গতবছর সারা বিশ্বে সামরিক খাতে ব্যয় বেড়ে ১.৭৩ ট্রিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, বলে জানিয়েছে স্টকহোমের আন্তর্জাতিক শান্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপ্রি৷ ফলে শীতল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর গতবছরই সামরিক খাতে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করে দেশগুলো৷
বিজ্ঞাপন
সিপ্রির নতুন এই প্রতিবেদন সম্পর্কে সংস্থাটির গবেষক পিয়েটার ভেজেমানের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ডিডাব্লিউর ক্যার্স্টেন ক্নিপ৷
ডয়চে ভেলে: ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী সামরিক খাতে ব্যয় কিছুটা বেড়েছে, বলে সিপ্রির রিপোর্ট থেকে জানা গেছে – পরিমাণ ছিল ১ দশমিক ৭৩ ট্রিলিয়ন ডলার, যা কিনা ২০১৬ সালের তুলনায় ১.১ শতাংশ বেশি৷ সেটা কি খুব বেশি না কম?
পিয়েটার ভেজেমান: পরিসংখ্যানের ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং পরিসংখ্যান যে কখনোই পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য নয়, সে কথা ভাবলে আমরা বলতে পারি যে, এই বাড়াটা খুব বেশি নয়৷ অপরদিকে এও স্পষ্ট যে, বিশ্বব্যাপী সামরিক ব্যয় খুব উচ্চ হলেও, মোটামুটি একই পর্যায়ে রয়েছে৷ কিন্তু আঞ্চলিক পর্যায়ে আমরা বেশ কিছু লক্ষণীয় ফারাক দেখি৷
চীনে যেমন সামরিক ব্যয় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে মোট ২২ হাজার ৮০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে৷
হ্যাঁ – কিন্তু তা গত ২০ বছর ধরে দেশটির সামরিক খাতে ব্যয়বৃদ্ধির অনুরূপ৷ চীনে সামরিক ব্যয় প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল রেখে চলে – কাজেই ব্যাপারটা খুব নাটকীয় নয়৷ তবুও চীন সামরিক ব্যয়ের বিচারে বিশ্বে দ্বিতীয়, যদিও প্রথম স্থানাধিকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেক পিছিয়ে৷ অপরদিকে তালিকায় তার পরের দেশগুলির চেয়ে চীন সামরিক খাতে অনেক বেশি ব্যয় করে থাকে৷
এ থেকে আমরা দেশটির রাজনৈতিক উচ্চাশা সম্পর্কে কি ধারণা করতে পারি?
চীন একটি বিশাল দেশ, তার অর্থনীতিও অনেক বড়৷ চীন শুধু আঞ্চলিক শক্তি না হয়ে, বিশ্বশক্তি হতে চায়৷ চীনের অনেক উচ্চ পরিকল্পনা আছে, তার সামরিক ব্যয়ে যার প্রতিফলন ঘটেছে৷
জার্মানির ন্যাটো মিশন
ন্যাটোতে পশ্চিম জার্মানির অন্তর্ভূক্তির পর থেকে ট্রান্স-আটলান্টিক জোটের বিভিন্ন অভিযানে অংশ নিয়েছে বার্লিন৷ আর ১৯৯০ সাল থেকে জার্মানির সেনাবাহিনী বুন্ডেসভেয়ার নিজেদের ‘আওতাভুক্ত নয়’, এমন জায়গায়ও কাজ করেছে৷
ছবি: S. Gallup/Getty Images
ন্যাটোতে জার্মানির ভূমিকা
তৎকালীন পশ্চিম জার্মানি ১৯৫৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটোতে যোগ দেয়৷ তবে, দুই জার্মানির পুর্নমিলনের আগ অবধি নিজেদের ‘আওতাভুক্ত নয়’ এমন এলাকাতে ন্যাটোর নেতৃত্বে মিশনে যায়নি জার্মানি৷ ১৯৯০ সালের পর থেকে বিশ্বের নানাপ্রান্তে শান্তিরক্ষা থেকে প্রতিরক্ষা অবধি নানা পর্যায়ে ন্যাটোর মিশনে অংশ নিয়েছে দেশটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/M. Hanschke
বসনিয়া: জার্মানির প্রথম ন্যাটো মিশন
