১১ই মার্চ স্মরণে জাপানে এক মিনিটের নীরবতা
১১ এপ্রিল ২০১১ভয়াবহ ঐ প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রায় ১৩ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে৷ আর ১৫ হাজার মানুষ এখনও নিখোঁজ রয়েছেন৷ তাদের জীবিত থাকার আশা নেই বললেই চলে৷ ভূমিকম্প ও সুনামির কেন্দ্রবিন্দু ছিল অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যমন্ডিত শহর কেসেননুমা৷ নিহতদের খোঁজে এখন তল্লাশি চলছে৷ সৈন্যরা ধ্বংসস্তুপের নীচে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে৷ দুপুর ঠিক ২টা ৪৬ মিনিটে সেই ভয়াবহ দিনটি এবং নিহতদের স্মরণে খনন কাজও বন্ধ রাখা হয়৷ সৈন্যরা তাদের হেলমেট, গ্লাভস খুলে ফেলেন৷ হাত থেকে নামিয়ে রাখেন উদ্ধার যন্ত্রপাতি৷ যে যেখানে ছিলেন, সেখানেই হাত জোড় করে প্রার্থনা শুরু করেন৷
জাপানের অধিকাংশ জায়গাতেই এখন বৃষ্টি হচ্ছে৷ আর এই বৃষ্টির পানি প্রচণ্ড ঠাণ্ডা৷ তার মধ্যেই ঠিক সময়ে দেশজুড়ে বেজে ওঠে সাইরেন৷ সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেয় সেই ভয়াবহ মুহূর্ত৷ শুরু হয় প্রার্থনা৷ এক মিনিটের নীরবতার পরে আবার যেন সচল হয়ে উঠে পুরো দেশ৷ যথারীতি শুরু করেন যে যার কাজ৷ উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রায় সবজায়গার টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, এক মিনিটের নীরবতা চলাকালে ভয়াবহ দুর্যোগে নিহত ও নিখোঁজদের সম্মানে সবাই মাথা নীচু করে সম্মান জানাচ্ছেন৷
এদিকে ভূমিকম্পে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জাপানের পারমাণবিক প্রকল্প এলাকার কাছাকাছি এবং আশেপাশের কিছু অঞ্চল খালি করে ফেলা হয়েছিল তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায়৷ সোমবার বলা হয়েছে, ঐসব অঞ্চলে তেজস্ক্রিয়তা পরিমাপের পরে যদি দেখা যায়, এখনও উচ্চ মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে, তাহলে অঞ্চলগুলো খালি রাখার সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷ চেরনোবিলে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনার পরে জাপানের ফুকুশিমাতেই সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে৷
ফুকুশিমার ছয়টি পারমাণবিক চুল্লির কারণে আন্তর্জাতিক উদ্বেগ সত্ত্বেও, জাপান কুড়ি কিলোমিটারের বেশি এলাকাকে খালি এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে অস্বীকার করেছে৷ চুল্লিগুলো নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রকৌশলীরা এখনও লড়াই করে চলেছেন৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন