1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২১ বছরে বিমসটেকের সাফল্য হাতে গোনা: হাসিনা

৩০ আগস্ট ২০১৮

বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিমসটেকের সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো নতুন করে বিবেচনা করতে এবং জোটের কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয়ে সদস্য দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী৷

Nepal | BIMSTEC-Summit | Ankunft Premierministerin Bangladesh Sheikh Hasina
ছবি: Reuters/N. Chitrakar

নেপালের কাঠমান্ডুতে বৃহস্পতিবার বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী সাত দেশের জোট বিমসটেকের চতুর্থ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ‘‘আমাদের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতির পরও প্রতিষ্ঠার ২১ বছরে বিমসটেকের সাফল্য হাতে গোনা৷’’

বিমসটেকে শেখ হাসিনার ভাষণ

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলে বাংলার কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সম্মেলনে দেয়া শেখ হাসিনার ভাষণ নিয়ে নেপাল থেকে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সবাই লাভবান হতে পারে এমন বেশ কয়েকটি উদ্যোগের সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী৷ তার একটি হলো, বিদ্যুৎ সঞ্চালন গ্রিডের মাধ্যমে জোটভুক্ত সাত দেশকে যুক্ত করা৷ 

বিমসটেকের সম্ভাবনার ক্ষেত্রগুলো নতুন করে বিবেচনা করতে এবং সেজন্য জোটের কাঠামোগত পরিবর্তনের বিষয়ে সদস্য দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি৷  

বাংলাদেশের সরকার প্রধান বলেন, “এই যৌথ চেষ্টাকে অর্থবহ সম্পর্কের রূপ দিতে চাইলে, সহযোগিতার দৃশ্যমান ফলাফল চাইলে আমাদের মৌলিক আইনি কাঠামোগুলোকে আরও সংহত করার কথা আমাদের ভাবতে হবে৷”

বিমসটেক ফোরামের মাধ্যমে একটি যৌথ অর্থায়ন কৌশল প্রণয়নের মাধ্যমে দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর কথা বলেন শেখ হাসিনা৷ 

এর আগে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কাঠমান্ডুর হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় বিমসটেকের চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়৷ নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির উদ্বোধনী বক্তব্যের পর বক্তৃতা করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী৷

পার্শ্ববৈঠক

শীর্ষ সম্মেলনের পর পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ এ সময় তাঁরা দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন৷ 

<iframe src="https://www.facebook.com/plugins/video.php?href=https%3A%2F%2Fwww.facebook.com%2Fashrafsiddiqueebitu%2Fvideos%2F10205332511827801%2F&show_text=0&width=560" width="560" height="409" style="border:none;overflow:hidden" scrolling="no" frameborder="0" allowTransparency="true" allowFullScreen="true"></iframe>

 

এর আগে সকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন৷ সেখানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো এবং বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে কর্মতৎপরতা বাড়ানোর ওপর জোর দেয়া হয়৷

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন বলে জানিয়েছে ডয়চে ভেলে বাংলার কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর৷ করিম বলেন, ‘‘দুই প্রধানমন্ত্রী দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন৷ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন৷''

শেখ হাসিনা এ সময় আরো যেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তার মধ্যে নেপালকে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ও সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, সেটিও ছিল৷

নেপালের প্রধানমন্ত্রী এ সময় দুই দেশের সহযোগিতার আরো যেসব জায়গা আছে, সেগুলো খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্ব দেন বলে জানান প্রেস সচিব৷

তিনি আরো জানান, দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে নেপাল থেকে বাংলাদেশের জলবিদ্যুৎ নেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে৷ এ বিষয়ে একটি সমঝোতা আগেই স্বাক্ষরিত হয়েছে৷ ‘‘এছাড়া বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান, ভারতের মধ্যে আঞ্চলিক কানেকটিভিটি বাড়ানোর বিষয়েও শেখ হাসিনা গুরুত্বারোপ করেছেন,'' বলে জানান প্রেস সচিব৷

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, পররাষ্ট্রসচিব, নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রসচিব৷

এরপর শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন ভুটানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা দাশো শেরিং ওয়াংচুক৷ বৈঠকে দুই দেশের পারস্পরিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান ইহসানুল করিম৷

শেখ হাসিনাকে সংবর্ধনা

এর আগে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট নেপালের স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে৷

নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী ঈশ্বর পোখারেল এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক ও নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশফি বিনতে শামস বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান৷

প্রধানমন্ত্রীকে নেপালের সেনাবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার প্রদান করে৷

অভ্যর্থনা পর্ব শেষে প্রধানমন্ত্রীকে একটি সুশোভিত মোটর শোভাযাত্রা সহকারে তাহাচেল মার্গ এলাকায় হোটেল সোয়ালটি ক্রাউন প্লাজায় নিয়ে যাওয়া হয়৷

উল্লেখ্য, ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টি সেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন' বা বিমসটেক হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী সাত দেশের একটি জোট৷ ১৯৯৭ সালে ব্যাংকক ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এ উদ্যোগের সূচনা করে৷ পরে মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান বিমসটেকে যোগ দেয়৷ এবারের বিমসটেক সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হলো, ‘শান্তির, সমৃদ্ধির, টেকসই বে অব বেঙ্গলের লক্ষ্যে'৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য
স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