জার্মানি ১৯৯৫ সালে প্রথম ‘নিজেদের আওতাভুক্ত নয়’ এমন এলাকায় ন্যাটোর নেতৃত্বে শান্তি রক্ষায় সেনা মোতায়েন করে৷ দেশটির নাম বসনিয়া হ্যারৎসেগোভিনা৷ বসনিয়া যুদ্ধের সময় সেখানে নিরাপত্তা প্রদানে ভূমিকা পালন করে জার্মান সেনারা৷ ন্যাটোর সদস্য দেশগুলোর ষাট হাজারের বেশি সেনা সেসময় বসনিয়ায় মোতায়েন করা হয়েছিল৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/H. Delic
কসভোয় শান্তি রক্ষা
কসভোতে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন শান্তিরক্ষা মিশনের শুরু থেকে সাড়ে আট হাজারের মতো জার্মান সেনা সেখানে মোতায়েন করা হয়৷ ১৯৯৯ সালে ন্যাটো সার্বিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর উপর বিমান হামলাও চালিয়েছিল, কেননা, সেই সময় তারা সংখ্যালঘু আলবেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং তাদের বেসামরিক সমর্থকদের উপর দমনপীড়ন চালাচ্ছিল৷ এখনও সাড়ে পাঁচশ’র মতো বুন্ডেসভেয়ারের সেনা দেশটিতে মোতায়েন রয়েছে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/V.Xhemaj
এজিয়ান সি-তে টহল
জার্মানি ২০১৬ সালে কমব্যাট সাপোর্ট শিপ ‘বন’-কে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সমর্থিত ন্যাটো মিশনের আওয়তায় এজিয়ান সি-তে মোতায়েন করে৷ অভিবাসী সংকটের সময় গ্রিক এবং তুর্কি সমুদ্রসীমায় অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়টি পর্যবেক্ষণ ছিল এই মিশনের অংশ৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/M.Schreiber
এক দশকের বেশি সময় ধরে আফগানিস্তানে
জার্মান সংসদ ২০০৩ সালে আফগানিস্তানে মোতায়েন ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বাহিনীতে সেনা পাঠানোর পক্ষে মত দেয়৷ ফলে জার্মানি ন্যাটো বাহিনীতে তৃতীয় বৃহত্তম সেনা পাঠানো দেশে পরিনত হয়৷ এই মিশনে পঞ্চাশ জনের বেশি জার্মান নিহত হয়েছে৷ এখনো প্রায় হাজারখানেকের মতো সেনা সেদেশে মোতায়েন রয়েছে৷
ছবি: picture alliance/AP Photo/A.Niedringhaus
লিথুয়ানিয়ায় জার্মান ট্যাংক
বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোতে ন্যাটোর উপস্থিতি বাড়ানোর অংশ হিসেবে বুন্ডেসভেয়ারের সাড়ে চারশ’ সেনা ২০১৭ সালে লিথুয়ানিয়ায় মোতায়েন করা হয়েছে৷ ন্যাটোর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই উপস্থিতিকে শক্তিশালী করছে জার্মানির সর্বাধুনিক ট্যাংক৷ তাছাড়া যুদ্ধের জন্য প্রস্তত বাহিনীর নেতৃত্বেও রয়েছে জার্মানি, ক্যানাডা, যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্র৷
ছবি: picture alliance/dpa/M. Kul
নেতৃত্ব গ্রহণ
২০১৯ সালে ন্যাটোর বহুজাতিক ‘ভেরি হাই রেডিনেস জয়েন্ট টাস্ক ফোর্স (ভিজেটিএফ)’-এর নেতৃত্ব দেবে জার্মানি৷ জোটটির পূর্বাংশে রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসনের জবাব দিতে এই ব়্যাপিড রিঅ্যাকশন ফোর্স তৈরি করা হয়েছে৷
ছবি: S. Gallup/Getty Images
7 ছবি1 | 7
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সামরিক ব্যয় বাড়িয়েছে৷ একা অ্যামেরিকা সামরিক খাতে যা বিনিয়োগ করতে চলেছে, তালিকায় তার পরবর্তী সাতটি দেশের সামগ্রিক সামরিক ব্যয়ের চেয়ে, তা বেশি৷ এর তাৎপর্য কি?
মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক খাতে ব্যয় লক্ষণীয়ভাবে বেশি৷ জিডিপির তুলনায় সামরিক ব্যয়ের অনুপাতে বিশ্বের প্রথম ১০টি দেশের মধ্যে সাতটিই এই অঞ্চল থেকে, যার মধ্যে ওমান, সৌদি আরব, কুয়েত, জর্ডান, ইসরায়েল ও লেবানন পড়ে৷ এই অঞ্চলের সামরিক বিকাশ সম্পর্কে আপনার কী ধারণা?
