1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বকাপ ছাড়ার প্রশ্নই নেই!

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪

ফিফার কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য টেও সোয়ানৎসিগার জার্মানির ‘স্পোর্ট বিল্ড’ পত্রিকাকে বলে বসেছেন: ২০২২-এর বিশ্বকাপ কাতারে হবে না, এমনটাই তাঁর বিশ্বাস৷ কাতার কিন্তু বলছে: গরমে বা শীতে, বিশ্বকাপ কাতারে হবেই৷

Symbolbild WM Katar 2022
ছবি: Getty Images

জার্মান ফুটবল সমিতির সাবেক প্রধান সোয়ানৎসিগার গত সোমবার যে মন্তব্য করেন, তার পিছনে তাঁর যুক্তি ছিল: চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন যে, কাতারের ঐ গরমে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠানের দায়িত্ব তারা নিতে পারবেন না৷ ২০১০ সালে যখন কাতারকে বিশ্বকাপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখনই তা নিয়ে বিতর্ক ছিল৷ কিন্তু সব সত্ত্বেও ধরে নেওয়া হয়েছিল যে, বিশ্বকাপ যথারীতি গ্রীষ্মেই অনুষ্ঠিত হবে৷

সেই পুরনো বিতর্ক থামেনি, বরং বেড়েই চলেছে৷ তেল ও গ্যাস সমৃদ্ধ কাতার তার জবাব দেবার চেষ্টা করেছে শীততাপ নিয়ন্ত্রণের সর্বাধুনিক, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তি দেখিয়ে৷ সে এমন ‘কুলিং টেকনোলজি', যা দিয়ে স্টেডিয়াম, ট্রেনিং-এর এলাকা, ‘ফ্যান জোন', সব কিছুই ঠান্ডা রাখা যায়৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও প্লেয়ার এবং বিদেশ-থেকে-আসা ফ্যানরা কাতারের গরম সামলাতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যায়৷

২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক হিসেবে কাতারের নাম ঘোষণা করছেন ফিফা প্রেসিডেন্ট সেপ ব্লাটার (ফাইল ফটো)ছবি: picture alliance/dpa

‘‘ওরা স্টেডিয়াম ঠান্ডা করতে পারে, কিন্তু বিশ্বকাপ তো আর শুধু স্টেডিয়ামে হয় না,'' বলেছেন সোয়ানৎসিগার৷ ‘‘সারা পৃথিবী থেকে ফ্যানরা আসবেন এবং এই গরমে ঘুরে বেড়াবেন৷ প্রথম কারুর জীবনাশঙ্কা দেখা দিলেই পুলিশ থেকে শুরু করে সরকারি কৌঁসুলির তদন্ত অবধি মামলা গড়াবে৷ ফিফার এক্সিকিউটিভ কমিটির মেম্বাররা তার জবাবদিহি করতে চান না'' – সোয়ানৎসিগারের স্পষ্ট বক্তব্য৷ ফিফার তরফ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে যে, সোয়ানৎসিগারের মত তাঁর নিজের, কার্যনির্বাহী পরিষদের নয়৷ এমনকি ফিফা সোয়ানৎসিগার-এর ‘‘ব্যক্তিগত মতামত'' সম্পর্কে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে৷

২০২২ বিশ্বকাপের কাতারি উদ্যোক্তারা বলছেন, তারা ইতিমধ্যেই প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, ঠান্ডা রাখার প্রযুক্তিগুলি বাস্তবিক কার্যকরি৷ কাতার ২০২২ কমিউনিকেশনস ডাইরেক্টর নাসের আল-খাতের বলেছেন, ‘‘আমরা হাতে-নাতে দেখিয়েছি যে, ঠান্ডা করার পদ্ধতি স্টেডিয়ামের বাইরে খোলা জায়গাতেও কাজ করে৷ এই গ্রীষ্মেই আমরা একটি ওপেন-এয়ার ব্রাজিল ২০১৪ ফ্যান জোনে সেই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাপমাত্রাকে নামিয়ে এনেছি ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে৷''

আল খাতের-এর মতে: ‘‘পরিবেশ বান্ধব শীততাপ নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তির বিকাশ আমাদের দেশ, অঞ্চল এবং অনুরূপ আবহাওয়ার দেশগুলির পক্ষে একটি গুরুত্বপূর্ণ উত্তরাধিকার৷ এর ফলে এমন সব দেশ খেলাধুলার বড় বড় অনুষ্ঠানগুলির আমন্ত্রণকর্তা হবার সুযোগ পাবে, যাদের কথা আগে ভাবাও যেত না৷'' কিন্তু যে দেশে গ্রীষ্মে তাপমাত্রা ৪০ পার হয়ে ৪৫ ডিগ্রিতে পৌঁছাতে পারে, যেমন কাতার? কাজেই গরমের বদলে টুর্নামেন্টটিকে শীতে, অর্থাৎ ২০২২ সালের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি কিংবা নভেম্বর-ডিসেম্বরে করার কথা ভাবতে হচ্ছে ফিফাকে – তা-তে ইউরোপ তথা বিশ্বের ফুটবল ক্লাবগুলোর যতই গোঁসা হোক না কেন৷

এসি/ডিজি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