোচনা করেন এবং তারা যা জানেন না, তা যদি অন্য কোউ জানে, তাহলে তাদের প্রশংসা করতেও দ্বিধাবোধ করেন না৷
ছবি: Fotolia/Syda Productions
অতীতে বসবাস করা বাদ দিন
সফল মানুষরা তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নেন, কিন্তু অতীত নিয়ে পড়ে থাকেন না৷ বরং অতীত থেকে নেয়া শিক্ষা বর্তমান এবং ভবিষ্যতে ব্যবহার করেন তারা৷ আপনি কী ছিলেন – তা নিয়ে না ভেবে আপনি এখন কেমন আছেন এবং ভবিষ্যতে কেমন হতে চান, সে কথা নিয়ে ভাবুন৷ অতীতের ভুল যাতে আবারো না হয়ে যায়, সে দিকে লক্ষ্য রাখুন৷
ছবি: Fotolia/Joerg Lantelme
অসৎ মানুষদের সহ্য করবেন না
সফল মানুষরা অন্যের ভালো বৈশিষ্ট্য এবং উপহারের প্রশংসা করেন৷ তারা অন্যের সাফল্যের পথে বাধা হন না কিংবা অন্যের সাফল্যকে ছোট করে দেখেন না৷ তারা সম্পর্কের ব্যাপারের যেমন উদার, তেমনি কখন একটা সম্পর্ক ভেঙে দিতে হয়, সেটাও জানেন তারা৷ নেতিবাচক এবং অসৎ মানুষদের পরিহার করে সৎ এবং আন্তরিকদের গুরুত্ব দেন তারা, মনে করে লাইফস্টাইল ব্লগ লাইফহ্যাক ডটঅর্গ৷
ছবি: imago/CHROMORANGE
9 ছবি1 | 9
শুধু পড়ে মজা নেই, তাই ডাগনি কার্লসন লিখেও থাকেন৷ ১০৫ বছর বয়সের মহিলা একজন নিয়মিত ব্লগার৷ তাঁর নিজের ডিজিটাল ডাইরি লেখেন ডাগনি৷ নাম দিয়েছেন: ‘ব্লগা মেট মে', আমার সঙ্গে ব্লগ করো৷ তিনি বলেন, ‘‘আমার চিরকালই লেখক হবার ইচ্ছে ছিল, বিশেষ করে যখন ছোট ছিলাম৷ কিন্তু দুনিয়ায় এতো ভালো বই আছে যে, তার সঙ্গে আমার একটা খারাপ লেখা যোগ করা আমার কাছে অর্থহীন বলে মনে হয়৷ ব্লগ লেখার সময় কোনো নির্দিষ্ট বিষয়বস্তুর দরকার নেই – যা প্রাণ চায়, তাই লিখতে পারি৷ কিন্তু আমার ১০৫ বছর বয়স না হলে সেদিকে কেউ তাকাতো না৷''
কিন্তু ডাগনির বয়স সত্যিই ১০৫, আর তাঁর ফ্যানদের সংখ্যাও অগুনতি৷ তিনি বলেন, ‘‘ন'বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা কমেন্ট লেখে, ‘তুমি সত্যিই ‘কুল'৷ আমার খুব গর্ব হয়৷''
তবে ডাগনির সব ফ্যানই যে ন'বছরের, এমন নয়৷ রাজধানী স্টকহোম থেকে দক্ষিণমুখে পাঁচ ঘণ্টা দূরে লুন্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ধক্যবিদ্যা সমিতির একটি পুরস্কারে ভূষিত হতে চলেছেন ডাগনি৷ কেননা তিনি ও তাঁর ব্লগ সারা দেশের প্রবীণ-প্রবীণাদের পক্ষে একটি আদর্শ৷ প্রশংসাপত্রে তাই বলা হয়েছে৷ দৃশ্যত ডাগনিরও পুরস্কার নিতে, অভিনন্দিত হতে বা তাঁর ব্লগিং সম্পর্কে কথাবার্তা বলতে ভালোই লাগে৷ তিনি বলেন, ‘‘একদিন যদি আমার ব্লগ না লিখি, তো সকলে সঙ্গে সঙ্গে ভাবে – আমি মারা গেছি৷''
প্রায় ২,০০০ ইউরো পরিমাণ পুরস্কারের অর্থ ডাগনি তাঁর জন্মদিনের পার্টির জন্য খরচ করবেন বলে স্থির করেছেন৷ তবে তাঁর সেরা সময় কাটানোর উপায় হল বাড়িতে, কম্পিউটারের সামনে বসে৷
তাঁর ব্লগ সম্বন্ধে যে সব মন্তব্য আসে, তার সবই খুব ভদ্র-সভ্য৷ তাঁকে আর আজকাল কেউ গালাগালি দেয় না – জানালেন ডাগনি৷ তবে যে সব প্রবীণ-প্রবীণা ইন্টারনেটে সক্রিয়, তাদের সম্পর্কে যে বিরূপ মনোভাবও রয়েছে, সেটা তাঁর অজ্ঞাত নয়৷ ডাগনি বলেন, ‘‘বুদ্ধিমান বুড়োমানুষও যে থাকতে পারে, সেটা অধিকাংশ মানুষ বিশ্বাস করে না৷''
কম্পিউটার বুড়ো হতে দেয় না, বলেন ডাগনি কার্লসন৷ তিনি যেমন ১০৫ বছরেও তরতাজা৷
তাঁরা বাঁচার মতো বাঁচতে জানেন
অনেকে হঠাৎই জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন, ভাবতে শুরু করেন, জীবনের সবই বুঝি অর্থহীন৷ ছবিঘরের এই মানুষগুলো তাঁদের ঠিক বিপরীত৷ বয়সে তাঁরা ‘বুড়ো’, তবে কাজে-কর্মে যে কোনো তরুণ-তরুণীকে তাক লাগিয়ে দেয়ার মতো৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Mori
