1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
পরিবেশইন্দোনেশিয়া

১০ কোটি গাছের প্রকল্প

২৭ জুলাই ২০২২

ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপে পাম তেল চাষের জন্য অনেক বন জঙ্গল কেটে ফেলা হয়েছে৷ এতে পরিবেশের ব্যাপক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে৷ ১০ কোটি গাছের একটি প্রকল্প সেখানে স্বস্তির আভাস দিচ্ছে৷

ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপ
ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপছবি: picture-alliance/blickwinkel/Agami/H. van Diek

ইন্দোনেশিয়ার বোর্নিও দ্বীপের চাষী লিঙ্গা কাসান৷ গেল কয়েক বছরে তার সাত হেক্টর বিরান জমিতে প্রায় এক হাজার গাছ লাগিয়েছেন৷ তিনি একে ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ হিসেবে দেখেন৷

একটি গাছ দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এই গাছটি কেটে ফেলবো৷ তবে এর ব্যাসার্ধ ৩০ সেন্টিমিটার হওয়া পর্যন্ত হয়ত অপেক্ষা করব৷ তাহলে এটা বেচে সবচেয়ে বেশি টাকা পাবো৷''

লিঙ্গা কাসানের পাম ও রাবার গাছও আছে৷ কিন্তু সেগুলো থেকে তেমন লাভ হয় না৷ তাই ২০১৬ সালে যে ক'জন প্রথম নতুন বনায়নের উদ্যোগে যুক্ত হয়েছেন, তার একজন তিনি৷ এর লক্ষ্য টেকসই বনায়ন এবং স্থানীয়দের স্বাবলম্বী করা৷ এই উদ্যোগে রয়েছে একশস্যের বাইরে এসে ভিন্ন ভিন্ন শস্য ফলানো৷

চাষীরা চাইলে বড় গাছ কেটে বিক্রি করতে পারেন৷ এক হাজারেরও বেশি চাষীকে এই ১০ কোটি গাছ লাগানোর প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে৷ গত ২০ বছরেইন্দোনেশিয়া তাদের প্রায় পাঁচ ভাগের এক ভাগ বন হারিয়েছে৷এমন সোনার খনির জন্য কেটে ফেলা হয়েছে অনেক গাছ৷ সোনার খনির কারণে পরিবেশের অপরিসীম ক্ষতি হয়৷

ডাবের পানির প্লাস্টিক

03:53

This browser does not support the video element.

বনায়ন প্রকল্পের উদ্যোক্তা ফেয়ারভেঞ্চার্সের মোনালিসা পুত্রি কাহারাপ বলেন, ‘‘এখানে একটি বন ছিল৷ এক বছরের মাথায় এটির এ অবস্থা৷ তারা বালিকে ওপরে নিয়ে আসে এবং ওপরের মাটিকে নীচে নিয়ে যায়৷ তাই এসব জায়গায় পুনরায় বনায়ন অসম্ভব৷ আর এটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ কাজ৷ কারণ তারা খনির কাজে পারদ ব্যবহার করে৷ এটা পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর৷ দুঃখজনক হলো, স্থানীয়দের আয়ের একটি অন্যতম উপায় এটি৷''

তাই আয়ের বিকল্প উপায় বের করা জরুরি৷ মোনালিসা খনি শ্রমিকদের কাছে গিয়ে তাদের বনায়ন প্রকল্পে যুক্ত করার চেষ্টা করছেন৷

মোনালিসা বলেন, ‘‘তারা আসলে নতুন কাজ করতে আগ্রহী, যদি না কাজটি অবৈধ হয় এবং তাদের জীবনের ঝুঁকি না থাকে৷ আমরা ফেয়ারভেঞ্চার্সের ১০ কোটি গাছ প্রকল্পে তাই করতে চাইছি৷''

পাম তেল চাষের জন্য এই বনকে জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছিল৷ এখন নতুন বন তৈরির জন্য চেষ্টা চলছে৷ স্থানীয় গ্রামবাসীরা এগিয়ে আসছেন৷ এতে তারা কিছুটা আয়ও করতে পারছেন৷ ব্যক্তি পর্যায়ের এবং জার্মান সরকারের ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট ইনিশিয়েটিভের অর্থে এ উদ্যোগ চলছে৷

চাষীরা ফেয়ারভেঞ্চারের কাছ থেকে সরাসরি বীজ সংগ্রহ করেন৷ তার আগে তাদের কেমন করে ও কোথায় তা লাগাতে হবে সে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷

রিস, ফালাহ/জেডএ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