‘‘এমডিজিতে শিশু মৃত্যুর হার কমিয়ে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কৃত হয়েছেন৷ এসডিজিতেও সাফল্য আসবে৷'' ডয়চে ভেলের কাছে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার৷
বিজ্ঞাপন
ডয়চে ভেলে: বাংলাদেশে নবজাতকের মৃত্যুর হার কত?
ডা. কাজী মোস্তফা সারোয়ার: আমাদের এখন আছে প্রতি হাজারে ২৬ জন৷ আমাদের এসডিজিতে টার্গেট হলো ১০ জন৷ আমরা সেই লক্ষ্যে এখন কাজ করছি৷ ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা এই লক্ষ্য পূরণ করব৷
বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান কততম?
এমডিজিতে আমাদের লক্ষ্য ছিল, সেটা আমরা পূরণ করেছি৷ আপনারা জানেন, এই লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী সাউথ-সাউথ পুরস্কার লাভ করেছেন৷ শিশুমৃত্যু আমরা কমিয়ে আনতে পারলেও নবজাতকের মৃত্যু রোধে অতটা সাফল্য আসেনি, এখন উন্নতি হচ্ছে৷ তবে বিশ্বে কততম সেটা এই মুহূর্তে বলতে পারব না৷ তবে আমাদের অবস্থান ভালো৷
এমডিজিতে তো আমরা লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছি, এসডিজিতে লক্ষ্যমাত্রা কী?
এসডিজিতে আমাদের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে শিশুমৃত্যু প্রতি হাজারে ১২ জনে নামিয়ে আনতে হবে৷ এখন যেটা আছে ২৬ জনে৷ এটা করতে হবে ২০৩০ সালের মধ্যে৷
‘শিশুমৃত্যু কমাতে যে ব্যবস্থা চলছে, তা পর্যাপ্ত’
বাংলাদেশের শিশুমৃত্যু কমছে, এই উন্নতির পেছনের কারণ কী?
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এটা নিয়ে কাজ করছে৷ পাশাপাশি আমরা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকেও প্রান্তিক পর্যায়ে কর্মীদের মাধ্যমে কাজ করছি৷ যেমন, আমাদের ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র আছে এবং জেলা পর্যায়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র আছে, সেখানে আমরা নবজাতকদের লালন-পালনে সমন্বিত প্যাকেজ নিয়েছি৷ যে তিন, চারটি কারণে শিশু মারা যায়, যেমন ইনফেকশন, শ্বাসকষ্ট, কম ওজনের শিশু – এ সব বিষয়ে আমরা চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ দেই৷ তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়৷ এ সব কারণে আমাদের কর্মীরা বেশ প্রশিক্ষিত৷ তারা বিপজ্জনক চিহ্ন দেখলেই হাসপাতালে পাঠাতে পারে৷ এসব কারণে শিশুমৃত্যুর হার কমে আসছে৷
আরেকটা হলো কম ওজনের শিশু৷ এর জন্য আমরা মা ও শিশুকল্যাণ কেন্দ্রে ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার চালু করেছি৷ আগে শিশুদের ইনকিউবেটরে রাখা হতো৷ এখন ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ারে মায়ের গলার সঙ্গে তাদের বেঁধে রাখা হয়, তাতে তারা মায়ের শরীরের উষ্ণতা পায় এবং শিশুরা সুস্থ হয়ে ওঠে৷ আরেকটা কারণ হলো নাভি কাটার পর যে ইনফেকশন হতো, বা ধনুষ্টংকার হতো, এখন সেটা হয় না৷ এর জন্য ভ্যাকসিন দেয়া হয়৷ আমরা আশা করছি ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি-র টার্গেট পূরণ করতে পারব৷
নবজাতক মৃত্যুর মূল কারণ যদি বলেন...
