আদালতের রায়ে বাংলাদেশের ১৫০টি তৈরি পোশাক কারখানা নিরাপত্তার জন্য ২৩ লাখ মার্কিন ডলার পাচ্ছে৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক কোন প্রতিষ্ঠান এ অর্থ দেবে তা রায়ে গোপন রাখার কথা বলা হয়েছে৷ শ্রমিক নেতারা একে বড় বিজয় হিসেবে দেখছেন৷
বিজ্ঞাপন
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক বিবৃতিতে লেবার ইউনিয়নগুলো জানায়, হেগের পার্মানেন্ট কোর্ট অব আর্বিট্রেশন এই রায় দিয়েছে৷ রায় অনুযায়ী, ক্ষতিপূরণ দিতে যাওয়া প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করা যাবে না৷ ওই আদালতের রায়ে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি ফ্যাক্টরিগুলোকে এর আগে যে টাকা দিতো, সেই টাকায় পোশাককর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল না৷ আদালতের রায় অনুযায়ী, শ্রমঅধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর দাবি মেনে বাংলাদেশের ১৫০পোশাক কারখানা ভবনে আগুনসহ সব ধরনের নিরাপত্তার জন্য ২৩ লাখ মার্কিন ডলার দেবে একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান৷
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের পোশাককর্মীদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়৷ ২০১৩ সালে রানা প্লাজায় দুর্ঘটনার পর বাংলাদেশের কর্মী নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নড়েচড়ে বসে পুরো বিশ্ব৷ ওই দুর্ঘটনায় ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান৷
রানা প্লাজা ধসের পর একটি সমঝোতা তৈরি করা হয়৷ এতে ২০টি দেশের প্রায় ২০০টি নামি-দামি ব্র্যান্ড ওই সমঝোতা মেনে নেয়৷ বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের ২৫ লাখ কর্মীও এই চুক্তির আওতায়৷
কিন্তু ফ্যাক্টরিগুলোকে নিরাপত্তার জন্য যে টাকা দেয়া হতো সেই টাকায় পোশাককর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল না৷ ইউনিয়নগুলো জানায়, কারখানাগুলোয় অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ও ফায়ার এক্জিট পর্যাপ্ত ছিল না৷ বয়লার রুমের কাছ থেকে দাহ্য পদার্থগুলো প্রয়োজন অনুযায়ী দূরে ছিল না৷
তসলিমা আখতার
ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়নের ক্রিস্টি হফম্যান এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘এখন ১৫০টিরও বেশি কারখানায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে উঠবে৷ অনেক বছর আগেই যেটা হওয়া উচিত ছিল৷ অবশেষে আমরা সেটা পেলাম৷''
বাংলাদেশে অ্যাকর্ড ফর ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটির আওতায় আর্বিট্রেশন প্রক্রিয়ায় এই সমঝোতা হয়৷ হফম্যান বলেন, ‘‘চুক্তি অনুযায়ী আন্তর্জাতিক এই ব্র্যান্ডগুলোকে অবশ্যই কারখানার ভবন নিরাপত্তায় কিছু অর্থ দিতে হবে৷ পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে এই অর্থ ব্যয় করবে তারা৷''
রায় অনুযায়ী, ইউএনআই গ্লোবাল ইউনিয়নের তহবিলে ৩ লাখ ডলার সহায়তা দেবে ওই প্রতিষ্ঠানটি৷ আন্তর্জাতিক সাপ্লাই চেইনে কাজ করা কর্মীদের বেতনভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা নিয়ে কাজ করার জন্য ইন্ডাস্ট্রিঅল নামে ওই তহবিল গড়ে তুলেছে ইউনিয়নটি৷
ইউনিয়নগুলো এরকম বেশ কয়েকটি মামলা লড়ছে৷ এর মাঝে এই রায় তাদের জন্য উদাহরণ তৈরি করলো৷
