১৭ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক সন্তান ফেসবুকের মাধ্যমে খোঁজ পেয়ে মা-বাবার বুকে ফিরেছে৷ আজ বিডিনিউজের এই খবর হঠাৎ করেই মনটা ভালো করে দিলো! ধন্যবাদ ফেসবুক!
বিজ্ঞাপন
পারিবারিক মিলনের অনুভূতি যে কতটা আনন্দদায়ক তা পরিবার থেকে দূরে থাকা সবাই জানে৷ আর আমরা যারা দেশের বাইরে থাকি, তারা এই মিলনের গভীরতা যেন একটু বেশিই অনুভব করি৷ আর করোনাকালে পরিবারের সদস্যদের কাছাকাছি হওয়ার মতো আনন্দের খবর যেন আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়ার মতো অনেকটা৷ রেডিও, পত্রিকা, টিভি, ইন্টারনেট সর্বত্রই কেবল সংক্রমণ, মৃত্যু, হত্যা, দুর্ঘটনার মতো মন খারাপ করা নানা খবর! যে কারণে খুব প্রয়োজন ছাড়া টিভি দেখতে ইচ্ছে করে না৷ প্রায় এক বছর হতে চললো করোনা যেন জোঁকের মতো জাপটে ধরে আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে প্রায় পঙ্গু করে দিয়েছে৷
করোনার কারণে পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য হয়েছে বহু পরিবার, দেখা না হওয়ার যন্ত্রণায় ভুগছেন অনেকেই৷ ঠিক এ সময়ে একটি পরিবার দীর্ঘ ১৭ বছর পরে ফেসবুকের কল্যাণে আবার মিলিত হতে পেরেছে তা কতটা আনন্দের তা আমরা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছি৷ এত বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মেয়েটি ফিরে এসেছে মায়ের কোলে, একজন মায়ের কাছে এর চেয়ে বড় সুখানুভূতি আর কী হতে পারে!
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার বাগান উত্তরপাড় গ্রামের মেয়ে ২৫ বছর বয়সি তানিয়া আক্তার আট বছর বয়সে ঢাকায় বেড়াতে গিয়ে হারিয়ে যায়৷ তবে সহৃদয় এক পরিবার মেয়েটিকে আপন করে নিয়ে বড় করেছে৷ এখন সে বিবাহিত ও সন্তানের মা৷ তানিয়ার বাবা-মা শত চেষ্টা করেও তাদের হারানো সন্তানকে তখন খুঁজে না পেলেও দেড়যুগ পরে এসে ফেসবুক সে অসাধ্য সাধন করেছে৷
বাংলাদেশে ফেসবুক: ব্যবহারের ভাল-মন্দ
সব বয়সী মানুষের কাছেই জনপ্রিয় এক সামাজিক মাধ্যম এখন ফেসবুক৷ যা ব্যবহার ছাড়া অনেকে একটি মুহূর্ত ভাবতে পারেন না৷ মাধ্যমটি অষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে গেছে মানুষের জীবন যাত্রার সাথে৷ যা ভালোর পাশাপাশি অনেক মন্দ প্রবণতারও জন্ম দিয়েছে৷
ছবি: Reuters/D. Ruvic
‘দ্য ফেসবুক’ থেকে শুধু ‘ফেসবুক’
২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি দ্য ফেসবুক নামের একটি ওয়েবসাইট খোলেন যুক্তরাষ্ট্রের হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মার্ক জাকারবার্গ ও তার বন্ধুরা৷ শুরুতে এটি ছিল শুধু হাভার্ডের ব্যবহারকারীদের জন্য৷ ২০০৫ সালে নামের শুরুতে থাকা ‘দ্য’ ফেলে দেয় ফেসবুক৷ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৬ থেকে উন্মুক্ত করে দেয়া হয় ১৩ বছরে উপরের সব বয়সীদের জন্য৷
ছবি: REUTERS
১০০০ ডলার থেকে বিলিয়ন ডলার
২০০৪ সালে যাত্রা শুরুর সময় দ্য ফেসবুকে জাকারবার্গদের বিনিয়োগ ছিল মাত্র এক হাজার ডলার৷ বর্তমানে সেই কোম্পানির বার্ষিক আয় দাড়িয়েছে পাঁচ হাজার ৫৮৩ কোটি ডলারে৷ ২০১৮ সালে তাদের নিট মুনাফা হয়েছে দুই হাজার ২১১ কোটি ডলার৷ ফোর্বসের তালিকায় সবচেয়ে দামী ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ফেসবুক আছে শীর্ষ পাঁচে৷
