আর মাত্র এক বছরের মধ্যেই চীনকে টপকে যাবে ভারত। জনসংখ্যায়। বলছে, জাতিসংঘের রিপোর্ট, ওয়ার্ল্ড পপুলেশন ফোরকাস্ট, ২০২২।
বিজ্ঞাপন
২০২৩ সালে চীনকে টপকে ২০৫০ সালে অনেকখানি এগিয়ে যাবে ভারত। জাতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, ২০২২-এ চীনের জনসংখ্যা হবে ১৪২ কোটি ৬০ লাখ। একটু পিছনে থাকা ভারতের জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৪১ কোটি ২০ লাখ। ১৯৯০ সালে ভারতের জনসংখ্যা ছিল ৮৬ কোটি ১০ লাখ। কিন্তু ২০২৩-এর মধ্যেই ভারত মোট জনসংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে যাবে। আর ২০৫০ সালে ভারতের জনসংখ্যা হবে ১৬৬ কোটি ৮০ লাখ। তখন চীনের জনসংখ্যা কমে দাঁড়াবে ১৩১ কোটি ৭০ লাখ। ২০৫০ সালে জনসংখ্যার নিরিখে ভারতের আশেপাশে কেউ থাকবে না।
তবে শুধু ভারত নয়, পাকিস্তানের জনসংখ্যাও আগামী দিনে অনেকটাই বাড়বে। ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের জনসংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৪০ লাখ। জনসংখ্যার তালিকায় পাকিস্তান ছিল আট নম্বর দেশ। ২০২২ সালে সেই পাকিস্তান উঠে যাবে পাঁচ নম্বরে। তাদের জনসংখ্যা হবে ২৩ কোটি ৩০ লক্ষ। আর ২০৫০ সালেও তারা পাঁচ নম্বরে থাকবে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ জনসংখ্যা নিয়ে।
বাংলাদেশের হিসাব
১৯৯০ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা ছিল ১০ কোটি ৬০ লাখ, তারা তালিকায় ছিল নয় নম্বরে। ২০২২-এ তারা এক ধাপ উঠে আট নম্বরে যাবে। ২০২২-এর শেষে তাদের জনসংখ্যা হবে ১৭ কোটি। আর ২০৫০ সালে তারা দুই ধাপ নেমে দশ নম্বরে যাবে। তখন তাদের জনসংখ্যা হবে ২০ কোটি ৪০ লাখ। তবে এটাও ঘটনা, ভারতের মতো বাংলাদেশের জনসংখ্যাও ৬০ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হবে।
সবচেয়ে বেশি ও কম জনসংখ্যার দেশ
জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ কোনটি? কোনটিই বা সবচেয়ে কম জনসংখ্যার দেশ? বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়? এসব প্রশ্নের উত্তর মিলবে এই ছবিঘরে৷
ছবি: Reuters/M. Silvestri
মোনাকো
পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ দেশ মোনাকো৷ সেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ২৫ হাজার ৭শ ১৮ জন মানুষের বাস৷ মাত্র ০ দশমিক ৭৮ বর্গমাইলের ছোট্ট এই দেশটির জনসংখ্যা ৩৭,০০০৷
ছবি: Reuters/E. Gaillard
মাকাও
জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২২ হাজার ৪শ ৭৭৷ চীনের সীমানার ভেতরে স্বায়ত্ত্বশাসিত একটি এলাকা মাকাও৷ জুয়ার স্বর্গ৷ এর আয়তন ১১ দশমিক ৮ বর্গমাইল৷
ছবি: Getty Images/AFP/S. Sin
সিঙ্গাপুর
মোনাকো ও মাকাওয়ের মতো না হলেও প্রতি বর্গকিলোমিটারে সিঙ্গাপুরে থাকেন ৮ হাজার ২শ ২৬ জন মানুষ৷ বিশ্বের একটি অন্যতম ব্যবসাকেন্দ্র সিঙ্গাপুর৷ আয়তন ২৭৭ দশমিক ৬ বর্গমাইল৷
ছবি: picture-alliance/Global Travel Images
হংকং
হংকং-ও একটি ব্যবসাকেন্দ্র৷ এর জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৬ হাজার ৬শ’ ৫৪৷
ছবি: Imago/Qin Qing
জিব্রাল্টার
জিব্রার্টারের প্রতি বর্গকিলোমিটারে লোক থাকেন ৪ হাজার ৮শ’ ৯২ জন৷ স্পেনের দক্ষিণ উপকূলের এই পাথুরে দেশটির জনসংখ্যা ৩২ হাজার ও আয়তন ৬ দশমিক ৭ বর্গকিলোমিটার৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Moreno
গ্রিনল্যান্ড
আয়তনে বিরাট হলেও জনসংখ্যার ঘনত্বের দিক থেকে সবচেয়ে ছোট দেশ গ্রিনল্যান্ড৷ জনসংখ্যার ঘনত্ব শূন্য ভাগ৷ আট লাখ ৩৬ হাজার ৩শ ৩০ বর্গমাইলের দেশটিতে লোক থাকেন মাত্র ৫৬ হাজার৷ বরফে ঘেরা দেশটি মাত্র ৪৪৮ দশমিক ৩ বর্গমাইল এলাকা বসতির যোগ্য৷
ছবি: Imago/Siering
ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ
দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের দ্বীপপুঞ্জ ফকল্যান্ডের আয়তন ১২ হাজার বর্গকিলোমিটার৷ এটি স্বায়ত্ত্বশাসিত হলেও ব্রিটিশরা এদের প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র বিষয়গুলো দেখে৷ আর্জেন্টিনাও এই দ্বীপপুঞ্জের দাবিদার৷ এখানে মাত্র ৩ হাজার মানুষ বাস করেন৷ জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে মাত্র ০ দশমিক ৩ জন প্রতি বর্গকিলোমিটারে৷
ছবি: NASA /Jeff Schmaltz
মঙ্গোলিয়া
মঙ্গোলিয়ার জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ১ দশমিক ৯ জন৷ পাহাড়ঘেরা এই জনপদের আয়তন প্রায় পনের লাখ বর্গ কিলোমিটার৷ অথচ জনসংখ্যা ৩০ লাখ৷ বিখ্যাত স্বৈরশাসক চেঙ্গিস খানের দেশ এটি৷
ছবি: Reuters/T. Peter
পশ্চিম সাহারা
২ লাখ ৬৬ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই জনপদটি নানা কারণে বিতর্কিত৷ নানা বিদ্রোহী গোষ্ঠী সেখানে সক্রিয়৷ এর জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২ দশমিক ৩ জন৷
ছবি: Getty Images/AFP/A. Senna
নামিবিয়া
আফ্রিকান এই দেশটিতে প্রতি বর্গকিলোমিটারে থাকেন ২ দশমিক ৯ জন মানুষ৷ দক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকার এই দেশটি তার কালাহারি মরুভূমির জন্য পৃথিবী বিখ্যাত৷
ছবি: Dan Kitwood/Getty Images
বাংলাদেশ
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, জনসংখ্যার ঘনত্বের বিচারে বাংলাদেশ দশম বড় দেশ৷ এখানকার প্রতি বর্গকিলোমিটারে থাকেন ১ হাজার ২শ ৬৫ জন মানুষ৷ আয়তন প্রায় ১ লাখ ৪৪ হাজার বর্গকিলোমিটার৷
ছবি: Imago/Pacific Press Agency
চীন ও ভারত
ঘনত্বের বিচারে প্রথম দশে না থাকলেও পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দু’টি দেশ চীন ও ভারত৷ চীনের জনসংখ্যা প্রায় ১৪২ কোটি ৫০ লাখ ও ভারতে ১৪২ কোটি ৮৬ লাখ। এর মধ্যে ভারতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেক বেশি৷ ২০০০ সালের পর তাদের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় সাড়ে ৩৪ শতাংশ, আর চীনের বেড়েছে সাড়ে ১১ শতাংশ৷
ছবি: AFP/Getty Images/D. Sarkar
12 ছবি1 | 12
রিপোর্ট বলছে, ২০১০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত পাকিস্তান থেকে এক কোটি ৬৫ লাখ, ভারত থেকে ৩৫ লাখ এবং বাংলাদেশ থেকে ২৯ লাখ মানুষ শ্রমিকের কাজ নিয়ে সাময়িকভাবে অন্য দেশে গেছেন।
জনসংখ্যা কমবে যে দেশে
২০২২ থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে ৬১টি দেশের জনসংখ্যা এক শতাংশ বা তার বেশি কমবে। তার মধ্যে চীন যেমন আছে, তেমনই আছে রাশিয়া, বুলগেরিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, সার্বিয়া ও ইউক্রেন।
১৯৯০ সালে রাশিয়ার জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৮০ লাখ। ২০২২-এ তা কমে হবে ১৪ কোটি ৫০ লাখ। আর ২০৫০ সালে তা অনেকটা কমে হবে ১৩ কোটি ৩০ লাখ।
অ্যামেরিকা তিনেই থাকবে
১৯৯০ সালে অ্যামেরিকা জনসংখ্যার নিরিখে বিশ্বের তিন নম্বর দেশ ছিল। তখন তাদের জনসংখ্যা ছিল ২৪ কোটি ৬০ লাখ। ২০২২-ও তারা তিন নম্বরে থাকবে। তবে তাদের জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৩৩ কোটি ৭০ লাখ। ২০৫০-এও তারা তিনেই থাকবে, তবে তখন তাদের জনসংখ্যা হবে ৩৭ কোটি ৫০ লাখ।
ধনী দেশে কম আর গরিব দেশে বেশি শিশু জন্মে কেন ?
বিশ্বের প্রতিটি নারী নাকি গড়ে আড়াই জন শিশুর জন্ম দেন৷ কিন্তু ‘গরিব’ দেশগুলোতে শিশু জন্মের হার ধনী দেশগুলোর তুলনায় বেশি কেন? হ্যাঁ, বিভিন্ন দেশে শিশু জন্মের হার সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের দেয়া কিছু ব্যাখ্যা থাকছে ছবিঘরে৷
ছবি: picture-alliance/dpa/W. Grubitzsch
গরিব দেশের শিশু
গরিব দেশের মা-বাবা’র ঘরে জন্ম নেয় গড়ে পাঁচ থেকে ছয়টি শিশু৷ পূর্ব আফ্রিকার সোমালিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যদিও অনেক ক্ষেত্রে শিশুকে সংসারের সচ্ছলতার জন্য কাজও করতে হয়৷ অনেক সময় বেশি সন্তানকে সংসারের সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবেও দেখা হয়ে থাকে৷
ছবি: Imago/robertharding
আরো কারণ
একজন নারী কয়টি সন্তানের জন্ম দেবে, তা নির্ভর করে সন্তানের বাবার ওপর৷ বিয়ে, চাকরি বা সন্তানের জন্ম দেয়ার মতো কোনো সিদ্ধান্তই নেয়ার অধিকার নেই সেসব দেশে৷ এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা দক্ষিণ অ্যামেরিকার কথা জানিয়েছেন, যদিও বলেছেন, শহরের তুলনায় গ্রামের নারীদের সন্তান বেশি হয়ে থাকে, যা আসলে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য৷
ছবি: DW/B. Darame
জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে ধারণা নেই
অনেক গরিব দেশের নারীদের গর্ভনিরোধক বা জন্মনিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পর্কে কোনো ধারণাই নেই৷ স্কুল, ডাক্তার বা কোথাও এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয় না, অর্থাৎ বহু নারী না চাইলেও তাঁরা গর্ভবতী হচ্ছেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
আফ্রিকার অবস্থা
জনসংখ্যা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মারাইকে ড্যোরিং বলেন, বিশ্বের ৪৩টি দেশের নারীরা গড়ে চারটি সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন৷ আর এই দেশগুলোর মধ্যে ৩৮টি-ই আফ্রিকায়৷
ছবি: imago/epd/S. Vogt
ধনী দেশের নারীদের ভাবনা
জার্মানি, অ্যামেরিকা বা অস্ট্রেলিয়ার মতো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ দেশের নারীরা গড়ে এক বা দুটি সন্তানের জন্ম দিয়ে থাকেন৷ এসব দেশে জনসচেতনতা তুলনামূলকভাবে বেশি, সন্তান জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নারী নিজেই নিতে পারেন৷ তাছাড়া শিল্পোন্নত দেশগুলোতে সন্তান জন্মের পরও নারীরা চাকরি করতে চান৷ এসব দেশের মায়েদের মতে, শুধু বাচ্চা জন্ম দিলেই হবে না, তাঁদের সুস্থ ও সুন্দর জীবন দেয়ার নিশ্চয়তাও থাকতে হবে৷
ছবি: picture alliance/dpa/U. Anspach
জার্মানিতে শিশু জন্মের হার
গত বছর জার্মানিতে মোট ৭৮৫,০০০ শিশুর জন্ম হয়েছে, যা ২০১৬ সালের চেয়ে কিছুটা কম৷ জার্মানিতে কোন বছর কতজন শিশু জন্ম নেয় এবং কতজন শিশু কখন স্কুলে যাবে, তাদের কতজন শিক্ষকের প্রয়োজন তার একটি হিসেব থাকা জরুরি৷ ভবিষ্যতে কতজন মানুষ জার্মানিতে বসবাস করবেন সে হিসেব করার জন্যও তা প্রয়োজন৷
বিশ্বে এখন ছেলেদের সংখ্যা মেয়েদের তুলনায় একটু বেশি। মোট জনসংখ্যার ৫০ দশমিক তিন শতাংশ ছেলে এবং ৪৯ দশমিক সাত শতাংশ মেয়ে। তবে ২০৫০-এ ছেলে ও মেয়ের সংখ্যা সমান হয়ে যাবে।
যে সব দেশে জনসংখ্যার হার কমবে, সেখানে বয়স্কদের সংখ্যা বাড়বে। ২০২২ সালে ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের সংখ্যা হবে ৭৭ কোটি ১০ লাখ। ২০৩০-এ সেই সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াবে ৯৯ কোটি ৪০ লাখ। আর ২০৫০-এ ১৬০ কোটি মানুষের বয়স হবে ৬৫ বছর বা তার বেশি।
কম হার
১৯৫০-এর পরে ২০২২-এ এসে বিশ্বজুড়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সবচেয়ে ধীরগতিতে বাড়ছে। ২০২০-তে তা এক শতাংশের নিচে নেমে গিয়েছিল।
তবে ২০২২-এ বিশ্বের জনসংখ্যা আটশ কোটি ছাড়িয়ে যাবে।
মানুষ কমলে কী উপকার?
এল পাসিনো আর ক্রাইস্টচার্চের দুই সন্ত্রাসী হত্যাযজ্ঞ শুরুর আগে বলেছিল, বিশ্বে মানুষ কম থাকাই ভালো৷ এক গবেষণা বলছে, মানুষ সত্যিই কমবে, একসময় অর্ধেক হয়ে যাবে জাপান আর স্পেনের জনসংখ্যা৷ কিন্তু মানুষ কমলে আসলে কী উপকার?
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eisele
জন্মদানের ক্ষমতা কমছে
বিশ্বে বয়স্ক মানুষ বাড়ছে আর কমে যাচ্ছে উর্বরতা শক্তি, অর্থাৎ সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা৷ বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল ল্যান্সেটে প্রকাশিত এক গবেষণাপত্র বলছে, একুশ শতকের শেষ দিকে বিশ্বের প্রায় সব দেশেই জনসংখ্যা কমবে৷তখন জনসংখ্যাবিস্ফোরণ নিয়ে আতঙ্কের স্থান নেবে একটি প্রশ্ন- নতুন প্রজন্ম আসবে কিভাবে?
ছবি: Imago/photothek/U. Grabowsky
৯৭০ কোটি থেকে কমার শুরু
ইন্সটিটিউট ফর হেল্থ মেট্রিস অ্যান্ড ইভালুয়েশন (আইএইচএমই)-র গবেষণা অনুযায়ী, আগামী চার দশকের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে যাবে৷ তাই বিশ্বের জনসংখ্যা ৯৭০ কোটিতে পৌঁছে যাবে৷ তারপরই কমতে শুরু করবে মানুষ, এক পর্যায়ে জনসংখ্যা দাঁড়াবে ৮৮০ কোটি৷
ছবি: picture-alliance/dpa/J. Koch
স্পেন আর জাপান অর্ধেক
গবেষণাটি আরো বলছে, ৮০ বছরের মধ্যে স্পেন আর জাপানের জনসংখ্যা কমে অর্ধেক হয়ে যাবে৷ চীনের জনসংখ্যাও এত কমবে যে, ভারত আর নাইজেরিয়া হয়ে যাবে সবচেয়ে জনবহুল দেশ৷
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Barrientos
স্বাভাবিক ধারায় মাত্র ১২টি দেশ
সোমালিয়া, সাউথ সুদানসহ মাত্র ১২টি দেশে তখন শিশুজন্মের হার স্বাভাবিক থাকবে৷ বাকি সব দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়বে আশঙ্কাজনক হারে৷
ছবি: Getty Images/AFP/M. Abdiwahab
সবচেয়ে খারাপ আশঙ্কা
সারা বিশ্বে শিক্ষার হার বর্তমান ধারায় বাড়তে থাকলে এবং জন্মনিরোধক ঘরে ঘরে পৌঁছে গেলে ২১০০ সালে সারা বিশ্বে জনসংখ্যা ১৫০ কোটি কমে যেতে পারে৷
ছবি: Getty Images/AFP/Y. Lage
কমলেই লাভ?
মানুষের সংখ্যা কমলে কার্বন নিঃসরণ কমবে, কমবে সারা বিশ্বের খাদ্যের ওপর চাপ ৷ তবে সব মানুষ সমান হারে কার্বন নিঃসরণ করে না৷ তাই হ্যারিসবুর্গ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষক অরবিন্দ রবিকুমার মনে করেন, মানুষ কমলে জলবায়ুর কল্যাণ হবে এমন ধারণা একেবারেই কাল্পনিক৷
ছবি: Getty Images/AFP/Stringer
জনসংখ্যা কমার অন্ধকার অতীত
জনসংখ্যা কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করার উদ্যোগ অনেক সময় অনেক দেশেই নেয়া হয়েছে৷ বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডায় আদিবাসী নারীদের স্টেরিলাইজ করা হয়৷৷ ১৯৭৬ সালে দাতা গোষ্ঠীর চাহিদা অনুযায়ী, একইভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছিল ভারত৷ তখন ৬২ লাখ মানুষকে স্টেরিলাইজ করেছিল ইন্দিরা গান্ধী সরকার৷ চীনেও এই প্রক্রিয়া অবলম্বনের অভিযোগ রয়েছে৷
ছবি: Getty Images/AFP/J. Eisele
7 ছবি1 | 7
পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া হবে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল অঞ্চল। ২০২২ সালে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ২৯ শতাংশ এই দুই অঞ্চলে থাকবেন।
২০৫০ সালে বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে হার প্রজেক্ট করা হয়েছে, তার মধ্যে অর্ধেক আসবে আটটি দেশ থেকে। এই আট দেশ হলো, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, মিশর, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন্স ও ভারত।