1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০১৪ সালে ভারতের অর্থনীতি

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি২ জানুয়ারি ২০১৪

ভারতের রিজার্ভ ব্যাংক জানাচ্ছে, নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক সুস্থিতি ২০১৪ সালে দেশের অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনে বড় ভূমিকা নেবে৷ অথচ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এমন এক জোট সরকারের সম্ভাবনা দেখছেন, যেটা স্থিতিশীল নাও হতে পারে৷

ছবি: AFP/Getty Images

ভারতে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার একটি বড় কারণ ২০১৪ সালের আসন্ন সাধারণ নির্বাচন৷ নির্বাচনের পর নতুন স্থিতিশীল সরকার গঠিত হলে, তার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে ভারতীয় অর্থনীতির ওপর৷ সর্বশেষ অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা সংক্রান্ত রিপোর্টে এ কথা বলেন ভারতের রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর রঘুরাম রাজন৷ গোটা ২০১৩ সালে ভারতের অর্থনীতি নিম্নমুখী হয়েছে ধারাবাহিকভাবে৷ এ বছরের সাধারণ নির্বাচনের পর, নতুন সরকার আর্থিক ও বিনিয়োগ নীতি রূপায়ণের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারবে এবং সেইমতো দ্রুত পদক্ষেপ নেবে – এমনটাই বিশ্বাস তাঁর৷ এছাড়া, দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা এখনো ভঙ্গুর এবং চলতি পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীরা নীতি রূপায়ণের জন্য অপেক্ষা করে আছেন, এমনটাই মনে করছেন আরবিআই গভর্নর রাজন৷

কর্পোরেট বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ২০১৪ সালে সাড়ে আট লাখের মতো নতুন চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে ভারতে৷ দেশি ও বিদেশের বহু-জাতিক কোম্পানিগুলি সেইভাবেই তৈরি হচ্ছে৷ ভালো কাজের জন্য বেতন বাড়তে পারে অন্তত ২০ শতাংশের মতো৷ একই আশা দেখাচ্ছে বিভিন্ন মানব সম্পদ সংস্থাগুলি৷ তারা মনে করছে, কোম্পানিগুলি তাদের ব্যবসা বাড়াতে বিনিয়োগ বাড়াবে৷ কারণ সরকার নতুন ব্যাংকের জন্য লাইসেন্স দেবে, যেটা হবে কর্মসংস্থানের এক বড় জায়গা৷ তারপর আছে তথ্য-প্রযুক্তি, ওষুধ শিল্প, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি, পরিকাঠামো, বিমা ও শিক্ষাক্ষেত্র৷ অনুরূপ মনোভাব ব্যক্ত করেছেন ভারতীয় শিল্প মহাসঙ্ঘের সভাপতি৷ ভোটের পর তিনি উচ্চ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন৷ তাঁর মতে, বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগের ঊর্ধসীমা বাড়ানো হতে পারে৷ নতুন প্রকল্পকে দেয়া হবে দ্রুত ছাড়পত্র, রাজস্ব ও কারেন্ট অ্যাকাউন্টের ঘাটতি থাকবে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এবং ডিজেলের দাম বাড়িয়ে সরকার ভরতুকির পরিমাণে রাশ টানবে৷

ভারতে এ বছর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবেছবি: DW/A. Chatterjee

রাজন আশাবাদী হলেও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এবং মিডিয়া বিশেষজ্ঞরা কিন্তু পোষণ করে ভিন্নমত৷ তাঁদের মতে, আগামী সংসদীয় নির্বাচনে স্থিতিশীল সরকার গঠনের মতো কোনো দল একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে কিনা – সে বিষয়ে যথেষ্ট সংশয় আছে৷ ১৯৮৯ সাল থেকে এটাই হয়ে আসছে৷ হালের দিল্লি বিধানসভা ভোটে আম আদমি পার্টির মতো এক অজানা নতুন পার্টি যেভাবে ক্ষমতায় এলো, সেটা সকলের হিসেবের বাইরে ছিল৷ মোটকথা, জোড়াতাপ্পি দেয়া সরকারের পক্ষে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলায় সুনির্দিষ্ট আর্থিক নীতি বলবৎ করা সম্ভব হবে কিনা, তা বলা শক্ত৷ কোয়ালিশন বা জোট সরকারে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা হবে ডুমুরের ফুল৷ পরিণামে মার খাবে বিনিয়োগ তথা উন্নয়ন, এমনই মত পোষণ করেন এঁরা৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