মূলত পাঁচটি কারণে নবজাতকের মৃত্যু হয়৷ প্রধান কারণ হলো শ্বাসকষ্ট৷ এছাড়া কম ওজনের শিশু, নাভিতে ইনফেকশন এবং জন্মগত কিছু ত্রুটি – এগুলোই মৃত্যুর প্রধান কারণ৷
বাংলাদেশের চিকিৎসাব্যবস্থা নিয়ে তো প্রশ্ন আছে, তারপরও শিশুমৃত্যুর হারের দিক দিয়ে ভালো অবস্থানে, কারণ কী?
কী প্রশ্ন আছে আমি জানি না, কিন্তু এটা বলতে পারি যে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে স্বাস্থ্য সূচকে আমাদের উন্নতি হচ্ছে৷ স্বাস্থ্য সূচকের সবগুলোতে আমরা এগিয়ে আছি৷ মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, পুষ্টি – এগুলোতে আমাদের অনেক উন্নতি হয়েছে৷ এমনকি আমাদের গড় আয়ু অনেক বেড়েছে৷ এখন আমাদের গড় আয়ু ৭১ বছর৷ এগুলো স্বাস্থ্য সূচকের উন্নতিকে নির্দেশ করে৷ স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি না হলে এগুলোতে আমরা উন্নতি লাভ করতে পারতাম না৷ আমার মনে হয়, প্রশ্ন থাকার কোনো কারণ নেই৷
শিশুমৃত্যু আরো কমানোর উপায় কী?
সারা বিশ্বে শিশুমৃত্যু
গত কয়েক দশকে সারা বিশ্বে শিশুস্বাস্থ্য উন্নয়নে প্রভুত অগ্রগতি হয়েছে৷ কমেছে শিশুমৃত্যুর হার৷ ইউনিসেফ-এর ২০১৭ সালের রিপোর্ট দিচ্ছে এমন তথ্য৷ তারপরও এখনো যেতে হবে বহুদূর৷ ছবিঘরে বিস্তারিত দেখুন৷
ছবি: Reuters/M. Ponir Hossain
আড়াই দশকে কমেছে ৫৭ ভাগ
১৯৯০ সালে সারাবিশ্বে গড়ে প্রতিদিন ৩৫ হাজার পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু মারা যেত৷ ২০১৬ সালে সংখ্যাটি কমে ১৫ হাজার হয়েছে৷ অর্থাৎ আড়াই দশকে প্রায় ৫৭ ভাগ কমেছে পাঁচ বছর পর্যন্ত বয়সি শিশুমৃত্যুর হার৷
ছবি: AP
নবজাতকের মৃত্যুর হার
২০১৬ সালে সারাবিশ্বে ২৬ লাখ নবজাতক (এক মাস বয়সি বা তার কম) মারা গেছে৷ অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজার৷ এই সংখ্যা পাঁচ বছরের কম যত শিশু মারা যায় তার ৪৬ শতাংশ৷ অথচ ২০০০ সালে এই হার ছিল ৪১ শতাংশ৷ তুলনামূলক হারে বাড়লেও নবজাতকের মৃত্যুর সংখ্যা প্রতি হাজারে ২৫ বছরে ৩৭ থেকে কমে ১৯ হয়েছে৷
ছবি: DW/J. Abdullah
প্রথম মাসেই ঝুঁকি বেশি
জন্মের প্রথম মাসেই শিশুর মৃত্যুঝুঁকি সবচেয়ে বেশি৷ পরিসংখ্যান বলছে, প্রথম মাসে প্রতি হাজারে মৃত্যুর সংখ্যা ১৯, যেখানে এক মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত তা ১২ এবং এক বছর থেকে পাঁচ বছর পর্যন্ত সেটি ১১৷ ইউনিসেফ বলছে, ১ থেকে ৫৯ মাস পর্যন্ত নবজাতকের মৃত্যুর হার কমাতে যথেষ্ট সাফল্য পাওয়া গেলেও নবজাতকের মৃত্যুর হার কমানোর গতি খুবই শ্লথ৷
ছবি: imago/i Images/A. Parsons
দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশি
জনসংখ্যা বেশি, তাই সবচেয়ে বেশি অর্থাৎ ৩৯ ভাগ শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ এশিয়ায়৷ এরপর সাবসাহারান আফ্রিকায়, ৩৮ শতাংশ৷
ছবি: picture-alliance/dpa
যে পাঁচ দেশে সবচেয়ে বেশি শিশুমৃত্যু
