1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০১৪ সালে মহাকাশ বিজ্ঞান

ডির্ক লরেন্সেন/এআই১ জানুয়ারি ২০১৪

সৌখিন জ্যোতির্বিদ এবং মহাকাশ সম্পর্কে উৎসুকদের জন্য চমৎকার এক বছর হবে ২০১৪৷ ধূমকেতু নিয়ে গবেষণা, বিশেষভাবে মঙ্গলগ্রহ দেখার সুযোগ আর দু-দু’টো চন্দ্রগ্রহণ থাকছে এ বছর৷

DLR Aufnahmen vom Mars
চলতি বছর দুটি মহাকাশযান মঙ্গলে পৌঁছাবেছবি: ESA/DLR/FU Berlin (G. Neukum)

ধূমকেতুর পেছনে ছুটে চলা ইউরোপীয় মহকাশ সংস্থা ইএসএ-র স্যাটেলাইট রোসেটা এ বছর লক্ষ্যে পৌঁছাবে৷ গত তিন বছর ধরে ‘শীতনিদ্রায়' থাকা এই যানটি সক্রিয় হবে আবারো৷

২০০৪ সালে মহাকাশে পাঠানো রোসেটা ইতোমধ্যে পাঁচবার সূর্যকে প্রদক্ষিণ করেছে৷ এটা এখন এত দূরে চলে গেছে যে, সৌরশক্তি থেকে আর শক্তি সংগ্রহ করতে পারছে না৷ ফলে আবারো জেগে ওঠার শক্তি জমিয়ে রাখতে গত তিন বছর ধরে ‘শীতনিদ্রায়' রয়েছে রোসেটা৷ তবে আগামী ২০ জানুয়ারি একটি এলার্ম বাজার পর জেগে উঠবে এই স্যাটেলাইটটি এবং প্রস্তুত হবে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য৷

রোসেটার চূড়ান্ত গন্তব্য হচ্ছে ধূমকেতু ‘৬৭পি/চুরিউমভ-গেরাসিমেঙ্কো’৷ স্যাটেলাইটটি সক্রিয় হওয়ার পর নিজে থেকেই ইউরোপীয় মহকাশ গবেষণা সংস্থা ইএসএ-র সঙ্গে পুনরায় যোগাযোগ স্থাপন করবে৷ আর তখনই জার্মানির ডার্মস্টাড শহর থেকে এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে৷

রোসেটার চূড়ান্ত গন্তব্য হচ্ছে ধূমকেতু ‘৬৭পি/চুরিউমভ-গেরাসিমেঙ্কো’ছবি: ESA/AOES Medialab

আসন্ন গ্রীষ্মের মাঝামাঝির দিকে এই ‘চুরি’ ধূমকেতুর কাছে পৌঁছাবে রোসেটা৷ এরপর প্রায় বছরখানেক খুব কাছে থেকে ধূমকেতুটি পর্যবেক্ষণ করবে স্যাটেলাইট রোসেটা৷ নভেম্বরে একটি বিশেষ ‘ল্যান্ডিং ক্যাপসুল' ধূমকেতুর গুরুত্বপূর্ণ অংশে পাঠানো হবে৷ সেটির কাজ হবে সৌর সিস্টেমের শুরুর দিককার, মানে ৪ দশমিক পাঁচ বিলিয়ন বছর আগের বিভিন্ন বস্তু পরীক্ষা করা৷ আশা করা হচ্ছে, এই গবেষণার ফলে পৃথিবীতে প্রাণের উৎপত্তি সম্পর্কে আরাো স্বচ্ছ একটা ধারণা পাওয়া যাবে৷

পৃথিবী থেকে মঙ্গল

চলতি বছর দুটি মহাকাশযান মঙ্গলে পৌঁছাবে৷ নাসার যান ‘মাভেন' মঙ্গলে পৌঁছাবে সেপ্টেম্বর মাসে৷ এটি মূলত মঙ্গলের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করবে৷ ভারতের মহাকাশ যান ‘মঙ্গোলিয়ান'-ও এ বছরই পৌঁছাবে মঙ্গলে৷ এই যান মূলত মঙ্গলের বিভিন্ন ছবি তুলবে এবং ম্যাপ তৈরি করবে৷

