1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২০২২ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে ভারত?

১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২

এ’স্বপ্ন দেখার যৌক্তিকতা কতোটা, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকরা৷ এই সদ্য ভারত ফিফা ব়্যাংকিং’এ ১৬৯তম স্থানে নেমে গেছে৷ তবুও ফিফা উৎসাহ দিচ্ছে ১২০কোটি মানুষের ক্রিকেট পাগল দেশটিকে৷

Youths play soccer early in the morning near the India Gate in New Delhi, India, Friday, Oct. 1, 2010. New Delhi will host the Commonwealth Games, which are scheduled to begin on Sunday. (AP Photo/Eranga Jayawardena)
ছবি: AP

২০২২ সালের বিশ্বকাপ হবে কাতারে৷ গত সপ্তাহে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি প্রফুল প্যাটেল বলে বসেছেন, ভারত সেই বিশ্বকাপের জন্য কোয়ালিফাই করবে৷ তখন আবার ফিফার সাধারণ সম্পাদক জেরোম ভাল্কে প্যাটেলের পাশে বসে৷ এর কয়েক মিনিট পরেই এআইএফএফ এবং ফিফার মধ্যে একটি দশ বছর মেয়াদের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়৷ উদ্দেশ্য: ভারতে ফুটবলের বিকাশ ঘটানো৷

ভারতের ভারীশিল্প মন্ত্রী প্যাটেল আশাবাদী৷ তাঁর মতে ভারতীয় ফুটবল বহুদিন জড়ভরত হয়ে পড়ে থাকার পর এবার একটি লম্ফ দিতে চলেছে৷ কিন্তু বাস্তব অন্য৷ ভারতের কিছু কিছু রাজ্যে ফুটবল খেলা হয় ঠিকই, যেমন টেলিভিশনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কিংবা স্প্যানিশ লা লিগা দেখানো হয়৷ নয়তো দেশজুড়ে ফুটবলের অবকাঠামো, টেলিভিশন দর্শক কিংবা স্পন্সর, কোনোটাই নেই৷ জাতীয় লিগ ফুটবল কোনোমতে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলেছে৷

ভারতে ফুটবল খেলার চল অনেক আগে থেকেই ছিলছবি: DW/Mukherjee

ফুটবল সংক্রান্ত লেখক জয়দীপ বসু রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেছেন, ভারতের জাতীয় দল বাছতে গেলে বড় জোর ৯০ জন খেলোয়াড় থেকে বাছতে হবে৷ এতো বড় দেশে যেখানে হাজার পঞ্চাশেক ‘সি' লাইসেন্স প্রাপ্ত কোচের প্রয়োজন, সেখানে আছে মাত্র আড়াই হাজার৷ ৩২ রাজ্যের মধ্যে মাত্র ১২টি রাজ্যে একটি প্রাদেশিক লিগ আছে৷

অথচ ভারতে যে ফুটবল জনপ্রিয় নয়, এ'কথা ভাবলে ভুল হবে, বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে মতো রাজ্যে, যেখানে স্বাধীনতা আন্দোলনের যুগ থেকে ফুটবলের সঙ্গে একটি আবেগপূর্ণ আত্মিক সংযোগ আছে: যেখানে মোহনবাগান বনাম ইস্ট বেঙ্গল ডার্বিতে আজও লক্ষ দর্শকের ভিড় হয়৷ বায়ার্ন মিউনিখের অলিভার কান, মারাদোনা কিংবা লিওনেল মেসি, অতীত কি বর্তমানের যে কোনো নাম-করা প্লেয়ার কলকাতায় পা দিয়েই বুঝতে পারেন, এ'শহর আজও ফুটবলকে ভোলেনি, ফুটবলকে ভালোবাসে৷

কিন্তু আপাতত কী করা যায়? জয়দীপ বসু বলছেন, প্রথমে এশিয়ার প্রথম দশটি দলের মধ্যে একটি হবার চেষ্টা করতে হবে৷ অপরদিকে ফিফার জেরোম ভাল্কে বলেছেন, শ্রেষ্ঠ পন্থা হবে, ভারত যদি সত্যিই ২০১৭ সালের আন্ডার-সেভেন্টিন বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ পায়৷ তবে দশ বছরের মধ্যেই যে ফিফা ভারত থেকে অর্থাগম আশা করছে, এমন নয়, বলেন ভাল্কে৷ আর ২০২২ সালের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ? এআইআইএফ'এর দিবাস্বপ্ন ছাড়া আর কিছু নয়, বলেছেন বসু৷

এসি / এসবি (রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