কবুতর বা পায়রা দৌড়ের জন্য ‘নিউ কিম’ নামের এই কবুতরটি কিনেছেন চীনের এক ক্রেতা, যেখানে বর্তমানে জনপ্রিয় হচ্ছে এই খেলা৷
বিজ্ঞাপন
কবুতর বা পায়রার দৌড় ইউরোপের বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডসসহ উত্তর ফ্রান্সের বেশ কিছু অংশে জনপ্রিয়৷ এই দৌড় বিশেষভাবে জনপ্রিয় এই অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষদের মধ্যে৷ ২০১৮ সালে ‘নিউ কিম’ নামের কবুতরটি ফ্রান্সের দুটি প্রতিযোগিতায় তার দুর্দান্ত পারফর্মান্সের কারণে ‘এস পিজিওন গ্র্যান্ড ন্যাশনাল মিডল ডিস্টান্স’ পুরস্কার পায়৷
নিউ কিমকে সাফল্যের এই চূড়ায় নিয়ে যেতে বাবা-ছেলে জুটি গাস্টন ও কার্ট ফান ডে ওউয়ার বেলজিয়ামের বেরলার খামারে বেশ কিছু দিন ধরে প্রশিক্ষণ দিয়েছে৷
রোববার পিজিওন প্যারাডাইস (পিপা) সংস্থার অনলাইন নিলামের অনুষ্ঠানে এই নিউ কিমকে ১৬ কোটি বাংলাদেশি টাকার সমমূল্যের প্রায় ১৬ লাখ ইউরো দিয়ে কেনেন এক বেনামী চীনা ক্রেতা, যা নিউ কিমের কেনা দামের দশগুণেরও বেশি৷ পিপার চেয়ারম্যান নিকোলাস গাইজেলব্রেশট এএফপিকে বলেন, ‘‘আমার মতে এই দাম নিঃসন্দেহে বিশ্ব রেকর্ড৷ এর আগে, এত দাম কোথাও লিখিতভাবে আমরা দেখিনি৷’’
মূল্য ২২৫ কোটি টাকা মাত্র!
01:07
ইউরোপের বাইরে কবুতর দৌড়ের ঝোঁক
কবুতর দৌড়ে বিশ্বে এগিয়ে আছে বেলজিয়াম৷ বর্তমানে, প্রায় বিশ হাজার এমন কবুতর পালক রয়েছেন সে দেশে, যারা নিয়মিত দৌড়ের জন্য পাখিটিকে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছেন৷
এক দশক আগে পর্যন্তও, বলা হতো যে এই খেলার জনপ্রিয়তা নিম্নগামী৷ কিন্তু চীনে নানা ধরনের জুয়াখেলার চল বাড়ার সাথে করে এই কবুতর দৌড়ও সেখানে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে৷
এই খেলার প্রশিক্ষণের জন্য কবুতরদের দীর্ঘ সময় ধরে কুঠুরিতে বন্দি করে রাখা হয়৷ এরপর কয়েকশ মাইল দূরে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়৷ তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ এটাই, যে তারা ঠিক পথ চিনে নিজেদের কুঠুরিতে ফিরে আসতে পারে কি না৷ কবুতর দৌড়ে বিজয়ীরা লাখ লাখ ইউরো জিতেছেন বলেও জানা গেছে৷
চীনা ধনকুবেরদের মধ্যে কবুতর দৌড়ের প্রতি আগ্রহ দেখা গেলেও বেলজিয়ামে এই খেলা হারাচ্ছে তার পুরোনো জাঁকজমক৷ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেলজিয়ামে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ এই পাখি প্রশিক্ষণের সাথে জড়িত থাকলেও বর্তমানে এই সংখ্যা ১০ গুণ কমেছে৷
এসএস/কেএম (এপি, এএফপি)
আগস্টের ছবিঘরটি দেখুন...
