1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

১১৫ জনের আজও খোঁজ নেই...

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৪ ডিসেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশে গত তিন বছরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ১৮৮ জন অপহৃত বা নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র৷ আপহৃতদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ থেকেই তারা এ তালিকা তৈরি করে, জানিয়েছেন নূর খান৷

Symbolbild Polizeigewalt
ছবি: picture-alliance/dpa

[No title]

This browser does not support the audio element.

আইন ও সালিশ কেন্দ্র বা আসক-এর পরিচালক নূর খান ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আমরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ সব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি৷ এমনকি টাকার বিনিময়ে হত্যা বা ক্রসফায়ারের অভিযোগও আছে৷''

আসক-এর হিসাব অনুযায়ী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের হাতে ২০১৩ সালে ৫৩ জন অপহৃত হয়েছেন৷ তাঁদের মধ্যে পরে পাঁচজনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে, গ্রেপ্তার দেখান হয়েছে পাঁচজনকে৷ এছাড়া আরো দু'জন উদ্ধার হয়েছেন৷ তবে ৪১ জনের কোনো খোঁজ আজও মেলেনি৷

২০১৪ সালে একইভাবে অপহৃত হয়েছেন ৮৮ জন৷ তাঁদের মধ্যে ২৩ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং ১১ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে৷ এছাড়া উদ্ধার হয়েছেন ১২ জন আর ৪২ জনের কোনো হদিস নাই৷

চলতি বছরে এ পর্যন্ত অপহৃত বা নিখোঁজ হয়েছেন ৪৭ জন৷ এঁদের মধ্যে ছয়জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, চারজন জীবীত উদ্ধার হয়েছেন আর পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে৷ বাকি ৩২ জন কোথায় আছেন কেউ জানে না৷

অর্থাৎ গত তিন বছরে নিখোঁজ ১৮৮ জনের মধ্যে ১১৫ জনের এখানও কোনো হদিস নেই৷ আর যাঁদের পাওয়া গেছে, তাঁদের একটি বড় অংশ, ৩২ জনের লাশ পাওয়া গেছে৷

আসক-এর পরিচালক নূর খান জানান, ‘‘অপহৃত বা নিখোঁজদের পরিবার অভিযোগ করেছেন যে তাঁদের র‌্যাব পুলিশ বা ডিবি-র সদস্য পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ পরে তাঁদের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ আমরাও দেখেছি, এ সব অপহরণের বড় একটি অংশের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত৷ নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় যদি লাশ ভেসে না উঠতো, তাহলে তাঁদেরও আর খোঁজ পাওয়া যেত না৷ এখন তো জানা যাচ্ছে যে, কতিপয় র‌্যাব সদস্য তাঁদের টাকার বিনিময়ে হত্যা করেছে৷ এ রকম টাকার বিনিময়ে আরো অপহরণ বা ক্রসফায়ারের অভিযোগও আমার পেয়েছি৷''

তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে সরকার বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমরা বারবার কথা বলেছি৷ কিন্তু তারা এ নিয়ে তেমন কোনো আগ্রহ দেখায়নি৷ তাই বাধ্য হয়ে কেউ কেউ ব্যক্তিগতভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও অভিযোগ করেছেন৷''

বিষয়টি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য জানা যায়নি৷ তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘অপহরণ-নিখোঁজের তদন্ত থেমে নেই৷ আমরাও চেষ্টা করছি তাঁদের খোঁজ জানতে৷''

ব়্যাব কি সত্যিই এ সমস্ত অপহরণ এবং হত্যার সঙ্গে জড়িত? আপনার কী মনে হয়? জানান মন্তব্যের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