ছবি: AP
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জনসংখ্যা
বর্তমানে বিশ্বে ফেসবুক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২২৫ কোটির বেশি৷ সাম্প্রতিক সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে বেশ চ্যালেঞ্জের মধ্যে আছে৷ চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে ২২০ কোটি অ্যাকাউন্ট এ কারণে বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক৷
ছবি: Reuters/D. Ruvic
বাংলাদেশে তিন কোটি
বাংলাদেশে এই মুহূর্তে ফেসবুক ব্যবহারকারী কত তার কোন সঠিক পরিসংখ্যান নেই৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী দেশে তিন কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি ব্যবহার করে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. A. Thu
যোগাযোগের নতুন মাধ্যম
ফেসবুক এখন সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে বড় এক মাধ্যম৷ যেখানে খুজে পাওয়া যায় পরিচিত মানুষ৷ রাখা যায় তাদের খোঁজ, খবর৷ যোগাযোগের এই গণ্ডি পেরিয়ে যেতে পারে এমনকি দেশের সীমানা৷ আর এভাবে গড়ে উঠছে নতুন নতুন বন্ধুত্ব৷ বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে চেনা অচেনা মানুষ সাহায্যও করছে একে অপরকে৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Alfiky
তাৎক্ষণিক যোগাযোগ, ফোন কল
ফেসবুক অনেকের কাছে তাৎক্ষণিক যোগাযোগের এক মাধ্যমও৷ মোবাইল নেটওয়ার্কে বার্তা পাঠানোর বদলে ফেসবুকের মাধ্যমেই যোগাযোগ চলে৷ ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে এমনকি ফোনে কথা বলার কাজও সারে৷
ছবি: Imago/ZUMA Press
অনলাইন মার্কেটিং, এফ কমার্স
ফেসবুকের মাধ্যমে এখন অনেকে আয় রোজগার করছেন৷ বিভিন্ন ব্যবসায়িক পেইজ খুলে তারা নিজেদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন, সরাসরি যোগাযোগ করছেন ক্রেতাদের সাথে৷ এই ধরণের ব্যবসা পরিচিত এফ কমার্স নামে৷ ই কমার্স ব্যবসায়ীদের সংগঠন ই-ক্যাবের হিসাবে, দেশে এখন এমন প্রায় ২০ হাজার ফেসবুক পেইজ আছে৷ যার মধ্যে ১২ হাজার চালাচ্ছেন নারীরা৷
ছবি: Colourbox/T. Vitsenko
শিক্ষামূলক পেইজ
ফেসবুকে আছে বিভিন্ন শিক্ষামূলক সাইট ও গ্রুপ৷ তেমনই একটি সার্চ ইংলিশ৷ বাংলাদেশের জনপ্রিয় এই ফেসবুক গ্রুপটিকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্রও নির্মাণ করেছে ফেসবুক বিজনেস৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Kiran
তথ্যের উৎস
ফেসবুক এখন অনেকের কাছে হয়ে উঠেছে তথ্য ও সংবাদের উৎস৷ ব্যবহারকারীরা নিজেরাই প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে অনেক সময় বিভিন্ন খবর বা তথ্য জানাচ্ছেন৷ আবার বিভিন্ন গণমাধ্যমগুলোর পেইজ থেকেও সবশেষ খবর পাওয়া যায় ফেসবুকে৷
ছবি: picture-alliance/maxppp/P. Proust
রক্তদান
