আন্দোলনকারীরা ২০১৬ সালের চাকরি প্রার্থী। এই প্যানেলেই নাম ছিল মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। নিয়োগ দুর্নীতির কারণে বহু চাকরিপ্রার্থী ‘যোগ্য’ হয়েও চাকরি পাননি। বঞ্চনার শিকার হয়েছেন বলে দাবি তুলে কলকাতার রাজপথে নেমেছেন নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির চাকরিপ্রার্থীরা।

এই ৮০০ দিন নিজেদের দাবির সমর্থনে নানাভাবে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন চাকরিপ্রার্থীরা। কখনও প্রেস ক্লাব, কখনও বা গান্ধী মূর্তি পাদদেশে আন্দোলকারীর অবস্থান বিক্ষোভে বসেছেন। মাঝে তারা বিকাশ ভবনের সামনে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন।

আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ নিজেদের শিশুসন্তানকে নিয়েও এই আন্দোলনে সামিল হয়েছেন।

মঙ্গলবার আন্দোলনকারীরা কালীঘাট মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। তার পর তারা গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ফের অবস্থান বিক্ষোভে বসেন।

হাতে ধরা ব্যানারে আটকানো ছিল রুটি। তাই দিয়ে লেখা আন্দোলনের ৮০০ দিন।

থালায় লেখা অন্ন চাই, চাকরি চাই। ছেলেরা পরেছিলেন স্যান্ডো গেঞ্জি ও মেয়েরা কালো সালোয়ার বা শাড়ি।

এদিনের আন্দোলনের অভিনবত্ব ছিল, প্রত্যেকে মুখে কালি মেখে বসেছিলেন। তাদের বক্তব্য, গোটা পশ্চিমবঙ্গের অবস্থা এমনই কালিমালিপ্ত।

এক আন্দোলনকারী শহিদুল্লা বললেন, গায়ের রক্ত দিয়ে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আমাদের চাকরির প্রয়োজনটা অনুভব করানোর চেষ্টা করছি।

এসএলএসটি-তে চাকরির জন্য ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। কিন্তু সেই বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে যে চাকরি দেওয়া হয়েছিল, সেখানে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।

মামলা হয় হাইকোর্টে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে চাকরি বাতিল হয় রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতার। সেই চাকরি পান ববিতা সরকার। পরে ববিতার চাকরিও বাতিলের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।