বিবৃতিতে ইউনিয়নগুলো জানায়, চুক্তির পর্যবেক্ষকরা ২০০ ব্র্যান্ডের ১ হাজার ৮০০টি কারাখানা পরিদর্শন করেছেন৷ এ সময় তারা ১ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ অগ্নি, বিদ্যুৎ ও কাঠামোগত বিপত্তি পরীক্ষা করেছেন৷
পোশাক শিল্পে শ্রমশোষণ: ব্রিটেন থেকে বাংলাদেশ
দু মুঠো অন্নের সংস্থান করতে রানা প্লাজায় গিয়ে লাশ হয়ে ফিরেছিলেন এগোরো শ-রও বেশি মানুষ৷ যাঁরা বেঁচে আছেন, তাঁদের অনেকেরই বাকি জীবন কাটবে দুর্বিষহ কষ্টে৷ পোশাক শ্রমিকদের জীবনের এই নির্মমতার ইতিহাস কিন্তু অনেক দীর্ঘ৷
ছবি: DW/M. Mohseni
বৈশ্বিক শিল্প
প্রতিটি পোশাকে মিশে থাকে শ্রমিকের শ্রম-রক্ত-ঘাম৷ ১৯৭০-এর দশক থেকে ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত ব্র্যান্ডগুলো এশিয়া আর ল্যাটিন অ্যামেরিকার কিছু দেশ থেকে পোশাক কিনতে শুরু করে৷ খুব কম মজুরিতে শ্রমিক পাওয়া যায় বলে দাম পড়ে কম, লাভ হয় বেশি৷ এমন সুযোগ ছাড়ে তারা! কম টাকায় পণ্য কিনবেন, ছবির মতো পোশক তৈরি হবে মিষ্টির দোকানে – তারপর আবার শ্রমিকের অধিকাররক্ষা, পরিবেশ দূষণ রোধ করবেন – তাও কি হয়!
ছবি: picture-alliance/dpa
সবার জন্য পোশাক
বড় আঙ্গিকে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পোশাক তৈরি প্রথম শুরু হয়েছিল ব্রিটেনে, অষ্টাদশ শতাব্দীর সেই শিল্পবিপ্লবের সময়টাতে৷ এখন বিশ্বাস করতে অনেকের হয়ত কষ্ট হবে, তবে ইতিহাস বলছে, শিল্পবিপ্লবের ওই প্রহরে ব্রিটেনের লন্ডন আর ম্যানচেস্টারও শ্রমিকদের জন্য ছিল আজকের ঢাকার মতো৷ শতাধিক কারখানা ছিল দুটি শহরে৷ শিশুশ্রম, অনির্ধারিত কর্মঘণ্টার সুবিধাভোগ, অল্প মজুরি, কারখানার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ – সবই ছিল সেখানে৷
ছবি: gemeinfrei
সেই যুক্তরাষ্ট্র এখন কর্তৃত্বে
যুক্তরাষ্ট্রেও পোশাকশ্রমিকরা স্বর্গসুখে ছিলেন না সব সময়৷ সেখানেও এক সময় কারখানায় আগুন লাগলে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ভেতরে রেখেই সদর দরজায় তালা লাগাতো৷ ১৯১১ সালে তাই নিউ ইয়র্কের ট্রায়াঙ্গেল শার্টওয়েস্ট ফ্যাক্টরিতে পুড়ে মরেছিল ১৪৬ জন শ্রমিক৷ মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন নারী৷ মজুরি, কর্মঘণ্টা, কর্মপরিবেশ, নিরাপত্তা – কোনো কিছুই এশিয়ার এখনকার কারখানাগুলোর চেয়ে ভালো ছিল না৷
ছবি: picture-alliance/dpa
পোশাক শিল্পে চীন বিপ্লব
পোশাক রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চলছে সবচেয়ে কম খরচে পোশাক তৈরির প্রতিযোগিতা৷ রপ্তানিকারী দেশগুলোর মধ্যে চীনের অবস্থা সবচেয়ে ভালো৷ রপ্তানি সবচেয়ে বেশি, শ্রমিকদের মজুরিও খুব ভালো৷ চীনে একজন পোশাক শ্রমিক এখন মাস শেষে ৩৭০ ইউরো, অর্থাৎ, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৭ হাজার টাকার মতো পেয়ে থাকেন৷
ছবি: picture-alliance/dpa
শ্রমশোষণ কাকে বলে...
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিলনাড়ুর সুমাংগলি৷ তামিল শব্দ ‘সুমাংগলি’-র অর্থ, ‘যে নববধু সম্পদ বয়ে আনে’৷ এলাকায় পোশাক এবং সুতা তৈরির প্রশিক্ষণের নামে খাটানো হয় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মেয়েকে৷ দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ করে তাঁরা হাতে পান ৬০ ইউরো সেন্ট, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় ৬০ টাকা৷ সে হিসেবে মাস শেষে পান ১৮০০ টাকা৷ টাকাটা তাঁদের খুব দরকার৷ বিয়ের সময় বাবাকে তো যৌতুক দিতে হবে!