কারো জরুরি রক্তের প্রয়োজনে ফেসবুকের সহযোগিতা নিতে পারেন৷ বাংলাদেশসহ কয়েকটি দেশে ২০১৮ সালে ‘ব্লাড ডোনেশনস হাব' তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটি৷ এতে আগ্রহী রক্তদাতারা সাইন আপ করতে পারেন৷ আর যাঁদের রক্তের প্রয়োজন, তাঁর আশপাশে রক্তদাতা কে আছেন সেই তথ্য জানাতে পারেন৷
ছবি: Fotolia
প্রতিবাদের মাধ্যম
ফেসবুক অনেকের কাছে মত প্রকাশ আর প্রতিবাদের মাধ্যমও৷ দেশের বিভিন্ন অপরাধের ঘটনায় ফেসবুকে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ এতে অনেক সময় তৎপর হয় সরকার বা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ নারায়ণগঞ্জের শিক্ষক শ্যামলকান্তির অবমাননা,
সিলেটে শিশু রাজন হত্যাসহ শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ গড়ে ওঠায়ও ভূমিকা ছিল ফেসবুকের৷
ছবি: Facebook/Mushfiqur Rahim
ব্যক্তিগত সম্প্রচার মাধ্যম
অনেকের কাছে ফেসবুক হয়ে উঠেছে ব্যক্তিগত সম্প্রচার মাধ্যম৷ নিজেদের সৃজনশীল কাজ, লেখালেখি, বক্তৃতা করে কেউ কেউ এমনকি সেলিব্রেটিও বনে গেছে৷ ফেসবুকে তাঁদের লাখো ফলোয়ার বা অনুসারীও আছে৷
ছবি: Facebook/A. Sadiq
নারী অবমাননা
ফেসবুকে অনেক সময় প্রতারণা আর নিপীড়নের শিকার হন নারীরা৷ আইডি হ্যাক করে, অপ্রিতীকর ছবি ছড়িয়ে দিয়ে এমনকি পর্নোগ্রাফি ছড়িয়ে নারীদের ব্ল্যাকমেইল করে অনেক অপরাধী৷
ছবি: DW
অপরাধ প্রবণতা
ফেসবুক অপরাধ প্রবণতা তৈরি করছে অনেক কিশোর ও তরুণদের মধ্যে৷ ঢাকার উত্তরা এলাকায় এক কিশোর হত্যার ঘটনায় তরুণদের ফেসবুক ব্যবহারের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে৷ তারা ফেসবুক পেজ খুলে গড়ে তোলো নানা সন্ত্রাসী গ্রুপ৷আবার ধানমন্ডিতে এক কিশোরকে আরেক কিশোর গ্রুপ মারধর করে তার ভিডিও আপলোড করে দেয় ফেসবুকে৷ তরুণদের একাংশ প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে, ব্ল্যাকমেল করতে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমটি ব্যবহার করছে৷ (প্রতীকী ছবি)
ছবি: Bangla Tribune/Humayun Masud
ভুয়া খবর ও গুজব
চলতি বছরের জুন-জুলাই মাসের দিকে ‘পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা লাগবে’ বলে ফেসবুকের মাধ্যমে সারাদেশে গুজব ছড়ানো হয়৷ এরপর ছেলেধরা সন্দেহে কয়েকজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে৷ গত বছর কিশোরদের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনেও শিক্ষার্থী ধর্ষণের গুজবে সংঘর্ষ বাড়ে৷ ফেসবুকে হরহামেশাই এমন গুজব আর ভুয়া তথ্য ছড়াচ্ছে এক শ্রেণীর মানুষ৷
ছবি: Getty Images/AFP/P. Singh
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা
কারো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে সেখান থেকে ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্ট৷ যাকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা৷ কক্সবাজারের রামুতে হামলা থেকে শুরু করে গত কয়েক বছরে এমন বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে৷ যার সবশেষটি হয়েছে ভোলাতে৷
ছবি: AFP/Getty Images
রাষ্ট্রীয় দমন, সন্ত্রাসীদের নিপীড়ন
