সম্মান প্রদান
২৬ মার্চ ২০১২স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় বাঙালির ওপর বর্বরোচিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের খবর বিশ্ববাসীর দরবারে পৌঁছানো সহজ ছিল না৷ সে সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিবেকতাড়িত কিছু মানুষ বাঙালির পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন৷ সাংবাদিকতা আর কূটনৈতিক তৎপরতায় জাগ্রত করেছিলেন বিশ্ববিবেককে৷ এমনি ১১০ জন বিদেশি অতিথিকে স্বাধীনতার ৪০ বছর পর, বিশেষভাবে সম্মানিত করছে বাংলাদেশ৷ আর কিছুক্ষণ পরই বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে তাঁদের সম্মাননা জানানো হবে৷
বাংলাদেশ সরকারের দেয়া এই সম্মাননা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতিমধ্যে ঢাকায় পৌঁছেছেন অতিথিরা৷ তাঁদেরই একজন জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ফরেন স্টাডিস' বিভাগের বাংলার অধ্যাপক তসোয়কি নারা৷ স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর এক সপ্তাহ পর, তাঁর উদ্যেগেই গঠন করা হয় জাপান-বাংলাদেশ মৈত্রী সংঘ৷ ৪০ বছর পর এই ধরনের সম্মানে তিনি অত্যন্ত খুশি৷
আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে মুক্তিকামী বাংলার দামাল ছেলেদের অংশগ্রহণ ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা৷ কিশোর থেকে যুবক একাত্তরের সেই অপ্রতিরোধ্য তারুণ্যই মিত্রবাহিনীকে একের পর এক পথ দেখিয়েছিল শত্রুর দূর্গে আঘাত হানার৷ চোখের সামনের সে সময়ের, সেই স্মৃতিগুলো অকপটে বলে গেলেন বাংলাদেশের আজন্ম বন্ধু লে. জেনারেল জ্যাকব৷
একাত্তরের সেই দুঃসময়ের ছবি ক্যামেরার ফ্রেমে বন্দি করেছিলেন মার্কিন সাংবাদিক লিয়ার লেভিন৷ বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ঘুরে তাঁর তোলা ছবি সে সময় তহবিল সংগ্রহ ও বিদেশে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত সৃষ্টিতে রেখেছিল অসামান্য ভূমিকা৷ কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায়, নিজ দেশের আচরণে সেদিন অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছিলেন তিনি৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