মানবাধিকার সংগঠনগুলোর সমালোচনার মুখেই এই রায় দিলো ইরাকে দ্রুত বিচার আদালত৷ তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ‘ইসলামিক স্টেট'-এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে ঐ নারীদের বিরুদ্ধে৷
বিজ্ঞাপন
তবে ঐ নারীরা এক মাসের মধ্যে উচ্চ আদালতে আপিল করতে পারবেন৷ রোববার ১৬ জন তুর্কি নারীর বিরুদ্ধে রায় দেয় আদালত৷ গত বছর ইরাকে আইএস-কে প্রায় নির্মূল করার পর শত শত বিদেশি নারীকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বাগদাদ৷ এসব নারীরর বয়স ২০ থেকে ৫০-এর মধ্যে৷ অনেকের সঙ্গে শিশুও আছে৷
সিরিয়ার রাকায় প্রাণ ফিরছে
তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-এর ‘রাজধানী’ হিসেবে পরিচিত ছিল সিরিয়ার রাকা শহর৷ গত অক্টোবরে সেটি মু্ক্ত করা হয়৷ এখন সেখানে ফিরছেন বাসিন্দারা৷
ছবি: DW/F. Warwick
ধ্বংসস্তূপ
ভাঙা ভবন, সড়ক, ইস্পাতে ঝুলে থাকা কংক্রিট – এ সবই এখন রাকা শহরের সাধারণ দৃশ্য৷ তবে মানুষজনের চলাফেরার জন্য সড়ক থেকে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে৷
ছবি: DW/F. Warwick
ঘরে তৈরি বাহন
রাকা তো আর সাধারণ শহর নেই৷ ফলে নেই কোনো পরিবহণ৷ তাই এই পরিবার একটি বাক্সর নীচে চাকা বসিয়ে চলাফেরার কাজ সারছেন৷
ছবি: DW/F. Warwick
আর উপায় কী!
ছবি দেখেই বুঝতে পারছেন, গণপরিবহন না থাকায় ছয় সদস্যের এই পরিবার ছোট্ট এক মোটর সাইকেলে গাদাগাদি করে বসেছে৷ পরিবারের সবচেয়ে ছোট সদস্যটি কিন্তু পেছনের বাক্সে বসে আছে৷ দেখতে পাচ্ছেন?
ছবি: DW/F. Warwick
ভাঙা সেতু
ইউফ্রেটিস নদীর উপর থাকা সেতুটি আইএস ভেঙে ফেলেছিল যেন ‘সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস’ রাকায় আসতে না পারে৷ তাই বাধ্য হয়ে এখন এমন নৌকা করেই যাত্রী ও মোটর সাইকেল পারাপার চলছে৷
ছবি: DW/F. Warwick
খুব চাহিদা
রাকায় বাসিন্দারা ফিরে ঘরবাড়ি ঠিক করছেন৷ তাই ছবির মতো এই শ্রমিকদের এখন বেশ চাহিদা৷ কাজ পেতে রাস্তার ধারে বসে আছেন তাঁরা৷
ছবি: DW/F. Warwick
দু’টি কিনলে একটি ফ্রি!
শ্রমিকদের যেমন চাহিদা তৈরি হয়েছে তেমনি কফি, এনার্জি ড্রিংকস ইত্যাদিরও চাহিদা বেড়েছে৷ তাই তো এ রকম দোকানের এখন রমরমা অবস্থা৷
ছবি: DW/F. Warwick
ব্যক্তিগত মালামাল
এই পরিবার রাকায় ফিরে ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে এই জাজিমটি খুঁজে পেয়েছেন৷ আরেক জায়গা থেকে ছেলের স্কুলের বইও পান তাঁরা৷
ছবি: DW/F. Warwick
বিস্ফোরক
রাকার বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থাকা বিস্ফোরক দ্রব্য এখনও মানুষের হুমকির কারণ হয়ে আছে৷ ছবিতে এই দুই শিশুকে ব্যবহৃত শেল হাতে দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: DW/F. Warwick
8 ছবি1 | 8
যখন ইরাক ও সিরিয়ায় আইএস খুবই জোরালো অবস্থান তৈরি করে ফেলেছিল, তখন এই নারীরা তাদের স্বামীদের সঙ্গে মিলিত হবার জন্য অবৈধভাবে ইরাক ও সিরিয়ায় ঢোকেন৷ আদালতে এক নারী স্বীকার করেছেন যে, তিনিও সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন৷
মোসুল ও অন্যান্য এলাকা আইএসমুক্ত করার পর ইরাক তড়িঘড়ি করে ৫৬০ জন নারী ও ৬০০ শিশুকে আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে বিচার শুরু করে ইরাক৷ গত জানুয়ারিতে এক জার্মান নারীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়৷ আর গেল সপ্তাহে ১৭ বছর বয়সি এক জার্মান তরুণীকে ৬ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়৷ ঐ তরুণী এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেছিলেন৷
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এই সাজা দেয়াকে ‘অন্যায্য’ বলছে৷ কোনো কোনো মানবাধিকার কর্মী দাবি করছেন যে, এই নারীদের অনেকেই পরিস্থিতির শিকার৷ তাদের ভুল বুঝিয়ে আইএস-এ যুক্ত করা হয়েছিল৷
গত আগস্টে এদের বাইরেও আরো প্রায় ১ হাজার ৩শ নারী ও শিশু ইরাকি কুর্দিস্তানের সেনাদের হাতে ধরা দেয়৷ কর্তৃপক্ষ কিছু না বললেও ধারণা করা হয় যে, আইএস-এর সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে ইরাকে প্রায় ২০ হাজার জন আটক আছেন৷