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার তাদের জিডিপির একটা বড় অংশ সামরিক খাতে ব্যয় করতে প্রস্তুত – সৌদি আরবের ক্ষেত্রে যেমন তা জিডিপির ১০ শতাংশ৷ এই দেশগুলি সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে তাদের নিজেদের ভূমিকা কীভাবে দেখে, তারই প্রতিফলন ঘটেছে তাদের সামরিক ব্যয়ে৷
সৌদি আরবের ক্ষেত্রে দেশটি যে তাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের উপরেও নজর রাখছে, (সৌদি সামরিক ব্যয় থেকে) তা স্পষ্ট বোঝা যায়৷ সিরিয়া আর ইয়েমেনের যুদ্ধ থেকে প্রমাণ হয় যে, এই সব দেশ শুধু সামরিক খাতে ব্যয় করতেই নয়, নিজেদের লক্ষ্য হাসিল করার জন্য সেই অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করতেও রাজি৷
অপরদিকে ইরান সামরিক খাতে খুব বেশি বিনিয়োগ করে না – যদিও তা বদলাতে পারে, কেননা ইরান তার সামরিক ব্যয় বাড়াতে পুরোমাত্রায় প্রস্তুত; শুধু তার অর্থনৈতিক পরিস্থিতির দরুণ এই মুহূর্তে তা করা সম্ভব নয়৷
আফ্রিকা মহাদেশে সামরিক ব্যয় কমেছে আধ শতাংশ৷ এর অর্থ কি?
এর নানা কারণ আছে৷ অ্যাঙ্গোলা তার সামরিক ব্যয় কমিয়েছে, কেননা অ্যাঙ্গোলা তেল উৎপাদন করে এবং তেলের দাম পড়ে গেছে৷ তেল বিক্রির আয়ের উপর নির্ভরশীল একাধিক আফ্রিকান দেশের ক্ষেত্রে সে কথা প্রযোজ্য৷ তবে কিছু কিছু দেশে সামরিক খাতে ব্যয় বেড়েছে – যেমন সুদানে, কেননা সেখানে সরকারি সৈন্য আর বিদ্রোহীদের মধ্যে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে৷ এ ধরণের সংঘাত অ্যাঙ্গোলা ও অপরাপর দেশের সামরিক ব্যয়ের উপরেও লক্ষণীয় ছাপ ফেলে থাকে৷ সব মিলিয়ে, বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতির মধ্যে ব্যাপক ফারাক রয়েছে৷
মধ্য ইউরোপে সামরিক ব্যয়বেড়েছে ১২ শতাংশ, অপরদিকে পশ্চিম ইউরোপে মাত্র ১ দশমিক ৭ শতাংশ৷ এর কারণ কি এই যে, মধ্য ইউরোপের দেশগুলি রাশিয়ার তরফ থেকে ঝুঁকির আশঙ্কা করে?
সামরিক শিক্ষায় ঝুঁকছে রুশ কিশোর-কিশোরীরা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ক্রাইমিয়া দখলের পর পশ্চিমা বিশ্ব তাঁর সমালোচনা করলেও দেশে তাঁর জনপ্রিয়তা বেড়েছে৷ ফলে সামরিক শিক্ষায় আগ্রহী হচ্ছে কিশোর-কিশোরীরা৷
ছবি: Reuters/E. Korniyenko
ক্রাইমিয়া দখল
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রাইমিয়ার দখল নিয়েছিলেন৷ ছবিতে তাঁকে স্বাক্ষরের মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে দেখা যাচ্ছে৷ পশ্চিমা বিশ্ব এর কড়া সমালোচনা করলেও নিজ দেশে পুটিনের জনপ্রিয়তা বেড়েছে৷ রুশ জাতীয়তাবাদীরা এই ঘটনাকে ‘ক্রাইমিয়ার বসন্ত’ বলে থাকে৷
ছবি: Reuters
দেশপ্রেম শিক্ষা
ক্রাইমিয়া দখলের ঘটনায় শুধু পুটিনই প্রশংসিত হননি, ঘটনাটি রুশ তরুণ-তরুণীদের ‘সামরিক ও দেশপ্রেম শিক্ষা’-য় আগ্রহী করে তুলেছে৷ বিশেষ করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে৷
ছবি: Reuters/E. Korniyenko
ক্যাডেট স্কুল