যত নবজাতকের মৃত্যু হয় তার অর্ধেকই হয় পাঁচটি দেশে৷ এগুলো হলো, পাকিস্তান, ভারত, নাইজেরিয়া, কঙ্গো ও ইথিওপিয়া৷ সবচেয়ে বেশি শিশুর মৃত্যু হয় এমন দশটি দেশের আটটিই আফ্রিকার৷
ছবি: picture-alliance/ dpa
সবচেয়ে কম জাপানে
জাপান শিশুস্বাস্থ্যের জন্য সবচেয়ে ভালো জায়গা বলে চিহ্নিত হয়েছে৷ সেখানে প্রতি ১ হাজার ১শ ১১ জন শিশুর মধ্য একজন প্রথম মাসে মারা যায়৷ এছাড়া আইসল্যান্ডে প্রতি হাজারে, সিঙ্গাপুরে প্রতি ৯০৯ জনে, ফিনল্যান্ডে প্রতি ৮৩৩ জনে, এস্তোনিয়া ও স্লোভেনিয়ায় প্রতি ৭৬৯ জনে, সাইপ্রাসে প্রতি ৭১৪ জনে এবং বেলারুশ, লুক্সেমবুর্গ, নরওয়ে ও দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রতি ৬৬৭ জনে একজন নবজাতক মারা যায়৷
ছবি: picture-alliance/dpa/O. Matthys
পার্থক্য কমাতে হবে
উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনুন্নত দেশগুলোতে, মূলত আফ্রিকার দেশগুলোতে কমপক্ষে ৫০ গুণ খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে৷ এই পার্থক্য কমিয়ে আনা খুব দরকার বলে মনে করছে ইউনিসেফ৷ তাদের হিসেবে, যদি প্রতিটি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে শিশুমৃত্যুর হার রোধে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি অর্জন করতে পারে তাহলে ২০১৭ থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে কমপক্ষে এক কোটি শিশুর জীবন বাঁচবে৷
ছবি: picture alliance/dpa/blickwinkel/W. Dolder
চিকিৎসা আছে
ইউনিসেফ-এর গবেষণা অনুযায়ী, যেসব রোগে বেশির কম বয়সি শিশু (০-৫ বছর) মারা যায়, তার অধিকাংশেরই প্রমাণিত চিকিৎসা আছে এবং মোটেই ব্যয়বহুল নয়৷ তারা বলছে, বড় বাচ্চাদের (৫-১৪ বছর) চেয়ে ছোট বাচ্চারাই সংক্রামক রোগে বেশি আক্রান্ত হয় এবং মারা যায়৷ তবে বড় বাচ্চারা বেশি মারা যায় দুর্ঘটনা বা অসংক্রামক রোগে৷
ছবি: Reuters/S. Modola
বাংলাদেশ ভালো করছে, তবে...
অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ভালো করছে৷ আড়াই দশকে বাংলাদেশ পাঁচ বছরের কম শিশুমৃত্যু বছরে ২ রাখ ৪১ হাজার থেকে কমিয়ে ৬২ হাজারে নামিয়েছে৷ অর্থাৎ হার কমিয়েছে প্রায় ৭৪ শতাংশ৷ তবে নবজাতকের মৃত্যুর ক্ষেত্রে এখনো পৃথিবীর দশটি সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ দেশের তালিকায় রয়ে গেছে৷ এছাড়া এখনো বছরে ৮৩ হাজার শিশু জন্মের সময়েই মারা যায়৷
ছবি: Getty Images/AFP/Sh. Alam
9 ছবি1 | 9
আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, প্রতিটি সদর হাসপাতালে শিশুদের জন্য স্পেশাল কেয়ার ইউনাইটেড ইউনিট গঠন করা হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত ৪৬টি হাসপাতালে এটা তৈরি করা হয়েছে৷ এটা আইসিইউ-র মতো৷ আমরাও এই উদ্যোগ নিচ্ছি৷ আশা করছি, সব জায়গায় এটা হয়ে গেলে শিশু মৃত্যু আরো কমে আসবে৷
মায়ের সঙ্গে নবজাতক বা শিশু মৃত্যুর কোনো সম্পর্ক আছে?
