1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

২১ লাখ টাকার বিনিময়ে ক্ষমা করতে সম্মতি

২৭ জানুয়ারি ২০১২

কুয়েতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩ বাংলাদেশিকে ২১ লাখ টাকার বিনিময়ে ক্ষমা করে দিতে সম্মত হয়েছেন নিহত স্বদেশির পরিবার৷ টাকা শোধ হবার পর ক্ষমাপত্র পাঠানো হবে কুয়েতে রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে৷

Migrant workers from Bangladesh
মধ্যপ্রাচ্য সহ বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় বাংলাদেশি শ্রমিক ও কর্মীরাছবি: dapd

বাংলাদেশের মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের কুয়েত প্রবাসী মহিদুল ইসলাম গত বছর সেখানে খুন হন৷ তার কুয়েত প্রবাসী স্ত্রী মামলা করলে সেখানকার আদালত সেখানে কর্মরত ৩ বাংলাদেশিকে দায়ী করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন৷ উচ্চ আদালতও এই রায় বহাল রাখে৷ তারা হলেন মুন্সিগঞ্জের ইকবাল ঢালি, তার ভাই হৃদয় ঢালি এবং কুমিল্লার রমজান আলি৷ রায়ের পর পর দণ্ডপ্রপাপ্তদের পরিবার এবং কুয়েতে বাংলাদেশি দূতাবাস দণ্ড মওকুফের চেষ্টা করেন৷ কিন্তু কুয়েতের আইন অনুযায়ী নিহতের পরিবারই কেবল ক্ষমা করার অধিকার রাখেন৷ তারা ক্ষমা করলে আদালত তা বিবেচনায় নেয়৷ অবশেষে নিহত মহিদুল ইসলাম পরিবার তাদের ক্ষমা করে দিতে সম্মত হয়েছেন৷ সিঙ্গাইরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ জনের পরিবার, নিহতের পরিবার, মানিগঞ্জের এডিসি, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে এই সমঝোতা হয়৷ বৃহস্পতিবার এই বৈঠক হয় নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানার অফিসে এবং তার উদ্যোগে৷ নিহতের পরিবার প্রথমে ৬০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে মানবিক বিবচনায় ২১ লাখ টাকার বিনিময়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের ক্ষমা করতে রাজি হয়েছেন৷

মানিকগঞ্জের এডিসি নিজাম উদ্দিন আহমেদ জানান, সিঙ্গাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা পুরো বিষয়টি মনিটর করছেন৷ নাসরিন সুলতানা জানান, শনিবার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের পরিবার এই টাকা শোধ করবে৷ এরপর একটি পারডন লেটার তৈরি করে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হবে৷ তারপর তা পাঠান হবে কুয়েত সরকারের কাছে৷ সেখানকার আদালত তখন বিষয়টি বিবেচনা করবেন৷

জানা গেছে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আরো দুই বাংলাদেশির মৃত্যুদণ্ড মওকুফের চেষ্টা চলছে একইভাবে৷ তাদের পৃথক ২টি হত্যা মামলায় সেখানকার আদালত মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে৷

উল্লেখ্য, এর আগে এক মিশরীয় নগরিককে হত্যার অভিযোগে গত ৭ই অক্টোবর সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ৮ বাংলাদেশির শিরশ্ছেদ করা হয়৷ নিহতের পরিবার ক্ষমা করতে রাজি না হওয়ায় তাদের জীবন রক্ষা করা যায়নি৷

প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

স্কিপ নেক্সট সেকশন ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ

ডয়চে ভেলে থেকে আরো সংবাদ