1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র

১ এপ্রিল ২০১২

আগামী ২০১৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যাবে, বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেজ ওসমান৷ এ’সংক্রান্ত একটি আইন সংসদের আগামী অধিবেশনেই পাশ হবে৷

Demonstrators take part in an anti nuclear protest in Sofia, Saturday, March 19, 2011. The protesters gathered to demand the shutdown of Bulgarian nuclear power station and suspension of the plans for construction of a new power plant in Belene, Bulgaria. The poster reads BeleNE (No to Belene nuclear power plant). (ddp images/AP Photo/Valentina Petrova)
ছবি: AP

রূপপুরের ২টি কেন্দ্র থেকে মোট ২,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে৷ মন্ত্রী জানান এই কেন্দ্র নির্মাণে নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে৷ ২০২১ সাল নাগাদ ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ৷ সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্থাপন করা হচ্ছে পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র৷ এই কেন্দ্র নির্মাণে কারিগরি এবং আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে রাশিয়া৷ রূপপুরে মোট ২টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে৷ প্রতিটি কেন্দ্র থেকে ১,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে৷ কেন্দ্র ২টি নির্মাণে ৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ রাশিয়ার সঙ্গে ইতিমধ্যেই কারিগরি সহায়তা চুক্তি সই হয়েছে৷ আর্থিক চুক্তিও সই হবে শিগগিরই ৷ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেজ ওসমান ডয়চে ভেলেকে জানান রাশিয়া খরচের ৮০ ভাগ বহন করতে সম্মত হয়েছে৷

ইন্টারন্যাশনাল এটমিক এনার্জি এজেন্সি বাংলাদেশকে ইতিমধ্যেই এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দিয়েছে৷আর তাদের চাহিদা অনুযায়ি সংসদের আগামী বাজেট অধিবেশনে এটমিক এনার্জি রেগুলেটরী আইন পাশ হবে৷ এই আইনের আওতায় ক্ষতিপূরণ, রেগুলেটরি অথরিটি গঠন সব কিছু করা হবে৷

মন্ত্রী জানান, এই পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণে বাংলাদেশ নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে৷ এ'কারণে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত পারমাণবিক জ্বালানির বর্জ্য সরাসরি রাশিয়ায় নিয়ে যাওয়ার চুক্তি হয়েছে৷

বাংলাদেশে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয় ১৯৬২ সালে৷ ১৯৬৪ সাল থেকে নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি৷ এর পর বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সরকার একবার উদ্যোগ নিয়েছিল৷ সর্বশেষ শেখ হাসিনার সরকার আবার উদ্যোগ নিল৷ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ইয়াফেজ ওসমান জানান, ইতিমধ্যেই প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে৷ শিগগিরই মূল কাজ শুরু হবে৷ তাদের আশা ২০১৭ সালে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র উৎপাদনে যেতে পারবে৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