ছবিতে দক্ষিণের স্টাভরোপোল অঞ্চলের এক ক্যাডেট স্কুলের শিক্ষার্থীদের দেখা যাচ্ছে৷ তাদের শারীরিক শিক্ষার পাশাপাশি অস্ত্র চালানো, গাড়ি চালানো, এমনকি প্যারাসুটিং-এর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়৷
ছবি: Reuters/E. Korniyenko
জেনারেলের নামে নামকরণ
স্কুলটির নাম আলেক্সেই ইয়ারমোলোভ ক্যাডেট স্কুল৷ উনিশ শতকে রাশিয়ার নামকরা জেনারেল ছিলেন ইয়ারমোলোভ (পোর্ট্রেট ছবি)৷ তাঁর নেতৃত্বে ককেশাস রুশ সাম্রাজ্যের অধীনে এসেছিল৷
ছবি: Reuters/E. Korniyenko
জার আমলের শিক্ষা
সেই সময় ‘কসাক্স’ নামে যুদ্ধ প্রশিক্ষণের এক শিক্ষা কর্মসূচি চালু ছিল৷ স্টাভরোপোলের অনেক কিশোর-কিশোরী এখন সেই শিক্ষা নিচ্ছে৷ সঙ্গে জার আমল ও আধুনিক যুগের যু্দ্ধ সম্পর্কে জানছে তারা৷
ছবি: Reuters/E. Korniyenko
নিরীহ চাষী!
যখন শান্তি বিরাজ করত তখন কসাক্সদের নিরীহ চাষী মনে হত৷ কিন্তু কেউ তাঁদের সঙ্গে লড়তে আসলে তাঁদের প্রতিহত করার মতো সামর্থ্য ছিল কসাক্সদের৷ সেজন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ছিল তাঁদের৷ দরকার হলে রাশিয়ার সামরিক অভিযানেও অংশ নিত তাঁরা৷ ছবিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া কসাক্সদের দেখা যাচ্ছে৷
ছবি: picture-alliance/akg-images/RIA Nowosti
নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সন্তান
ক্যাডেট স্কুলের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই রুশ সেনাবাহিনী কিংবা অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর বর্তমান সদস্যদের সন্তান৷ প্রায় ৪০ শতাংশ প্রশিক্ষণার্থী পরবর্তী সময়ে সামরিক বাহিনী কিংবা নিরাপত্তা বাহিনীতে যোগ দিচ্ছে৷
ছবি: Reuters/E. Korniyenko
প্রশিক্ষক
যাঁরা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন তাঁদের বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতপূর্ণ স্থানে কয়েক বছর কাজের অভিজ্ঞতা আছে৷
ছবি: Reuters/E. Korniyenko
8 ছবি1 | 8
ইউরোপের দেশগুলি বিভিন্ন পরিস্থিতির প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করছে, যেগুলিকে তারা ঝুঁকি বলে মনে করে – বিশেষ করে ইউক্রেনের পরিস্থিতি৷ বস্তুত রাশিয়া গত ১০ বছর ধরে তার সামরিক ব্যয় লক্ষণীয়ভাবে বাড়িয়ে এসেছে, যার ফলে ইউরোপীয় দেশগুলি নিজেদের সামরিক খাতে আরো বেশি ব্যয় করতে বাধ্য বলে মনে করেছে – যেমন পোল্যান্ড৷ ন্যাটোও ঐ অঞ্চলে তার সৈন্যসংখ্যা বাড়িয়েছে৷
অপরদিকে এটা খেয়াল করা দরকার যে, রাশিয়া এবার তার সামরিক খাতে ব্যয় না বাড়িয়ে, বরং ২০১৬/১৭ সালের তুলনায় তা বেশ কিছুটা কমিয়েছে৷ ইউরোপে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানো নিয়ে যখন কথা হয়, তখন সেটা মনে রাখা প্রয়োজন৷ এমনকি আমাদের নিজেদের সামরিক খাতে ব্যয় সীমিত করার সময় এসেছে কিনা, আমরা সে প্রশ্নও তুলতে পারি – যার আরেক অর্থ হবে, আমরা অন্য পন্থায় বিরোধের সমাধান ঘটাতে প্রস্তুত৷
পিয়েটার ভেজেমান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট সিপ্রির অস্ত্র সরবরাহ ও সামরিক ব্যয় কর্মসূচির সিনিয়র রিসার্চার৷ তাঁর সাক্ষাৎকার নেন ক্যার্স্টেন ক্নিপ৷