1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মোট ১১০ জন সাংবাদিক নিহত

২ জানুয়ারি ২০১৬

চলতি বছরে সারা বিশ্বে মোট ১১০ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, বলে জানিয়েছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স বা আরএসএফ৷ তাদের মধ্যে অনেকে যুদ্ধপীড়িত এলাকায় মারা গেলেও, অধিকাংশ প্রাণ হারিয়েছেন তথাকথিত ‘শান্তির' এলাকায়৷

Beerdigung von Bernard Verlhac
ছবি: Reuters/Wojazer

গত বছর ৬৭ জন সাংবাদিক কর্মরত অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন৷ এক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপজ্জনক দেশ ছিল ইরাক ও সিরিয়া, যেখানে যথাক্রমে ১১ জন ও ১০ জন সাংবাদিক মারা গেছেন৷ তার পরেই আসছে ফ্রান্স, প্যারিসের শার্লি এব্দো হত্যাকাণ্ডের কারণে৷

সারা বিশ্বে আরো ৪৩ জন সাংবাদিক মারা যান এমন পরিস্থিতিতে, যা সবসময় খুব স্পষ্ট নয়৷ এছাড়া ২৭ জন অপেশাজীবী ‘‘নাগরিক সাংবাদিক'' আর সাতজন অন্যান্য মিডিয়া কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন, বলে আরএসএফ তাদের বাৎসরিক রিপোর্টে জানিয়েছে৷

রিপোর্টার উইদাউট বর্ডার্স সাংবাদিক হত্যা ও নিপীড়নের ক্ষেত্রে বিশেষ করে ‘‘অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীগুলির'' ক্রমবর্ধমান ভূমিকার কথা উল্লেখ করেছে, যাদের মধ্যে তথাকথিত ইসলামিক স্টেট বা আইএস-ও আছে৷ আরএসএফ বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে যে, ২০১৪ সালে যে সব সাংবাদিক নিহত হয়েছিলেন, তাঁদের দুই-তৃতীয়াংশ প্রাণ হারিয়েছিলেন যুদ্ধপীড়িত এলাকায়৷ ২০১৫ সালে সেই পরিসংখ্যান উলটে দাঁড়িয়েছে: সাংবাদিকদের দুই-তৃতীয়াংশ নিহত হয়েছেন এমন সব দেশে, যেখানে বাহ্যত শান্তি বিরাজ করছে৷

উত্তর সিরিয়ার আলেপ্পোর মতো শহর সাংবাদিকদের পক্ষে বিশেষভাবে বিপজ্জনক৷ এখানে সাংবাদিকরা বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে সংঘাতের বেড়াজালে আটকে পড়ে ‘‘কোল্যাটারাল ড্যামেজ'', অর্থাৎ পারিপার্শ্বিকের শিকার হচ্ছেন৷ ইসলামিক স্টেট, আল-নুসরা ফ্রন্ট বা ফ্রি সিরিয়ান আর্মির মতো ‘‘অ-রাষ্ট্রীয় গোষ্ঠীরা'' সাংবাদিকদের পণবন্দি করছে এবং ক্ষেত্রবিশেষে হত্যা করছে – আইএস যেভাবে জাপানি ফ্রিল্যান্স রিপোর্টার কেনজি গোতোর শিরশ্ছেদ করে৷

আরএসএফ-এর রিপোর্টে ভারতের কথা বলা হয়েছে, যেখানে ২০১৫ সালের সূচনা যাবৎ ন'জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই সংগঠিত অপরাধবৃত্তির সঙ্গে রাজনীতিকদের যোগাযোগ, অথবা বেআইনি খনি চালানো সম্পর্কে রিপোর্ট দেওয়ার কারণে৷ এই হিসেবে ভারত মিডিয়া কর্মীদের জন্য পাকিস্তান কিংবা আফগানিস্তানের চেয়েও মারাত্মক, বলছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স৷

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ব্লগার হত্যার বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে সকলেই চিন্তিত৷ এক্ষেত্রে আরএসএফ-এর অভিমত: ‘‘এই রক্তপাতের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা এমন একটি দণ্ড থেকে রেহাইয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে, যা নাগরিক সাংবাদিকদের পক্ষে খুবই বিপজ্জনক৷''

এসি/ডিজি (এএফপি, রয়টার্স)

বাংলাদেশে সাংবাদিকদের অবস্থা আদতে কেমন? আপনার জানা ঘটনা আমাদের জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