1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘কোক’ কি আগের মতোই আছে?

২৯ আগস্ট ২০১৩

এ যুগে যখন প্রতিটি খাবার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগিতায় মেতেছে, তখন ‘কোকাকোলা’-র আবেদন কিন্তু একটুও কমেনি৷ যুক্তরাষ্ট্রে বড় বড় সুপার মার্কেট থেকে বাড়ির পাশের ছোট দোকানটাতে এর সহজলভ্যতাই বুঝিয়ে দেয় তার কতটা চাহিদা৷

ছবি: picture-alliance/dpa

‘হাফ-সার্কেল, ফুল-সার্কেল, হাফ-সার্কেল, এ; হাফ-সার্কেল, ফুল-সার্কেল, রাইট-অ্যাঙ্গেল, এ' – কী বলুন তো সেটা? হমমমম্, বলছি ‘কোকাকোলা'-র কথা৷

কোক, পেপসি আর কেএফসি – শোনা যায়, এগুলো তৈরির রেসিপি সবার অজানা৷ রেসিপি যাতে কেউ ঘুণাক্ষরেও জানতে না পারে সেজন্য আছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷

যদিও অনেকেই বলেন যে, কয়েক বছরের মধ্যে কোকের স্বাদে ভিন্নতা এসেছে, কিন্তু কোম্পানিগুলো তাদের কথায় অটল৷ তবে ফুড টেকনোলজিস্ট ইনস্টিটিউটের সভাপতি জন রাফ বললেন, ‘‘এটা আসলে একটা পৌরাণিক গল্পের মতো৷ এতবছর ধরে এসব খাদ্যের ফর্মুলায় পরিবর্তন না হওয়াটা একেবারেই অসম্ভব৷''

যদিও অনেকেই বলেন যে, কয়েক বছরের মধ্যে কোকের স্বাদে ভিন্নতা এসেছে, কিন্তু কোম্পানিগুলো তাদের কথায় অটলছবি: Fotolia/ Nitr

কেএফসি-র ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার৷ তারা বলে আসছে, ১৯৪০ সালে কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স যে রেসিপিতে কেএফসি-র খাবার তৈরি করেছিলেন, এখনও তা মেনেই তৈরি করা হয় খাবার৷

২০০৯ সালে হঠাৎ করেই কেএফসি কর্তৃপক্ষের মনে হলো, হাতে লেখা রেসিপিটি ভালোমতো সংরক্ষণ করা জরুরি৷ ৭৭০ পাউন্ডের সিন্দুকে কড়া নিরাপত্তায় রেখে দিল এটিকে৷

তবে ১৯৬৪ সালে যখন কেএফসি হাত বদল হয়, তখন তার রেসিপিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে এক বইতে লিখেছেন স্যান্ডর্স-এর এক বন্ধু৷ তিনি লিখেছেন, মুরগি ভাজার পদ্ধতিতে যে পরিবর্তন আনা হয়েছিল, তাতে বেশ চটেছিলেন স্যান্ডার্স৷

আবার আসি কোকাকোলা-র কথায়৷ অ্যামেরিকার এক নম্বর পানীয় বলা হয় কোকাকোলা আর দুই নম্বর ধরা হয় পেপসিকো-কে৷ ১৯৯৪ সালে সিক্রেট ফর্মুলা নামে ফ্রেডেরিক অ্যালেন যে বইটি লিখেছেন, তা পড়লে একটু চমকে যেতে হয়৷ বইটিতে তিনি কোকাকোলা কোম্পানির সাবেক নির্বাহীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন৷ সেইসাথে কোকাকোলার আর্কাইভ ঘাঁটার সৌভাগ্য হয়েছিল তার৷ এগুলো বিশ্লেষণ করে তিনি দেখলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে কোকাকোলার ফর্মুলাতে অনেকবার পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং উপকরণ হিসেবে এতে কোকেন ব্যবহার করা হয়৷

১৯৪০ সালে কর্নেল হারল্যান্ড স্যান্ডার্স যে রেসিপিতে কেএফসি-র খাবার তৈরি করেছিলেন, এখনও তা মেনেই তৈরি করা হয় খাবারছবি: AP

এই বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর অবশ্য কোকাকোলা কোম্পানি একটি ই-মেলে ঘোষণা দেয়, ১৮৮৬ সালে কোকাকোলা যখন আবিষ্কার হয়, তখন থেকে এ পর্যন্ত এর রেসিপিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি এবং এতে কোনো কোকেন ব্যবহার করা হয় না৷

পেপসিকো-র ক্ষেত্রে অবশ্য ঘটনা কিছুটা ভিন্ন৷ ১৮৯০ এর শেষের দিকে পেপসিকো তৈরি হয়৷ কিন্তু ১৯৩১ সালে নতুন মালিক আগের স্বাদ পছন্দ না করায় এর স্বাদে ভিন্নতা আনা হয়, যার ফলে বেশ মিষ্টি স্বাদ হয়৷

১৯৮০-র দশকে কোকাকোলা ও পেপসিকো-তে কর্ন সিরাপ, চিনি এবং ক্যারামেল যোগ করা হয়৷ তবে এতে মূল ফর্মুলার কোনো পরিবর্তন হয়নি বলে দাবি করেছে দুই কোম্পানি এবং তারা এখনও প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, পুরোনো রেসিপিতেই বানানো হচ্ছে এসব সোডা৷

গত ১২৭ বছর ধরে কোক বানানোর রেসিপি একটি ইস্পাতের ভল্টে রেখে দেয়া হয়েছে৷ এর আশপাশে সবসময় জ্বলতে থাকে লাল রঙের নিরাপত্তা আলো৷ গোপনীয়তা রক্ষার্থে সব সময় চোখ রাখছে বেশ কয়েকটি ক্যামেরা৷ তবে আটলান্টার কোক জাদুঘরে গেলে ক্ষণিকের জন্য দেখা মেলে এই রেসিপির, তবে তা এমন আলো আঁধারি আর ধোঁয়ার মধ্যে, যে কারো সেটা বোঝার সাধ্য নেই৷

এপিবি/ডিজি(এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