১০৫ বছর বয়সে বিশ্বরেকর্ড
ফ্রান্সের রোব্যার মারশঁ-র বয়স এখন ১০৫৷সাইকেল চালিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছেন তিনি৷ এক ঘণ্টায় ২২ দশমিক ৫৪ কিলোমিটার পেরিয়েছিন, যা এই বয়সে আর কেউ কোনোদিন পারেননি৷ তাঁর কাছে বিশ্বরেকর্ড অবশ্য নতুন কিছু নয়৷ একশ’র চেয়ে বেশি বয়সিদের মধ্যে এক ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি দূরত্ব অতিক্রমের বিশ্বরেকর্ডও তাঁর দখলে৷ ২০১২ সালে এক ঘণ্টায় ২৬ দশমিক ৯২ কিলোমিটার গিয়ে যে রেকর্ডটি গড়েছিলেন, সেটি এখনো কেউ ভাঙতে পারেনি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/F. Mori
সবচেয়ে বেশি বয়সি ম্যারাথনার
১০৪ বছর বয়সে ম্যারাথনে অংশ নিয়ে দৌড় শেষও করেছেন ইংল্যান্ড প্রবাসী ভারতীয় ফৌজা সিং৷ এভাবে সবচেয়ে বেশি বয়সে ম্যারাথন দৌড়ানোর বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন তিনি৷ শত বর্ষ পেরিয়েও ট্র্যাকে এভাবে ঝড় তোলেন বলে তাঁর নামই হয়ে গেছে, ‘টারব্যান্ড টরন্যাডো’ বা ‘পাগড়ি পরা ঘূর্ণিঝড়’৷
ছবি: Getty Images
সবচেয়ে বেশি বয়সি ইয়োগা শিক্ষক
ফরাসি বংশোদ্ভূত ভারতীয় তাও পরশো-লিঞ্চের বয়স ৯৮ বছর৷ জীবনের বেশির ভাগ সময়ই কাটিয়েছেন অভিনয়, মডেলিং করে আর বলরুমে নেচে৷ কিন্তু ১৯৮২ সালে মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় স্বামীর মৃত্যুর পর জীবনের অনেক কিছুই বদলে গেল৷ স্বামীর মৃত্যুর পর ওয়াইন ছাড়লেন, শুরু করলেন ইয়োগা শেখানো৷ ৩৪ বছর ধরে অসংখ্য মানুষকে শিখিয়েছেন যোগব্যায়াম৷ ইতিমধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সি ইয়োগা শিক্ষক হিসেবে গিনেস বুকেও নাম উঠেছে তাঁর৷
ছবি: AP
‘বাপ কা বেটা’
তাঁর বাবা কেইজো মিউরা ছিলেন জাপানের বিখ্যাত স্কিয়িং শিক্ষক এবং পর্বতারোহী৷ ৭৭ বছর বয়সে কিলিমানজারোর চূড়ায় উঠে রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি৷ উইচিরো মিউরা তাঁরই ছেলে৷ সে কারণে বাবার দেখানো পথে তিনি হয়েছেন পেশাদার স্কিয়ার৷ ২০০৩ সালে বাবার মতো পাহাড়ে উঠেও রেকর্ড গড়েছেন৷ ৭০ বছর বয়সে এভারেস্টের চূড়ায় উঠেছেন উইচিরো মিউরা৷ সবচেয়ে বেশি বয়সে এভারেস্টে ওঠার রেকর্ড সেটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa
সবচেয়ে বেশি বয়সি মডেল
পোল্যান্ডের হেলেনা নোরোভিচ অভিনেত্রী থেকে হয়েছেন ফ্যাশন মডেল৷ ৮২ বছর বয়সেও উপভোগ করছেন কাজ৷ তিনিই এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সি ফ্যাশন মডেল৷
ছবি: DW
শোক ভুলতে ‘বুড়ো’ বয়সে স্কুলে
নেপালের দুর্গা কামি ছোটবেলায় স্বপ্ন দেখতেন একদিন শিক্ষক হবেন৷ কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে লেখাপড়া করতে পারেননি৷ সেই দুঃখ ভোলার জন্য স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছেন ছয় সন্তানের জনক এবং দশ নাতির দাদু হওয়ার পর৷ স্ত্রী মারা যাওয়ায় বড় বিমর্ষ হয়ে পড়েছিলেন ৬৭ বছর বয়সি দুর্গা৷ এই শোক ভুলতেই স্কুলে যাওয়া শুরু৷ নাতির বয়সিদের সঙ্গে বসে দিব্যি এখন লেখাপড়া শিখছেন দুর্গা৷
ছবি: Reuters/N. Chitrakar
বেশি বয়সে মা
ভারতের রাজো দেবী লোহান যে বয়সে মা হয়েছেন, সে বয়সে বেশির ভাগ নারী দাদি বা নানি হন৷ রাজো দেবী কত বছর বয়সে মা হয়েছেন অনুমান করতে পারবেন? ৭০ বছর বয়সে! তাঁর আগে এত বয়সে আর কেউ মা হয়েছেন বলে জানা যায়নি৷ অবশ্য সম্প্রতি আরেক ভারতীয় নারীও ছুঁয়ে ফেলেছেন তাঁকে৷ হরিয়ানা রাজ্যের দালজিন্দর কৌর-ও ৭০ বছর বয়সে মেয়ের মা হয়ে ছুঁয়েছেন সবচেয়ে বেশি বয়সে সন্তান জন্ম দেয়ার রেকর্ড৷ ছেলের নাম রেখেছেন আর্মান৷