২০ বছর ধরে পলাতক ফাঁসির আসামি গ্রেপ্তার
২৮ জানুয়ারি ২০২২![](https://static.dw.com/image/60586877_800.webp)
জানে আলম হত্যা মামলায় ২০০৭ সালে সৈয়দ আহম্মেদসহ ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং আট জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ পরে হাইকোর্টে সৈয়দ আহম্মেদসহ ১০ জনের ফাঁসির রায় বহাল থাকে৷
ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানায়, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের আকবর শাহ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব-৭ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ জানিয়েছেন৷ শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, জমির বিরোধে ২০০১ সালের নভেম্বর থেকে ২০০২ সালের মার্চের মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলায় মাহমুদুল হক এবং তার বড় ভাই ব্যবসায়ী জানে আলমকে খুন করা হয়৷ দুই মামলার এজাহারেই আসামির তালিকায় সৈয়দ আহম্মদের নাম ছিল৷
র্যাব কর্মকর্তা ইউসুফ বলেন, ‘‘জানে আলমকে হত্যার পর সৈয়দ আহম্মেদ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন৷ পরিবারের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে কিছুদিন উপকূলীয় এলাকায় এবং পরে সীতাকুণ্ডে অবস্থান করেন৷ পরিচয় গোপন রাখতে দুটি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করিয়ে নেন তিনি৷’’
এক সময় সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুরে ছিন্নমূল নেতা মশিউরের ছত্রছায়ায় বসবাস শুরু করেন ৬০ বছর বয়সি সৈয়দ আহম্মেদ৷ সেখান থেকে বিভিন্ন মাজারে বাবুর্চির কাজ করতেন৷ পরে আকবরশাহ এলাকায় একটি ভবনে দারোয়ানের কাজ নেন৷
‘‘আকবর শাহ এলাকায় সৈয়দ আহম্মেদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে বুধবার সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব,’’ বলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইউসুফ৷
তিনি বলেন, মাহমুদুল হককে খুনের পর বাঁশখালী উপজেলায় আত্মগোপন করে ছিলেন সৈয়দ আহম্মেদ৷ সেখান থেকে জলদস্যুদের সাথে সমুদ্রে চলে যান৷ চার মাস পর লোহাগাড়ায় ফিরে এসে মাহমুদুলের বড় ভাই জানে আলমকে হত্যায় অংশ নেন তিনি৷
‘‘ছোট ভাইয়ের হত্যা মামলার অন্যতম সাক্ষী ছিলেন ব্যবসায়ী জানে আলম৷ তিনিই মামলা পরিচালনা করছিলেন৷ আসামিদের ধারণা ছিল, জানে আলমকে খুন করতে পারলে মামলা আর এগোবে না এবং তার সম্পত্তিও ভোগ করতে পারবে৷ সে কারণে তাকেও তারা হত্যা করে৷’’
এনএস/জেডএইচ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)