২০১১ সালে বিশ্বের জনসংখ্যা পৌঁছাবে ৭ বিলিয়নে
১ জানুয়ারি ২০১১দ্য জার্মান ফাউন্ডেশন ফর ওয়ার্ল্ড পপুলেশন অথবা ডিএসডব্লিউ তাদের ওয়েবসাইটে ‘পপুলেশন মিটার' নামে একটি ক্যালকুলেটার পরিচালনা করেছে৷ যা বার্ষিক বিভিন্ন তথ্যের সূত্র ধরে হিসাব করে বিশ্বের জনসংখ্যা৷ ক্যালকুলেটারটি শুক্রবার রাত অবধি জনসংখ্যার হিসাব দেখাবে ৬, ৯৩৪, ১৯৬, ০০০ জন ৷ একবছর আগের চেয়ে এই সংখ্যা ৮০ মিলিয়ন বেশি৷ পরিসংখ্যানটি এই তথ্যই দিচ্ছে যে বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে ২.৬ জন নতুন মানুষ যোগ হচ্ছে৷ অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে জন্ম নিচ্ছে ২.৬ জন শিশু৷
উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১৯৫০ সালে একেক নারীর ৬টি করে সন্তান জন্ম নিত, যে সংখ্যা এখন নেমে এসেছে ২.৫-এ৷ ব্রাজিল, চিলি, কিউবা, ইরান, থাইল্যান্ড এবং তুরস্কে প্রতি মা দুটি সন্তান জন্ম দিচ্ছেন অথবা তার চেয়েও কম৷ পূর্বাভাস অনুযায়ী শতাব্দীর মধ্যভাগে আফ্রিকায় জনসংখ্যা দ্বিগুন বেড়ে হবে ২.১ বিলিয়ন৷ আর এশিয়ার ১.৩ বিলিয়নও যোগ হচ্ছে এর সঙ্গে৷
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ক্যানাডা এবং নিউজিল্যান্ডে জন্মহার কম কিন্তু অভিবাসনের কারণে জনসংখ্যা বাড়ছে৷ ইউরোপ, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়াতে জন্মহার কমচ্ছে৷
২৭ জাতির ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান শাখা ইউরোস্ট্যাট জানিয়েছে, ইইউভুক্ত দেশের জনসংখ্যা ২০১০ সালে অর্ধ বিলিয়নে দাঁড়ায়৷ ২০০৯ সালের চেয়ে যা ১.৪ মিলিয়ন বেশি৷ এর মধ্যে ৯ লাখ শিশু জন্ম নিয়েছে অভিবাসী পরিবারে৷
মার্কিন পপুলেশন রেফারেন্স ব্যুরোর প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম পি.বুটজ্ বলেছেন, ‘‘উন্নত দেশগুলোতে অত্যন্ত কম জন্মহারের কারণে বয়স্কদের জন্যে স্বাস্থ্য এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তার ওপর এক হুমকি হয়ে দেখা দিতে শুরু করেছে৷ অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রতি বছরে ৮০ মিলিয়নেরও বেশি জনসংখ্যা যোগ হচ্ছে৷ আর দরিদ্রতম দেশগুলোতে কুড়ি মিলিয়ন করে শিশু জন্ম নিচ্ছে প্রতি বছরে৷ এর ফলে দারিদ্র্য বাড়ছে - পরিবেশের জন্যে সৃষ্টি হচ্ছে হুমকি৷''
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক