আর্জেন্টিনার এমি মার্টিনেজ বা মরক্কোর বোনোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেশিরভাগ ক্রীড়া বিশ্লেষকের তালিকায় গোলরক্ষকের জায়গাটি ক্রোয়েশিয়ার ডমিনিক লিভাকোভিচের৷ জাপানের বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে তিনি তিনটি বল সেভ করেন এবং পরে ব্রাজিলের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে রডরিগোর বল ঠেকিয়ে দিয়ে দলকে জয়ের পথ দেখান৷ এছাড়া টুর্নামেন্টে বেশ কয়েকটি অসাধারণ সেভ করেন তিনি৷

বেশিরভাগ বিশ্লেষকদের তালিকায় আছেন মরক্কোর তারকা ডিফেন্ডার আশরাফ হাকিমি৷ মরক্কোর বিশ্বকাপের সাফল্যের অন্যতম দাবিদার পিএসজির হাকিমি৷

লেফট ব্যাক হিসেবে বেশ কয়েকজনের নাম এসেছে৷ তাদের মধ্যে ফ্রান্সের থিও হার্নান্দেজও এগিয়ে আছেন৷ ইংল্যান্ডের লুক শয়ের নামও বলছেন কেউ কেউ৷ তবে মাঠে মার্কোস আকুনার অল রাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে তাকেই এই জায়গার জন্য বেছে নিয়েছেন একাধিক বিশ্লেষক৷

মাস্ক পরা জোসকো গভারদিওল নজর কেঁড়েছেন সবার৷ সেমিফাইনালে লিওনেল মেসির কাছে বিশেষ করে তৃতীয় গোলের সময় যেভাবে ধরাশায়ী হয়েছেন, তাতে তার কিছুটা সমালোচনা হলেও, বিশ্বকাপে বাদবাকী ম্যাচে বেশ ভালো খেলেছেন৷ তাই তাকে একাধিক বিশ্লেষক রেখেছেন একাদশে৷

বরাবরই আন্তর্জাতিক ফুটবলে ভালো খেলেন হ্যারি ম্যাগুয়ার৷ ইংলিশদের রক্ষণভাগ আগলে রেখে এবারও তার সাক্ষর রেখেছেন তিনি৷ সেন্টার ব্যাকে আরো যাদের নাম এসেছে, তাদের মধ্যে আর্জেন্টিনার ওটামেন্ডি ও ফ্রান্সের রাফায়েল ফারানে অন্যতম৷

ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে বেশ কয়েকজনের তালিকায় রয়েছে এই মরোক্কানের নাম৷ এই ২৬ বছর বয়সি শুধু খেলাটাকেই ভালো করে পড়তে পারেন তাই নয়, ট্যাকলিংও জানেন ভালো৷

ইংলিশ সৃজনশীল মিডফিল্ডার জুড বেলিংহামের নাম এসেছে একাধিক তালিকায়৷ তার খাতায় আমরাবাত বা সুয়ামেনির চেয়ে বেশি ট্যাকল, মডরিচের চেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট, ডি ব্রয়নের চেয়ে বেশি টেকঅনের সংখ্যা লেখা আছে৷ তাকে বলা হয় কমপ্লিট প্যাকেজ৷

বলা হচ্ছে, গ্রিজমানই টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হতে যাচ্ছেন৷ গত বিশ্বকাপেও অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন এই প্লেমেকার, এবার সেটি ছাড়িয়ে গেছেন৷ শুধু গ্রুপ পর্বেই ১১টি সুযোগ সতীর্থদের তৈরি করে দিয়ে সবার চেয়ে এগিয়ে গেছেন তিনি৷ অধিকাংশ বিশ্লেষকই তাকে তালিকায় রেখেছেন৷

২৩ বছর বয়সে পরপর দুই বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা চাট্টিখানি কথা নয়৷ সেই কাজটি করেছেন কিলিয়ান এমবাপ্পে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন হয়ে৷ দুই বিশ্বকাপে তার গোলসংখ্যা ১২৷ তাই একাদশে তিনি থাকবেনই, সেটা না বললেও চলে৷

লিওনেল মেসি সর্বকালের সেরাদের একজন৷ এবারের বিশ্বকাপে গোল করা, অসাধারণ দক্ষতায় অ্যাসিস্ট করা এসব ছাড়িয়েও তিনি হয়েছেন নেতা মেসি৷ তার আবেগ আর একাগ্রতা দলকে করেছে উজ্জীবিত৷

ফ্রান্সের জিরু না আর্জেন্টিনার আলভারেজ? একাদশে কে হবেন আরেক স্ট্রাইকার? দু’জনেরই নাম এসেছে একাধিক তালিকায়৷ তবে বেশি এসেছে আলভারেজের নাম৷ যদিও জিরু বেশি শট নিয়েছেন, তবে ‘ইমপ্যাক্ট’ বেশি ছিল আলভারেজের৷

ক্রীড়াঙ্গনের ২০২৩ সাল শুরু হচ্ছে পুরুষ্দের হ্যান্ডবল বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ দিয়ে৷ পোল্যান্ড এবং সুইডেনের যৌথ এ আয়োজন শুরু হবে ১১ জানুয়ারি৷ ৩২টি দেশের এ শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই শেষ হবে ২৯ জানুয়ারি৷

ফেব্রুয়ারি মাসেও থাকছে খেলাধুলার বিশ্ব আসর৷ ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফ্রেঞ্চ আল্পসে অনুষ্ঠিত হবে এফআইএস আল্পাইন ওয়ার্ল্ড স্কি চ্যাম্পিয়নশিপ৷

সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ ১২ ফেব্রুয়ারি চোখ রাখবেন যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় অনুষ্ঠেয় ৫৭তম সুপারবোল আসরের দিকে৷ এমনকি যারা রাগবির নিয়ম ভালোভাবে জানেন না তাদের অনেকেরও মনযোগ কাড়বে ভীষণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ প্রতিযোগিতা৷

পুরুষদের আইআইএইচএফ আইস হকি বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের যৌথ আয়োজক ফিনল্যান্ড এবং লাটভিয়া৷ আসরটি ১২ মে শুরু হয়ে চলবে ২৮ মে পর্যন্ত৷

ফিনল্যান্ড ও লাটাভিয়ার বরফে হকির প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার সপ্তাহ দুয়েক পরই বার্লিনে শুরু হবে শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের সবচেয়ে বড় গ্রীষ্মকালীন প্রতিযোগিতা স্পেশাল অলিম্পিকস ওয়ার্ল্ড সামার গেমস৷ এই প্রথম জার্মানিতে বসছে এ আসর৷ রাজধানী বার্লিনের ১৫টি ভেন্যুতে ১৭ থেকে ২৫ জুন পর্যন্ত চলবে এ আসর৷

সাইক্লিংয়ের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী, সবচেয়ে বড় এ আয়োজনের ‘চাকা’ ঘুরতে শুরু করবে আগামী ১ জুলাই৷ ট্যুর ডি ফ্রান্সের ১১০তম এ আসর শুরু হবে স্পেনের বিলবাও শহরে, শেষ হবে ২৩ জুলাই, প্যারিসে৷

এই প্রথম মোট ৩২টি দেশ অংশ নেবে মেয়েদের ফুটবল বিশ্বকাপে৷ ২০ জুলাই থেকে ২০ আগস্ট – এই এক মাসের এ আয়োজনের যৌথ আয়োজক অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড৷

অ্যাথলেটদের শ্রেষ্ঠত্বের এ লড়াইও হবে আগস্টে৷ ১৯ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২৭ আগস্ট৷ এবারের আয়োজক হাঙ্গেরি৷ সুতরাং আশা করা যায় ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ডের সবচেয়ে বড় এ আসরকে ঘিরে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে তখন পর্যটকদের ভিড় বাড়বে৷

বাস্কেটবল বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপের ২০২৩-এর আসরটি হবে তিন দেশে৷ ফিলিপাইন্স, জাপান এবং ইন্দোনেশিয়া- অর্থাৎ এশিয়ার তিন দেশে আসর ২৫ আগস্ট শুরু হয়ে চলবে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত৷

অক্টোবর থেকে ক্রিকেটামোদীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ডুবে থাকার পালা৷ নভেম্বরে শেষ হবে এ আয়োজন৷ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের আয়োজক ভারত৷

করোনার কারণে চীন অপারগতা প্রকাশ করায় জুন-জুলাইয়ে অনুষ্ঠেয় এএফসি এশিয়ান কাপ বিশ্বকাপের মতোই শীতে আয়োজনের কথা বিবেচনায় নেয় এএফসি৷ সব ঠিক থাকলে বিশ্বকাপের আয়োজক কাতার এ আসরটিও আয়োজন করবে৷ ডিসেম্বরে সম্ভব না হলে ২০২৪-এর জানুয়ারিতেও শুরু হতে পারে এ আয়োজন৷