নিলামে এবার মহাত্মা গান্ধীর চশমা
বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদদের ব্যবহৃত জিনিস নিলামে ওঠার ধারা আজও অব্যাহত৷ ছবিঘরে রয়েছে এমনই কয়েকটি জিনিসের গল্প৷
ছবি: picture-alliance/dpa
মহাত্মা গান্ধীর চশমা
মোহনদাস করমচন্দ গান্ধীর বিখ্যাত সোনায় মোড়া গোলফ্রেম চশমা সোমবার বিক্রি হলো দুই লাখ ৬০ হাজার পাউন্ডে (প্রায় ২ কোটি ৬১ লাখ টাকা৷ যুক্তরাজ্যের ব্রিস্টল শহরে হঠাৎ করেই খুঁজে পাওয়া যায় এই চশমা৷ এই চশমাটি ১৯২০ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় থাকতে সময় ব্যবহার করেন গান্ধী বলে জানিয়েছে নিলামের আয়োজক ব্রিস্টল অকশানস সংস্থা৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Lane
চার্চিলের সিগার
১৯৪৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল প্যারিস সফরে যান৷ সেই সফরের সময়ে তাঁর একটি আধপোড়া সিগার থেকে যায়৷ ২০১৭ সালে বস্টনের একটি নিলাম সংস্থা ১২ হাজার মার্কিন ডলারে (প্রায় দশ লাখ টাকা) বিক্রি করে চার ইঞ্চি লম্বা এই সিগারটি৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/RR Auction
হিটলারের টেলিফোন
২০১৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আলেকজান্ডার হিস্টোরিকাল অকশানস সংস্থা নাৎসি জার্মানির রাষ্ট্রনেতা আডলফ হিটলারের ব্যবহৃত একটি টেলিফোন নিলামে তোলে৷ বলা হয়, ১৯৪৫ সালে হিটলারের বাঙ্কার পরিদর্শনের সময়ে রুশবাহিনীর হাতে আসে এই ফোন৷ নিলামে এই ফোনটির দাম ওঠে দুই লাখ ৪৩ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ২০ কোটি ছয় লাখ টাকা)৷
ছবি: picture-alliance/dpa/AP/P. Semansky
থ্যাচারের ব্রোচ
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার তাঁর রাজনীতি ছাড়াও খ্যাত ছিলেন তাঁর কেতাদুরস্ত সাজপোশাকের কারণে৷ ২০১৫ সালে লন্ডনে হিরে খচিত একটি ব্রোচ নিলাম হয়, যা ‘আয়রন লেডি’ থ্যাচার ব্যবহার করতেন৷ ধারনা করা হয়েছিল যে আনুমানিক ১০ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হবে এই ব্রোচ৷ কিন্তু সব জল্পনা ভেঙে মোট এক লাখ ৫৮ হাজার পাউন্ডে (প্রায় ১৮ কোটি টাকা)বিক্রি হয় সেটি৷
ছবি: Getty Images/C.Court
থ্যাচারের স্যুটও নিলামে
ঘন গাঢ় নীলরঙা একটি স্যুট, যা মার্গারেট থ্যাচার ব্যবহার করেছিলেন, নিলামে ওঠে৷ প্রত্যাশা ছিল দুই থেকে তিন হাজার পাউন্ডে বিক্রি হবে সেটি৷ কিন্তু ২০১৫ সালের এই নিলামে ক্রেপের তৈরি এই স্যুট বিক্রি হয় ২৭ হাজার ৫০০ পাউন্ডে (প্রায় ৩১ লাখ টাকা)৷
ছবি: Getty Images/C.Court
মাওয়ের চিঠি অ্যাটলিকে
চীনা রাষ্ট্রনেতা মাও সে তুং ১৯৩৭ সালের নভেম্বরে তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্লেমেন্ট অ্যাটলি৷ কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখা হয় এই চিঠি৷ ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে লন্ডনের বিখ্যাত সোদেবিজ সংস্থা নিলাম করে এই চিঠি৷ ছয় লাখ পাঁচ হাজার পাউন্ড (প্রায় ৬৭ কোটি টাকা) দামে বিক্রি হয় সেই চিঠি৷
ছবি: picture-alliance/epa/Sotheby's
নরেন্দ্র মোদীর স্যুট
ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীপদে শপথগ্রহণের সময় একটি বিশেষভাবে নির্মিত স্যুট পরেছিলেন৷ গাঢ় নীলরঙা এই স্যুটের গায়ে সোনার সুতো দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নাম সেলাই করা৷ চার কোটি ৩২ লাখ ভারতীয় রুপিতে (প্রায় ৫ কোটি টাকা) এই স্যুট কেনেন হিরের ব্যবসায়ী লালজীভাই প্যাটেল৷ কোনো নিলামে ওঠা বিশ্বের সবচেয়ে দামী স্যুটের রেকর্ড এখন পর্যন্ত এটিই৷