জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)-এ প্রস্তাব বাতিল হওয়ায় ১৫০ আসনে ইভিএম-এ ভোটের পরিকল্পনা থেকে সরেছে নির্বাচন কমিশন৷
বিজ্ঞাপন
নির্বাচন কমিশন বারবার বলে আসছিল ইভিএমে ভোট হলে নির্বাচনে কারচুপি বন্ধ করা সহজ হবে। সঙ্গে তারা ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেয়ারও পরিকল্পনা করছিল। এখন ‘আর্থিক কারণে' সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেল। কিন্তু কাগজের ব্যালটের ভোটেও কি নির্বাচন কমিশন কারচুপি ঠেকাতে পারবে? কীভাবে?
১৫০ আসনে এই ইভিএম প্রকল্পের জন্য নির্বাচন কমিশনের চাহিদা ছিল আট হাজার সাতশ' ১১ কোটি টাকা। একনেকের ১৭ জানুয়ারির বৈঠকে তাদের বরাদ্দ প্রস্তাব ওঠার কথা থাকলেও ওঠেনি। কমিশনের আশা ছিল পরের বৈঠকে হয়ত বরাদ্দ হবে। কিন্তু এরইমধ্যে পরিকল্পনা কমিশন এই বরাদ্দের ব্যাপারে অসম্মতি জানিয়েছে। তারা লিখিতভাবে জানায়, "বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সরকারের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় ‘ইভিএমের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপন' প্রকল্পটি আপাতত বাস্তবায়ন না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। তাই প্রকল্পটি নির্বাচন কমিশনে ফেরত পাঠানো হলো।”
গত বছরের ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশন ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্ত শাসক দল আওয়ামী লীগ ছাড়া অধিকাংশ রাজনৈতিক দল তখন ইভিএমের বিরোধিতা করে।
নির্বাচনের জন্য ইভিএম একটি দুর্বল পদ্ধতি: ড. বদিউল আলম মজুমদার
গত সংসদ নির্বাচনে কিছু আসনে ইভিএম ব্যবহার করা হয়। স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইভিএমের ব্যবহার হয়। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, তাদের কাছে এক লাখ ৫০ হাজার ইভিএম আছে। তা দিয়ে ৬০-৭০টি আসনে ইভিএমে নির্বাচন করা যায়। কিন্তু প্রায় অর্ধেক মেশিনই এখন নষ্ট। প্রকল্পে সেই মেশিনগুলো ঠিক করার বরাদ্দও ছিল।এখন সেটাও আটকে গেল।
ইভিএমের বাজেটের বাইরেও নির্বাচন কমিশন এক হাজার ২২৫ কোটি টাকার নিরাপত্তা সরঞ্জাম কেনার প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে রয়েছে অস্ত্র ও গোলাবারুদ, মোটরযান ও জ্বালানি, গোয়েন্দা, অপারেশনাল ও নিরাপত্তা সামগ্রী। আর চার লাখ সিসি ক্যামেরা কেনার জন্যও তারা অর্থ চেয়েছে।
কিন্তু নর্বাচন কমিশন সীমিত আকারে হলেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে অনঢ় আছে। ইভিএমের প্রকল্প পরিচালক কর্নেল রকিবুল হাসান জানান, "এই প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ৫০ হাজার ইভিএম আছে। তবে সব কর্মক্ষম নাই। আমরা এখন কোয়ালিটি চেকিং ( কিউসি) শুরু করেছি। এই কাজ শেষ হলে বলা যাবে কতগুলো ইভিএম ব্যবহার উপযোগী আছে।”
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সাধারণ সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার মনে করেন, "নির্বাচনের জন্য ইভিএম একটি দুর্বল পদ্ধতি। তাই যত বেশি আসনে ইভিএমে নির্বাচন হবে তত বেশি ভোটের ফলাফল প্রভাবিত করার সুযোগ থাকবে। ইভিএমে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি নির্বাচন কমিশন, তবে ১৫০ আসনে আর পারছে না। কিন্তু ৫০ আসনেও যদি হয়, তাহলে ওই ৫০ আসনে শাসকরা চাইলে ফলাফল প্রভাবিত করতে পারবে।”
তার কথা, "আসলে মূল বিষয় হলো নিরপেক্ষ, দক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত নির্বাচন কমিশন। এই নির্বাচন কমিশন যে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় এটা নিয়েই অনেকের মধ্যে সন্দেহ আছে।”
নির্বাচন কমিশন অনেক কথা বলে সময় ব্যয় করে ফেলেছে: ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ
তিনি বলেন, "ইভিএম আর কাগজের ব্যালট যে পদ্ধতিতেই ভোট নেয়া হোক না কেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে তা সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ হবে না। নির্বাচনকে বহুভাবে প্রভাবিত করা যায়। কারণ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি পক্ষপাতদুষ্ট, প্রশাসন পক্ষপাতদুষ্ট, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট।”
