১৮ কেজি ওজনের টিউমার অপসারণ করলেন জার্মান চিকিৎসকরা
২৬ এপ্রিল ২০০৯বার্লিনের সার্জন হাইনৎস জুরব্রুগ বলেন, ঐ সৌদী মহিলা চিকিৎসার জন্য যখন জার্মানিতে আসেন সেপ্টেম্বর মাসে, তখন মাত্র কয়েক সপ্তাহর বেশি বাঁচার সম্ভাবনা ছিল না তাঁর৷ কিন্তু পাঁচ পাঁচটি অপারেশনের পর তাঁর সেই বিশাল বোন টিউমারের কোন চিহ্নই আর নেই, বলেন এই শল্যচিকিৎসক৷ এত বড় টিউমার তাঁরা আর দেখেননি বলেও জানান৷
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ৩ সন্তানের জননী ৩৫ বছর বয়স্কা সেই সৌদি রমণী জানালেন, তিনি এবার তাঁর দেশে ফিরে যাবেন৷ বার্লিনের চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা সভায় বসে এ কথা জানালেন তিনি৷ দেশে গিয়ে সেইসব চিকিৎসকদের সামনে দাঁড়াবেন যারা বলেছিলো যে তাঁর সুস্থ হওয়ার কোনো আশাই নেই৷ ২০০৪ সালে তাঁর হাড়ে কন্ড্রোসারকোমা নামের এক মালিগন্যান্ট টিউমার ধরা পড়ে৷
২০০৮ সালে যখন তিনি জার্মানিতে আসেন তখন তাঁর টিউমারটি অনেক বড় হয়ে বলের আকার নেয়৷ কেমোথেরাপি দিয়ে বার্লিনের ক্যাপিটাল হেলথের চিকিৎসকরা টিউমারটিকে ভেতর থেকেই আগে ভেঙ্গে ফেলেন এবং বাকি অংশ পাঁচবার অপারেশন করে সরিয়ে ফেলেন৷ তৃতীয়বার অপারেশনের পরই রোগী ৬ মাসের মধ্যে প্রথমবার বিছানায় উঠে বসেন৷
সৌদী ঐ মহিলা এখন প্রথাগত আরব পোশাক পরছেন কারণ তাঁর শরীর আগের মাপে ফিরে এসেছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি ভেবেছিলাম আর কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবোনা৷ আমি যখন ঘরে ফিরে যাব প্রথমে আমি আমার সন্তানদের জড়িয়ে ধরব''৷
প্রসঙ্গত, সৌদি এই মহিলার চিকিৎসার পিছনে ১ লক্ষ ইউরো খরচ হয়েছে৷ তাঁর স্বামী যে তেল কোম্পানীতে চাকরি করেন তারাই এর খরচ বহন করেছে বলে প্রকাশ৷
প্রতিবেদক: ফারজানা কবীর খান, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল-ফারুক