দুটি পূর্ণাঙ্গ চন্দ্রগ্রহণ ও দু'টি আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবেছবি: picture alliance/PIXSELL

আইএসএস-এ জার্মান মহাকাশচারী

জার্মান মহাকাশচারীদের জন্য ২০১৪ এক বিশেষ বছর৷ ছয় বছর পর আবারো একজন জার্মান মহাকাশচারী দীর্ঘ সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন আইএসএস-এ যাচ্ছেন৷ মে মাসে আইএসএস-এর উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন জার্মান মহাকাশচারী আলেক্সান্ডার গ্যার্স্ট৷ সেখানে ছয় মাস অবস্থান করবেন তিনি৷

এর আগে আইএসএস-এ গিয়েছিলেন জার্মান মহাকাশচারী টোমাস রাইটার৷ তিনি এখন ইএসএ-র ‘হিউম্যান স্পেসফ্লাইট' বিভাগের পরিচালক৷

চীনের মহাকাশ অভিযান

ডিসেম্বর মাসে সফলভাবে চাঁদে অবতরণ করেছে চীনের মহাকাশযান৷ চীনের চন্দ্রদেবীর নাম নামকরণ করা ‘চাং'ই ৩' নিজস্ব ছোট টেলিস্কোপ ব্যবহার করে চাঁদ পর্যবেক্ষণ করছে৷

তবে ২০১৪ সালে চীন মহাকাশ গবেষণায় আর কি কি উদ্যোগ নেবে তা জানা যায়নি৷ মূলত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমাগত বাধার কারণে আইএসএস-এর সঙ্গে চীনের দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে৷ ফলে দেশটির নিজেদের মতো করে গবেষণা চালাচ্ছে৷ চলতি বছর নিজেদের ‘তিয়ানগং-১' স্পেস স্টেশনে মহাকাশচারী পাঠাবে সেদেশ৷ এছাড়া চলতি মাসে ওয়াশিংটনে ‘স্পেস ম্যাপিং' সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক বৈঠকেও অংশ নেবে চীন৷

দেখা দেবে প্রতিবেশী শুক্র

পৃথিবী থেকে মহাকাশের দিকে নজর রাখাদের জন্যও চলতি বছর আনন্দের হবে৷ সূর্যের দিকে থাকা আমাদের প্রতিবেশী গ্রহ শুক্র – যে কিনা ভোরের তারা হিসেবে পরিচিত – মার্চের শেষ সপ্তাহে সূর্য থেকে সর্বোচ্চ পশ্চিম কোণে থাকবে৷ ফলে সূর্যদয়ের দু'ঘণ্টা আগে থেকে দেখা যাবে তাকে৷

এছাড়া এপ্রিলের শুরুতে মঙ্গল সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল রূপ ধারণ করবে৷ আর গ্রীষ্মের শেষের দিকে রাতের আকাশের দুই গ্রহ শুক্র এবং বৃহস্পতি এত কাছাকাছি চলে আসবে যে, খালি চোখে দেখলে দু'টোর আলাদা উপস্থিতি বোঝা যাবে না৷

আলো-আঁধারের খেলা

২০১৪ সালে দুটি পূর্ণাঙ্গ চন্দ্রগ্রহণ এবং দু'টি আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে৷ প্রথম চন্দ্রগ্রহণ হবে এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ যা অস্ট্রেলিয়ার পূর্বাঞ্চল এবং প্যাসিফিক, উত্তর এবং দক্ষিণ অ্যামেরিকা থেকে দেখা যাবে৷ অক্টোবরের ৮ তারিখে দ্বিতীয় চন্দ্রগ্রহণ দেখতে পাবেন অস্ট্রেলিয়া, প্যাসিফিক এবং উত্তর অ্যামেরিকার মানুষ৷ এছাড়া, এশিয়ার পূর্বাঞ্চলের মানুষও এটি দেখতে পাবেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