অতটা নেই, তবে কিছুটা আছে৷ যেমন, যেসব মায়ের সন্তান প্রসব হাসপাতালে হবে, সেখানে মায়ের স্বাস্থ্যও নিশ্চিত হবে, নবজাতকের স্বাস্থ্যও নিশ্চিত হবে৷ বাড়িতে প্রসব হলে নবজাতকের সঠিক চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় না৷ এমনকি মায়েরও৷ কিন্তু হাসপাতালে প্রসব হলে এগুলো সঠিকভাবে দেখা যায় এবং চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয়৷ যে মায়ের প্রসব হাসপাতালে হবে, তার ঝুঁকি যেমন কমবে, শিশুরও মৃত্যুর ঝুঁকি কমবে৷ এই কারণে একটা সম্পর্ক থাকে৷
বাংলাদেশে শিশু বিশেষজ্ঞের সংখ্যা কেমন? যা আছে, তা কি পর্যাপ্ত?
পর্যাপ্তই, তবে সঠিক সংখ্যাটা এই মুহূর্তে আমি বলতে পারছি না৷ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁরা বিশেষজ্ঞ৷ এখন প্রতিটি মেডিকেল কলেজেই এই ধরনের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা আছে৷ এখন শুধু জেলা না, প্রতিটি উপজেলাতে শিশুবিশেষজ্ঞদের সরকার পদায়ন করছে৷ সুতরাং শিশু বিশেষজ্ঞ পর্যাপ্ত আছে৷
শিশুদের চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা কি দেশে আছে?
আমাদের দেশে এখন সরকার শিশুদের দিকে আলাদা নজর দিয়েছে৷ শিশুদের জন্য আলাদা হাসপাতাল আছে৷ শিশু হাসপাতালের পাশাপাশি প্রতিটি মেডিকেল কলেজে আলাদাভাবে শিশু ইউনিট গঠন করা হয়েছে৷ জেলা হাসপাতালেও শিশু ইউনিট আছে৷ এমনকি প্রতিটি উপজেলাতে শিশু বিশেষজ্ঞদের সরকার পদায়ন করছে৷ আমি যতদূর জানি, রাজধানীতে পাঁচ হাজার শয্যাবিশিষ্ট ইনষ্টিটিউট অফ চাইল্ড হেল্থ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন৷ এটা অচিরেই হবে বলে আমি জানতে পেরেছি৷ ইতিমধ্যে এর কাজও শুরু হয়েছে৷ এখানে সব ধরনের ব্যবস্থা ও বিশেষজ্ঞ আছে৷
আর কী হলে শিশুদের উন্নত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে এবং শিশুমৃত্যুর হার কমবে?