আর জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ (জানিপপ)-এর চেয়ারম্যন অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ মনে করেন, "এখনো ঠিক নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না যে শেষ পর্যন্ত কতগুলো আসনে ইভিএমে নির্বাচন হবে। কারণ, সর্বোচ্চ ১৫০ আসনের পরিকল্পনা স্থগিত হয়েছে, বাতিল নয়। অর্থ সংকটের কারণে এটা করা হচ্ছে। তবে যে মেশিনগুলো আছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নির্বাচন কমিশন করবে বলেই মনে হয়।”
তার কথা, "নির্বাচন কমিশন অনেক কথা বলে সময় ব্যয় করে ফেলেছে। এখন তাদের কাজ করা উচিত। ইভিএম বা ব্যালট পেপার যেভাবেই নির্বাচন হোক, সেটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য যা করা দরকার, কমিশন এখনো তা করেনি। এখন তাদের সেটার জন্য জাম্প স্টার্ট করা উচিত।”
তবে তিনি মনে করেন, " ইভিএম রিরোধীদের জন্য একটি সুযোগ, কারণ, এই পদ্ধতিতে জালিয়াতির সুযোগ কম। কিন্তু সব কিছু নির্ভর করে নির্বাচন কমিশনের দৃঢ়তা ও নিরপেক্ষতার ওপর।”
বিদেশি দূতদের আলোচিত কথা, কাজ
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের মন্তব্য ও কর্মকাণ্ড আলোচনার জন্ম দিয়েছে৷ বিশেষ করে গত নির্বাচন নিয়ে জাপানি রাষ্ট্রদূতের করা মন্তব্য বেশ আলোচিত হয়েছে৷
ছবি: CGS
‘রাতেই পুলিশ ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিল বলে শুনেছি’
১৪ নভেম্বর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ‘‘গত (জাতীয় সংসদ) নির্বাচনে আগের রাতেই পুলিশ ব্যালট বাক্স ভর্তি করেছিল বলে আমি শুনেছি৷ অন্য কোনো দেশে এমন দৃষ্টান্ত নেই৷ আমি আশা করব, এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না৷’’
ছবি: U.S. Embassy Dhaka
‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’
১৩ অক্টোবর জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্র্যোস্টার বলেন, ‘‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মানে হচ্ছে নিয়মিতভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আয়োজন৷ এ ধরনের নির্বাচন দেশের স্থিতিশীলতার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ আমরা বিশ্বাস করি, ভোটারদের ভোট দেওয়ার এবং সরকার গঠনে ভূমিকা রাখার অধিকার রয়েছে৷ তাই সমালোচিত হলেও বন্ধু হিসেবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে তিনি কথা বলে যাবেন বলে উল্লেখ করেন৷’’
ছবি: bdnews24.com
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের খবরে উদ্বিগ্ন মার্কিন রাষ্ট্রদূত
৭ ডিসেম্বর ঢাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের পরদিন এক ফেসবুক পোস্টে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, ‘‘রাজনৈতিক সহিংসতা ও ভয়-ভীতি দেখানোর খবরে আমরা উদ্বিগ্ন৷ আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সহিংসতা, হয়রানি ও ভয়-ভীতি দেখানো থেকে বিরত থাকার জন্য আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি৷’’ এর আগে ৩১ মে তিনি বলেছিলেন, বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: Sam Panthaky/AFP
গুম হওয়া ব্যক্তির বাসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস ১৪ ডিসেম্বর নিখোঁজ বিএনপির নেতা সাজেদুল ইসলামের বাসায় যান৷ সাজেদুলের বোন গুম হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক৷ এ সময় ‘মায়ের কান্না’ নামে আরেক সংগঠনের লোকজন রাষ্ট্রদূতকে ঘিরে ধরার চেষ্টা করেন৷ ওই ঘটনায় নিরাপত্তার উদ্বেগ জানাতে হাস পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের কাছে যান৷ পরদিন এ নিয়ে উদ্বেগ জানাতে ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকেও তলব করা হয়েছিল৷
ছবি: United States Department of State
‘বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে’
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক উপসহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আফরিন আখতার ৬ নভেম্বর ঢাকায় বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা মিশন এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা ইউএসএইডের বাংলাদেশ কার্যালয় আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে৷