ছবি: picture-alliance/Godong
অধিকার আদায়ের করুণ সংগ্রাম
কম্বোডিয়াতেও অবস্থা খুব খারাপ৷ ৩ লক্ষের মতো পোশাক শ্রমিক আছে সে দেশে৷ কাজের পরিবেশ আর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা কেমন? মাসিক বেতন মাত্র ৫০ ইউরো, অর্থাৎ বাংলাদেশের মুদ্রায় বড় জোর ৫ হাজার টাকা৷ মালিকের কাছে শ্রমিকদের মানুষের মর্যাদা প্রাপ্তি সৌভাগ্যের ব্যাপার৷ মজুরি বাড়ানোর দাবিতে মিছিলে নেমে শ্রমিকরা মালিকপক্ষের গুলিতে মরেছেন – এমন দৃষ্টান্তও আছে সেখানে৷
ছবি: Reuters
ট্র্যাজেডি
গত ২৪শে এপ্রিল বাংলাদেশের রানা প্লাজা ধসে পড়ায় মারা যান ১১শ-রও বেশি তৈরি পোশাককর্মী৷ দেয়ালে ফাটল ধরার পরও সেখানে কাজ চালিয়ে যাওয়ায় এতগুলো জীবন শেষ হওয়াকে বিশ্বের কোনো দেশই ভালো চোখে দেখেনি৷ ঘটনার পর জার্মানির এইচঅ্যান্ডএম, কেআইকে এবং মেট্রোসহ বিশ্বের ৮০টির মতো পোশাক কোম্পানি শ্রমিকের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য পোশাক রপ্তানিকারী কারখানাগুলোর সঙ্গে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷
ছবি: Reuters
আলোয় ঢাকা আঁধার
অভিজাত বিপণিবিতান কিংবা দোকানের পরিপাটি পরিবেশে ঝলমলে আলোয় ঝিকমিক করে থরে থরে সাজানো বাহারি সব পোশাক৷ দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায়৷ ক্রেতাদের ক’জনের মনে পড়ে রানা প্লাজা কিংবা অতীতের ব্রিটেন বা যুক্তরাষ্ট্রের ভাগ্যাহতদের কথা?
ছবি: DW/M. Mohseni
8 ছবি1 | 8
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট লেবার স্টাডিজের সুলতান উদ্দিন আহমেদ রয়টার্সকে বলেন, ‘‘এর আগে ব্র্যান্ডগুলো কখনোই দায়িত্ব নিতে চায়নি৷ এমনকি এত দুর্ঘটনার পর কখনও দুঃখ প্রকাশও করেনি৷ এখন একটি ভালো উদাহরণ তৈরি হলো৷ কর্মীদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন আরও উন্নত হবে৷''
বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক কল্পনা আক্তার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘আদালতের এই রায়কে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি৷ এখানে অ্যাকর্ড এরইমধ্যে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তণ এনেছে৷ তাদের দায়িত্ব হলো এর যারা সিগনেটরি, তাদের চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য করা৷ এই রায়ের ফলে এখন পরিস্থিতির আরো উন্নতি হবে৷''
তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘এটা নিশ্চয়ই শ্রমিকদের একটি বড় জয়৷ শ্রমিক সংগঠনগুলোর জয়৷ এখানে অর্থের পরিমানও বেঁধে দেয়া হয়েছে৷ তাই এটাকে বিশাল জয়ই বলা যায়৷''
আর বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আক্তার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখন প্রশ্ন হলো, শ্রমিকরা কিভাবে উপকৃত হবেন৷ তাঁদের নিরপত্তার জন্য ১৫০টি পোশাক কারখানায় এই অর্থ ব্যয় হবে৷ তা কি মালিকরা করবেন, না সেখানে শ্রমিক প্রতিনিধিও থাকবে? আরেকটি বিষয় হলো, শ্রমিকদের নিরাপত্তার কোন কোন দিক দেখা হবে? তাঁদের চিকিৎসার ব্যাপারে কি কিছু হবে? তারা কি ক্ষতিপুরণ পাবেন? এই বিষয়গুলো স্পষ্ট হলে আরো ভালোভাবে বিষয়টি সম্পর্কে মন্তব্য করা যাবে৷''
বাংলাদেশি পোশাক শ্রমিকদের পাশে জার্মানি
রানা প্লাজা বিপর্যয়ের দেড় বছর পর জার্মানি যে ‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’ চালু করেছে, সে উপলক্ষ্যে ফেডারাল অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও উন্নয়ন মন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার বাংলাদেশ যান৷ নিজের চোখে দেখেন সেখানকার মানুষ ও তাঁদের উন্নয়নকে৷