শিশুমৃত্যু কমানোর জন্য আমাদের যে ব্যবস্থাগুলো চলছে, আমার মনে হয় সেটা পর্যাপ্ত৷ আমাদের যে উদ্যোগগুলো আছে, সেগুলোর বাস্তবায়ন এবং হাসপাতালগুলোতে যেসব যন্ত্রপাতি আছে তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে শিশুমৃত্যু আরো কমে আসবে৷ এ ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট আন্তরিক এবং আমাদের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে৷
শিশুদের জন্য ইউটিউব
অভিভাবকরা সবসময়ই শিশুদের সেরাটি দিতে চান৷ ইউটিউবে ভিডিও দেখানোর ক্ষেত্রেও তাই৷ চলুন ছবিঘরে দেখে নিই শিশুদের জন্য ইউটিউবে এমন কয়েকটি ভিডিও চ্যানেলের কথা, যার অনেকগুলোই ইতিহাস রচনা করেছে৷
ছবি: picture-alliance/blickwinkel/McPHOTO
লিটল বেবি বাম
একেবারে শিশুদের জন্য এই চ্যানেলটি৷ নার্সারি রাইম নিয়ে শিক্ষণীয় ও মজার সব ভিডিও এরই মধ্যে খুব জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে৷ এর ভিডিওগুলো এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫শ’ কোটি বারেরও বেশি দেখা হয়েছে৷
ছবি: Youtube
বেবি জয় জয়
এই চ্যানেলটিও খুব ছোট শিশুদের জন্য৷ হুড তোলা একটি জাম্পস্যুট পরা এক শিশু নানান মিউজিক্যাল অ্যাডভেঞ্চারে যায়৷ এবিসিডি নিয়েও ভিডিও আছে চ্যানেলটিতে৷
ছবি: Youtube
বেবি আইনস্টাইন
কার্টুন, পাপেট ও বাস্তব শিশুদের নিয়ে একটি ব্যান্ডের ভিডিও চ্যানেল এটি৷ এখানে শিশুদের মিউজিক ও নানান পণ্য নিয়েও ভিডিও আছে৷
ছবি: Youtube
রায়ান টয়েস রিভিউ
এই চ্যানেলটি একটু বড় শিশুদের জন্য৷ রায়ান নামের এক ছোট্ট বালক, তার পরিবার ও অসংখ্য খেলনার চ্যানেল এটি৷ রায়ান নিত্য নতুন খেলনা নিয়ে ভিডিও তৈরি করে এই চ্যানেলে আপলোড করে৷ এছাড়া বিভিন্ন সায়েন্স প্রজেক্ট, প্র্যাংকসহ নানান মজার ভিডিও থাকে৷ এই চ্যানেলটি ইউটিউবের সবচেয়ে আয় করা চ্যানেলগুলোর একটি৷
ছবি: Youtube
ইভানটিউব এইচডি
এটিও নতুন নতুন খেলনা নিয়ে চ্যানেল৷ এসব খেলনা কিভাবে খুলতে হবে, খেলতে হবে তা-ই নিয়ে এই চ্যানেল৷ এটিও ভীষণ জনপ্রিয় একটি চ্যানেল৷
ছবি: Youtube
চার্লিস ক্র্যাফটি কিচেন
এই চ্যানেলটি দেখলে বাচ্চারা রান্নাঘরে নানান মিষ্টি খাবার তৈরি করতে উৎসাহী হবে৷ এছাড়াও এখানে চ্যালেঞ্জ ভিডিওসহ নানান রকমের কনটেন্ট আছে৷
ছবি: Youtube
ক্র্যাশ কোর্স কিডস
শিক্ষা বিষয়ক নানান ইউটিউব চ্যানেলও খুব জনপ্রিয়৷ যেমন ক্র্যাশ কোর্স কিডস৷ গ্রেড স্কুলের বিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষা দেয় এই চ্যানেলটি৷ প্রকৌশল, ফিজিক্স, লাইফ সায়েন্সসহ নানান বিষয় খুব চমৎকার করে উপস্থাপন করা হয় এই চ্যানেলে৷
ছবি: Youtube
কুল স্কুল
কুল স্কুলে বই পড়া, ভাষা শিক্ষা, আর্ট ক্লাস ছাড়াও নানান মজার বিষয় শেখানো হয়৷ নানান মজার মজার চরিত্র এখানে শিশুদের পড়ায়৷ এছাড়া সাই-শো কিডস, ফ্রি স্কুলসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা বিষয়ক চ্যানেল খুব জনপ্রিয়৷