ছবি: Brendan Smialowski/AFP
বিরোধী দলের সভা-সমাবেশে কড়াকড়ির ঘটনায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র নেড প্রাইস ৬ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, বাংলাদেশে বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের ওপর কড়াকড়ি আরোপের ঘটনা নিয়ে তার দেশ উদ্বিগ্ন৷ তিনি বলেন, ‘‘কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা প্রার্থীকে হুমকি, উসকানি অথবা এক দল আরেক দল বা প্রার্থীর ওপর যাতে সহিংসতা ঘটাতে না পারে, বিষয়টি নিশ্চিত করতে আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই৷’’
ছবি: Nicholas Kamm/AP Photo/picture alliance
নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন নেড প্রাইস
একই ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়েও কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র৷ তিনি বলেন, ‘‘অর্থপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করতে হলে সহিংসতা, হয়রানি ও নির্ভয়ে ভোটারদের সঙ্গে প্রার্থীদের জনসংযোগ করার সুযোগ করে দিতে হবে৷’’
ছবি: Manuel Balce Ceneta/AP Photo/picture alliance
অঙ্গীকারের কথা মনে করিয়ে দেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী
১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ৭ ডিসেম্বর বিকেলে এক বিবৃতিতে ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস জাতিসংঘের সদস্যরাষ্ট্র হিসেবে মতপ্রকাশ, গণমাধ্যম ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতাসহ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে অঙ্গীকারের কথা বাংলাদেশকে স্মরণ করিয়ে দেন৷ ঢাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনার এক ঘণ্টা পর ঐ বিবৃতি দেন গোয়েন লুইস৷
ছবি: Getty Images/AFP/N. Roberts
ইইউ ও ১৪ দেশের বিবৃতি
ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ১৪টি দেশের মিশন ৬ ডিসেম্বর বলেছে, ‘‘আমরা বাংলাদেশের বন্ধু ও অংশীদার হিসেবে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন প্রক্রিয়ার গুরুত্ব পুনর্ব্যক্ত করছি৷’’ মিশনগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউ, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইটালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, জাপান, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া৷
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
বাংলাদেশ প্রসঙ্গে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের পালটাপালটি বিবৃতি
২০ ডিসেম্বর ঢাকার রুশ দূতাবাস বিবৃতিতে বলে, গণতন্ত্র সুরক্ষা বা অন্য অজুহাতে বাংলাদেশসহ তৃতীয় কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে রাশিয়া বদ্ধপরিকর৷ ইউক্রেনের ক্ষেত্রে রাশিয়া এই নীতি প্রয়োগ করেছে কিনা, পরদিন সেই প্রশ্ন তোলে মার্কিন দূতাবাস৷ একদিন পর রুশ দূতাবাস টুইটারে একটি ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশ করে৷ ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্র যে পশ্চিমা বলয়ের নেতৃত্বে রয়েছে, তা তুলে ধরা হয় এতে৷
ছবি: Valery Sharifulin/dpa/TASS/picture alliance
‘বহুপক্ষীয় ও স্বচ্ছ গণতন্ত্র দেখতে চায় যুক্তরাজ্য’
১৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন বলেছেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতো যুক্তরাজ্যও বাংলাদেশে অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনি প্রক্রিয়াসহ বহুপক্ষীয় ও স্বচ্ছ গণতন্ত্র দেখতে চায়৷
ছবি: Reuters/T. Melville
‘অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অন্য দেশের ওপর নির্ভর করে না’
১৬ নভেম্বর ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, ‘‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা সরকার, রাজনৈতিক দল ও বাংলাদেশের জনগণের ওপর নির্ভর করে, অন্য কোনো দেশের ওপর নয়৷’’