ছবি: DW/S. Burman
‘মেড ইন বাংলাদেশ’
রানা প্লাজা বিপর্যয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে৷ চালু হয়েছে ‘‘অ্যাকর্ড’’, ‘‘অ্যালায়েন্স’’ এবং ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’ মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, যার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা৷
ছবি: DW/S. Burman
একযোগে
জার্মান উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এক করা৷ গাজিপুরের ডিবিএল গ্রুপ ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’-এ যোগ দিয়েছে ও ইতিমধ্যেই একাধিক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত করেছে৷ জার্মান উন্নয়নমন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার তাদের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং এই আশা প্রকাশ করেন যে, অন্যান্য সংস্থাও এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করবে৷
ছবি: DW/S. Burman
মোটরসাইকেলে
প্রায় দেড়’শ নতুন লেবার ইনস্পেক্টরদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে, কারখানাগুলোর পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য৷ কোনো সংকট ঘটলে যানজট এড়িয়ে চটজলদি অকুস্থলে পৌঁছানোর জন্য তাদের মোটরসাইকেল দেওয়া হয়েছে৷
ছবি: DW/S. Burman
লুডো খেলাও সচেতনতা বাড়ায়
গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকরা প্রধানত মহিলা, নিজেদের আইনি দাবিদাওয়া সম্পর্কে তাঁদের বিশেষ ‘জানকারি’ নেই৷ কাজেই কারখানায় ‘‘মহিলাদের কাফে’’ সৃষ্টি করে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, সেই সঙ্গে বিনোদনের জন্য লুডো খেলা৷
ছবি: DW/S. Burman
কাজের জায়গায়
পরিস্থিতি কিছুটা অন্যরকম৷ দিনে দশ থেকে চোদ্দ ঘণ্টা কাজ৷ ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’ এই অনলস কর্মীদের কাজের পরিবেশের উন্নতি ঘটাতে চায়৷
ছবি: DW/S. Burman
রাজনীতিও শামিল
বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ গাজিপুরের ডিবিএল গ্রুপের ফ্যাক্ট্রিতে জার্মান উন্নয়নমন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলারের সঙ্গে যোগ দেন এবং সহযোগিতা সম্পর্কে আলোচনা করেন৷ গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবস্থার উন্নতি ঘটানোর জন্য সরকারের উদ্যোগ বিশেষভাবে প্রয়োজন৷
ছবি: DW/S. Burman
মিনি ফায়ার ব্রিগেড
গ্যার্ড ম্যুলার গাজিপুরে ডিবিএল গ্রুপের কারখানার নতুন ‘খুদে দমকল বাহিনীর’ উদ্বোধন করেন৷ এই ফায়ার ব্রিগেড এক কিলোমিটার ব্যাসের এলাকার মধ্যে অগ্নি নির্বাপণে সক্ষম৷ ম্যুলারের সঙ্গে ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ৷
ছবি: DW/S. Burman
চাইল্ড কেয়ার
শ্রমিক কল্যাণ উদ্যোগের অংশ হিসেবে কারখানা প্রাঙ্গণে ডে-কেয়ার সেন্টার সৃষ্টি করে মহিলা শ্রমিকদের শিশুসন্তানদের দেখাশোনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷
ছবি: DW/S. Burman
সবে মিলে করি কাজ
জার্মান সরকার ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিরা, মালিকপক্ষ, বিদেশি ক্রেতা এবং অপরাপর সংশ্লিষ্টরা সকলে একত্রিত হয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করছেন৷
ছবি: DW/S. Burman
লক্ষ্য
বাংলাদেশ বর্তমানে ২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের গার্মেন্টস রপ্তানি করে থাকে৷ সরকার সেটাকে ২০২১ সাল – অর্থাৎ দেশের পঞ্চাশতম বার্ষিকীর মধ্যে ৫০ বিলিয়নে দাঁড় করাতে চান৷ জার্মান উন্নয়ন মন্ত্রী গ্যার্ড ম্যুলার গত ৭ই অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন৷