ফেসবুকে মত প্রকাশ করতে গিয়ে রাষ্ট্রীয় বা সন্ত্রাসীদের নিপীড়নের মধ্যেও পড়তে হয়েছে অনেককে৷ ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অধীনে এজন্য অনেককে জেলেও যেতে হয়েছে৷ আবার ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিন্ন মত সহ্য করতে না পেরে পিটিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটেছে বুয়েটে৷
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
17 ছবি1 | 17
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তানিয়ার বাবা বলেন, ‘‘২০০৪ সালে তানিয়ার বয়স ছিল ৮ বছর; তখন তাকে ঢাকা বেড়াতে নিয়ে যাই৷ আমার ফুফুর আগারগাঁওয়ের বাসায় তাকে রেখে আমি গ্রামে চলে আসি৷ সেখান থেকে তানিয়া নিখোঁজ হয়৷ এ ঘটনায় আমি তেজগাঁও ও কোটালীপাড়া থানায় জিডি করি এবং পত্র-পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিই৷ পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও ওই সময় তানিয়াকে খুঁজে পাইনি৷ গত ৮ জানুয়ারি ফেসবুকে তানিয়ার ছোট বেলার ছবি ও সঙ্গে আমার, স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েদের নাম দেখে কোটালীপাড়ার ইমরান ঘরামীর স্ত্রী লাবণ্য ওরফে পলি আমাকে বিষয়টি জানায়৷ তিনি ফেসবুক থেকে আমার জামাতার মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করেন এবং ওইদিন রাতে মেয়ে জামাইয়ের সঙ্গে কথা বলে আমার মেয়ের সন্ধান পাই৷ পরের দিন আমরা ঢাকা যাই৷’’
তানিয়ার স্বামী আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘‘বিয়ের পর থেকে তানিয়ার মা-বাবাকে খুঁজে পেতে অনেক চেষ্টা করছি৷ পরে ফেসবুকে তানিয়ার ছোট বেলার ছবি পোস্ট করি৷ এ সূত্রধরে তানিয়ার বাবা-মা তার সন্ধান পায়৷’’
হ্যাঁ, একসময় আমি ফেসবুকের ভীষণ ভক্ত ছিলাম কিন্তু আজকাল ফেসবুকের চেহারা অনেকটাই পাল্টে গেছে৷ যেমন খুশি তেমন সাজে নানা খবরাখবর প্রকাশ পায়, যার ফলে ফেসবুকের প্রতি আকর্ষণ অনেকটাই হারাতে বসেছিলাম৷ এই ক্রান্তিকালে তানিয়াকে পরিবারের কাছে ফিরে যেতে সহায়তা করে ফেসবুক তার গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দিলো৷
আমার মনে আছে, ৮০র দশকে দেশে বেড়াতে যাওয়ার সময় আম্মা-আব্বার জন্য ছোট ছোট চকোলেট বা বিস্কুটের প্যাকেট নিয়ে যেতাম৷ সেগুলো থেকেই আমাকে দেখতে আসা অতিথিদের তারা একটু একটু করে খেতে দিতেন৷ আমার তখন মনে হতো ওগুলো চকলেট, বিস্কুট নয়, যেন টুকরো টুকরো ভালোবাসা৷ এসব ভালোলাগার পুরনো মিষ্টি স্মৃতি৷ পারিবারিক বন্ধন অনেক মধুর, আজকের এই আধুনিক যুগে তার অনেকটাই যেন মলিন !
হারিয়ে যাওয়া মানুষকে খুঁজে পাওয়ার ঘটনাকে অনেক সময় গল্পের মতোই মনে হয়৷ হারিয়ে যাওয়া ভালোবাসার মানুষ বা পরিবারের সদস্যকে খুঁজে পাওয়ার গল্প নিয়ে জার্মান টিভিতে ১৯৯৩ থেকে ২০১১ পর্যন্ত nur die liebe Zählt বা ‘ভালোবাসাই সব' এই শিরোনামে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হতো, যা আমি তখন নিয়মিত দেখতাম৷ দীর্ঘ ১০,২০ বা ৩০ বছর পরে টিভি অনুষ্ঠানেই প্রিয়জনদের সাথে প্রথমে দেখা হতো টিভি চ্যানেলের উদ্যোগে৷ এত বছর আগে টিভিতে দেখা সেসব মিলনমেলার মুহূর্গুলোর কথা আমার এখনো স্পষ্ট মনে আছে৷